
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » সাবেক সচিব, বিচারক ও কর্মকর্তাদের ১২ ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল
সাবেক সচিব, বিচারক ও কর্মকর্তাদের ১২ ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি ভবনে সাবেক সচিব, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া ১২টি ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের গঠিত একটি তদন্ত কমিটির সুপারিশ আমলে নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এসব বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করেছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, ধানমন্ডিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নির্মাণাধীন ওই ভবনে এসব ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত ২৭৪তম বোর্ড সভায় নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে যাদের নামে থাকা ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে তাদের তালিকাও দেওয়া হয়।
তারা হলেন- দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মো. জহুরুল হক (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪১০৫.০৫ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪৩০৮.৬৮ বর্গফুট), সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব এম আসলাম আলম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব আকতারী মমতাজ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সাবেক সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট) এবং সাবেক সিনিয়র সচিব এস. এম. গোলাম ফারুক (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট)।
গৃহায়ন মন্ত্রণালয় বলছে, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ‘গৃহায়ন ধানমন্ডি (১ম পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় অনৈতিকভাবে উচ্চমূল্যের ফ্ল্যাট বরাদ্দের অভিযোগ অনুসন্ধানে অভিযান চালানো হয়। ওই প্রকল্পে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১৩ নম্বর (নতুন ৬/এ) সড়কের ৭১১ নম্বর (নতুন ৬৩) বাড়িতে ১৮টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৬০ শতাংশ (১২টি) সরকারি ও ৪০ শতাংশ (৬টি) বেসরকারি কোটায় বরাদ্দযোগ্য ছিল।
এর আগে গত মে মাসে দুদকের একটি অভিযান দল আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এসব কর্মকর্তাকে নীতিমালা ভেঙে ঢাকার ধানমন্ডিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগের ‘সত্যতা পাওয়ার’ কথা জানিয়েছিল।
দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘দিনের ভোট রাতে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত’ সচিব পদমর্যাদার ১২ কর্মকর্তাকে ‘পুরস্কৃত করতে’ শেখ হাসিনার আমলে পরিকল্পিতভাবে ফ্ল্যাট দেওয়া হয়। গত ৫ মে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেল ওই বিষয়ে খবর সম্প্রচার করে। সেটি আমলে নিয়ে দুদক অভিযানে নামে।