শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

BBC24 News
শনিবার, ২১ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বাংলাদেশে ২১আগস্ট ইতিহাসে জঘন্যতম সন্ত্রাসী ঘটনা, যে ভাবে বেঁচে যান শেখ হাসিনা
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বাংলাদেশে ২১আগস্ট ইতিহাসে জঘন্যতম সন্ত্রাসী ঘটনা, যে ভাবে বেঁচে যান শেখ হাসিনা
৬১১ বার পঠিত
শনিবার, ২১ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে ২১আগস্ট ইতিহাসে জঘন্যতম সন্ত্রাসী ঘটনা, যে ভাবে বেঁচে যান শেখ হাসিনা

---বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি জঘন্যতম সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশে ছোড়া হয় আর্জেস গ্রেনেড। লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি, আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই ঘটনায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী। আর শরীরে এখনও গ্রেনেডের স্প্রিন্টার বহন করছেন দলটির অসংখ্য নেতাকর্মী। যন্ত্রণায় কাতর তাদের জীবন। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট তখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগের অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই হামলার বিচার তো করেইনি, বরং ভয়াবহ এই ঘটনার আলামত নষ্ট করেছে তৎকালীন সরকার।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন ওই সমাবেশ কাভার করতে যাওয়া অনেক গণমাধ্যমকর্মী। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শী ফটো সাংবাদিক এস এম গোর্কির সঙ্গে। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় গোর্কি বলেন, সেদিন ছিল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ। জাতীয় নেতাদের বক্তব্য শেষে ট্রাকের উপর বানানো অস্থায়ী মঞ্চে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন। সেসময় অন্য নেতারাও মঞ্চে ছিলেন।

গোর্কির বর্ণনায়, তিনি (শেখ হাসিনা) যখন ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে বক্তব্য শেষ করলেন এবং মঞ্চ থেকে নামতে শুরু করলেন ঠিক তখনই পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ফটো সাংবাদিকরা চিৎকার করে বলতে লাগলাম, আপা একটু দাঁড়ান। আমরা ছবি তুলবো। আমাদের ছবি তোলা হয়নি। তখন আপা দাঁড়িয়ে আমাদের ছবি তোলার সুযোগ দিলেন। উনি বরাবরই সাংবাদিকদের আবদার রক্ষা করে চলেন। সেদিনও সেটাই করলেন। আর আমাদের সেই আবদার রক্ষার উছিলায় মনে হয় প্রাণে বেঁচে যান আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘ওই একটু থামিয়ে দেওয়াই’ মনে হয় সৃষ্টিকর্তা তাকে রক্ষা করেছেন বলে মনে করেন গোর্কি। তিনি বলেন, এরইমধ্যে মুহুর্মুহু গ্রেনেড হামলা শুরু হলো। আর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর রাজপথ রক্তাক্ত হতে লাগলো। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে আহত মানুষের ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে থাকে। আহতদের বাঁচার আকুতি কানে আসতে লাগলো। সেই মুহূর্তে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী এবং আওয়ামী লীগ নেতারা মানববর্ম তৈরি করে সেখান থেকে তাকে রক্ষা করেন।

গোর্কি বলেন, কিছুক্ষণ পরে যখন গ্রেনেড ছোড়া থামে তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ওখান থেকে নিয়ে এসে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয়। গাড়িতে ওঠানোর পরে আবার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। আমি বলবো আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে ব্যক্তগত দেহরক্ষী করপোরাল মাহাবুব ঘটনাস্থলে নিহত হন। শেখ হাসিনাকে বহনকারী গাড়ি দ্রুত ধানমণ্ডির ৫ নম্বর বাসায় চলে আসে। এরপর সেখানে দেখা যায় আরেক দৃশ্য! সেখান পুলিশ এসে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এসব ছোড়ে। আহত আমাকেও সেখান থেকেই হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে শুনতে পেলাম পানি ছিটিয়ে আলামত পর্যন্ত নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

আর্জেস গ্রনেড দিয়ে হামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে এই সাংবাদিক বলেন, এ ধরনের গ্রেনেড সাধারণত যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহার করা হয়। এই গ্রেনেড কোনও সাধারণ মানুষ ছুড়ে মারতে পারার কথা নয়, ব্যবহারকারী এরা কারা? কোত্থেকে এটা আসলো, আজও মানুষ জানে না।

সেদিন পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে সেখানে যারা গিয়েছিলেন, তারা সবাই সেই গ্রেনেডকে সাধারণ কোনও ককটেল বা পটকা ভেবেছিলেন উল্লেখ করে গোর্কি বলেন, সেসময় প্রায়ই এমনটা হতো, সমাবেশ বানচাল করার জন্য, আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এগুলো সাধারণত ঘটতো। সেভাবে সাধারণ কিছুই ধরে নিয়েছি। সমাবেশকে ঘিরে আর্জেস গ্রেনেড হামলা হবে এটা কল্পনাতীত। শুধু আমরাই নয়, সেখানকার অনেকেই এটা ভাবতে পারেননি যে, আর্জেস গ্রেনেড হামলা দেশে ঘটতে পারে।

পেশাগত জীবনে প্রথম এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন এই ফটো সাংবাদিক। তার মতে, অনেক জায়গায় নেত্রীর (শেখ হাসিনা) উপর হামলা হয়েছে, গুলিবর্ষণ হয়েছে। কিন্তু এমন ন্যাক্কারজনক হামলা কল্পনা করাও যায় না। তিনি বলেন, ১৭ বছর আগের ওই ঘটনায় জীবনটা এমন হয়েছে- এখনও বাসার দরজা লাগাতে গিয়ে যদি একটু শব্দ হয়, ভেতরে একটু আতঙ্ক তৈরি হয়।



এ পাতার আরও খবর

বাংলাদেশে রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে বাংলাদেশে রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
পরিবেশ দূষণে দেশে বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ: বিশ্বব্যাংক পরিবেশ দূষণে দেশে বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ: বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশ থেকে আম কাঁঠাল আলু পাটজাত পণ্য নিতে চায় চীন বাংলাদেশ থেকে আম কাঁঠাল আলু পাটজাত পণ্য নিতে চায় চীন
রাজধানীতে ভয়ংকর কিশোর গ্যাং,গডফাদারদের খুঁজে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা রাজধানীতে ভয়ংকর কিশোর গ্যাং,গডফাদারদের খুঁজে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
মুক্তিকামী জনতার ওপর গুলি চালায় মেজর জিয়া: শেখ হাসিনা মুক্তিকামী জনতার ওপর গুলি চালায় মেজর জিয়া: শেখ হাসিনা
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার
ইউনেস্কোর পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস : শিক্ষামন্ত্রী ইউনেস্কোর পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস : শিক্ষামন্ত্রী
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে অপরাধে জড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে অপরাধে জড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা
বঙ্গভবনে ভুটানের রাজাকে নিয়ে কেক কাটলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে ভুটানের রাজাকে নিয়ে কেক কাটলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অপেক্ষা করে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অপেক্ষা করে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল

আর্কাইভ

বাংলাদেশে রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
পরিবেশ দূষণে দেশে বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ: বিশ্বব্যাংক
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর পুরস্কার নিয়ে যা বলছে ইউনূস সেন্টার
বাংলাদেশ থেকে আম কাঁঠাল আলু পাটজাত পণ্য নিতে চায় চীন
রাজধানীতে ভয়ংকর কিশোর গ্যাং,গডফাদারদের খুঁজে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
গাজায়- ইসরাইলি গণহত্যা বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞকে ইসরায়েলর হুমকি
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার
বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
ইউনেস্কোর পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস : শিক্ষামন্ত্রী