শিরোনাম:
●   প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘের সফরে সঙ্গী হচ্ছেন ফখরুল, তাহেরসহ চার রাজনীতিবিদ ●   যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের নানার বাড়িতে ঐতিহাসিক রাষ্ট্রীয় সফর ●   ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইইউর ●   ফেব্রুয়ারিতে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা ●   গাজায় বড় আকারে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল ●   ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ঘোষণা লুক্সেমবার্গের ●   হামাস নেতাদের উপর বিদেশে আবারো হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল ●   ইসরায়েলকে ঠেকাতে ব্যবস্থা নেবেন আরব-মুসলিম নেতারা ●   তিস্তার জন্য বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে চীন ●   নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মামলা করলেন ট্রাম্প
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২

BBC24 News
বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ইঙ্গিত
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ইঙ্গিত
২৯৬ বার পঠিত
বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ইঙ্গিত

---বিবিসি২৪নিউজ,ফরিদা ইয়াসমিন (ওয়াশিংটন) যুক্তরাষ্ট্র থেকে: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নতুন করে সহযোগিতা শুরু করেছে, যা এ অঞ্চলে কৌশলগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাইডেন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের উদ্বেগের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখছে।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করে নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের ওপর জোর দেন। ভিসা বিধিনিষেধের হুমকি সত্ত্বেও বিরোধীদের নানা অভিযোগের মধ্যে অনুষ্ঠিত ভোটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য উভয়েই এই নির্বাচনকে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নয়’ বলে সমালোচনা করেছে।

তবে এবার ভিন্ন বার্তা নিয়ে বাংলাদেশে ফিরেছেন লু। তিনি বিরোধী নেতা এবং অধিকার-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর সাথে বৈঠক এড়িয়ে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এবং জলবায়ু উদ্যোগ জোরদার করার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনে নিচ্ছে - এই পরিবর্তন এমনটিই ইঙ্গিত দেয়। লু স্বীকার করেছেন, পূর্ববর্তী নির্বাচনী সতর্কতা যদিও উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছিল, তবে তিনি এখন ‘এগিয়ে যাওয়ার’ এবং ‘আস্থা পুনর্নির্মাণের’ প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশ ওয়াশিংটনের কাছে কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে। ভারত ও মিয়ানমারের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা এই দেশটিকে চীনের আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ন্ত্রণে মূল্যবান মিত্র হিসেবে দেখা হয়।

জানুয়ারির নির্বাচনের মাত্র এক মাস পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার ‘আন্তরিক ইচ্ছা’ প্রকাশ করেন। তাদের লক্ষ্য একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিসহ বিভিন্ন ইস্যু মোকাবেলা করা।

গত পাঁচ দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও বহুজাতিক ইস্যুগুলোকে ঘিরে জটিল সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্য, যা ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশকে দুঃসময়ে ৬ কোটি ১০ লাখের বেশি কোভিড-১৯ টিকা দিয়েছে ওয়াশিংটন।

ইতিবাচক দিক সত্ত্বেও ২০২১ সালটি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশের র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভার্চুয়াল সামিট ফর ডেমোক্রেসিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি বাইডেন প্রশাসন। তারা ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

চীন বাংলাদেশের অবকাঠামো ও সামরিক খাতে বিনিয়োগ করে। বাংলাদেশ তার যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ভারত ও চীন উভয়ের সঙ্গে ভালো দরকষাকষি করে। তবে কোয়াডের মতো কাঠামোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সহযোগিতা বাড়ানো এই ভারসাম্যকে জটিল করে তুলেছে।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের স্বার্থ

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড ঢাকা সফর করেন। তিনি একটি খসড়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিতে সই করেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের অর্থায়নে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। এই ঘটনা বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি তুলে ধরেছে।

অবকাঠামো উন্নয়নই বাংলাদেশের অগ্রাধিকার। চীন উল্লেখযোগ্য সমর্থন দিচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার, যা অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসায়িক ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়, তারপরও তারা দুর্নীতি ও মানবাধিকার ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করে। দুর্নীতির দায়ে বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের ওপর সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা এই দৃষ্টিভঙ্গিকেই তুলে ধরেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বড় ধরনের কূটনৈতিক চাপ এড়িয়ে বাংলাদেশ সরকারের ওপর প্রভাব বজায় রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে যোগাযোগ একটি কৌশলগত পুনর্বিবেচনার প্রতিফলন। এই দৃষ্টিভঙ্গি গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদী উদ্বেগের সাথে তাত্ক্ষণিক অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত স্বার্থের ভারসাম্য বজায় রাখে।



আর্কাইভ

যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের নানার বাড়িতে ঐতিহাসিক রাষ্ট্রীয় সফর
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইইউর
গাজায় বড় আকারে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল
হামাস নেতাদের উপর বিদেশে আবারো হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল
ইসরায়েলকে ঠেকাতে ব্যবস্থা নেবেন আরব-মুসলিম নেতারা
আপনাদের সঙ্গে পূজা উপলক্ষ্যে বছরে একবার সামনাসামনি দেখা হয়: প্রধান উপদেষ্টা
রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল ভারতের আসাম
লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা
জাকসু নির্বাচনে ২৫ পদের ২০টিতেই জিতল ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ