শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২

BBC24 News
মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » ইউএসএআইডির সহায়তা বাতিল, ২০৩০ সালের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকিতে ১ কোটি শিশু
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » ইউএসএআইডির সহায়তা বাতিল, ২০৩০ সালের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকিতে ১ কোটি শিশু
১৫৩ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইউএসএআইডির সহায়তা বাতিল, ২০৩০ সালের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকিতে ১ কোটি শিশু

---বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম ইউএসএআইডি বাতিল করার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ, যার এক-তৃতীয়াংশ শিশু, মারা যেতে পারে বলে নতুন এক গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ‘দ্য ল্যানসেট’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাটি এমন সময়ে এলো, যখন বিশ্ব ও ব্যবসায়িক নেতারা স্পেনের সেভিয়ায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ত্রাণ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।

জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার আগে ইউএসএআইডি বিশ্ব মানবিক সহায়তার ৪০ শতাংশের বেশি দিত। ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ইউএসএআইডিকে ‘উডচিপারে’ ফেলার দম্ভোক্তি করেছিলেন।

গবেষণার সহলেখক এবং বার্সেলোনার গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের (আইএসগ্লোবাল) গবেষক দাভিদে রাসেলা বলেন, ‘এই তহবিল কর্তন ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুই দশকের অগ্রগতি হঠাৎ থামিয়ে দিতে বা উল্টো পথে নিয়ে যেতে পারে। অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের জন্য এটি বৈশ্বিক মহামারি বা বড় ধরনের সশস্ত্র সংঘর্ষের সমান ধাক্কা হতে পারে।’

১৩৩টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ইউএসএইড তহবিল উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ৯ কোটি ১০ লাখ মৃত্যুরোধ করেছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএইড তহবিলে ৮৩ শতাংশ কর্তনের ঘোষণা দেওয়ার পর গবেষকরা মডেল ব্যবহার করে মৃত্যুহারের সম্ভাব্য প্রভাব অনুমান করেন।

প্রকল্প অনুযায়ী, তহবিল কর্তনের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হবে না, যার মধ্যে ৪৫ লাখের বেশি শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকবে, অর্থাৎ বছরে প্রায় ৭ লাখ শিশু মারা যেতে পারে। তুলনায়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ১ কোটি সেনা নিহত হয়েছিল।

গবেষণায় দেখা গেছে, ইউএসএইড সহায়তাপ্রাপ্ত দেশগুলোতে মৃত্যুহার ১৫ শতাংশ কমেছে। পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে এই হ্রাসের হার দ্বিগুণ, ৩২ শতাংশ। বিশেষ করে এই সহায়তা এইডস, ম্যালেরিয়া এবং উপেক্ষিত ট্রপিক্যাল রোগজনিত মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে।

তবে ইউএসএইড তহবিল কমানোর পর জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দাতা দেশও তাদের বৈদেশিক সহায়তা বাজেট কাটার ঘোষণা দিয়েছে। আইএসগ্লোবালের ক্যাটেরিনা মন্টি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর এই তহবিল কর্তনের ফলে আগামী বছরগুলোতে আরও বেশি মৃত্যু হতে পারে।

গবেষকরা বলছেন, যদি বৈশ্বিক সহায়তার প্রতিশ্রুত পরিমাণ বাড়ানো যায়, তাহলে এই মৃত্যুহার কমিয়ে আনা সম্ভব।

ইউএসএইডের তহবিল কর্তনের আগে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যয়ের মাত্র ০.৩ শতাংশ ছিল। একজন সহলেখক বলেছেন, ‘মার্কিন নাগরিকরা প্রতিদিন প্রায় ১৭ সেন্ট ইউএসএইডে অবদান রাখেন, যা বছরে প্রায় ৬৪ ডলার। এই সামান্য অবদানের মাধ্যমে কোটি কোটি প্রাণ বাঁচানো সম্ভব, যা জানলে বেশিরভাগ মানুষ এই তহবিল চালু রাখার পক্ষে মত দিতেন।’

গবেষক রাসেলা বলেন, ‘এখনই তহবিল কমানোর নয়, বরং বাড়ানোর সময়।’



আর্কাইভ

দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম
ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া
বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নতুন করে দমন–পীড়ন: এইচআরডব্লিউ
হামাস-ইসরায়েল শান্তিচুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ উদযাপন
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: একমত হয়নি রাজনৈতিক দলগুলো
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৫ ডিজির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চীন থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ
এক ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে উপসাগরীয় ৬ দেশ
গাজায় যাচ্ছে আরও ১১টি জাহাজ
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সাত দফা প্রস্তাব: ড. ইউনূসের