
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » ভয়ংকর হত্যায় ছক কষেছিল ইসরায়েল, বেঁচে যান ইরানি প্রেসিডেন্ট
ভয়ংকর হত্যায় ছক কষেছিল ইসরায়েল, বেঁচে যান ইরানি প্রেসিডেন্ট
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানে হামলার এক পর্যায়ে ইসরায়েল শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে হত্যায় ছক কষেছিল, তাকে হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর মতো একই কৌশলে হত্যার লক্ষ্যে হামলাও চালিয়েছিল তারা, কিন্তু সফল হতে পারেনি।
রোববার ইরানি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর সংশ্লিষ্ট বার্তা সংস্থা ফার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৬ জুন আকাশ পথে ইসরায়েলের এক হামলায় পেজেশকিয়ান সামান্য আহত হয়েছিলেন।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, সেদিন তেহরানের পশ্চিমে একটি ভবনে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ার ঘটনায় ইরানি প্রেসিডেন্ট পায়ে আঘাত পান। ওই ভবনটিতে সেসময় ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক চলছিল।পেজেশকিয়ান ছাড়াও ওই বৈঠকে সেদিন পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘার গালিবাফ, বিচারবিভাগের প্রধান মোহসেনি এজেই ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ফার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননের বৈরুতে হাসান নাসরাল্লাহকে যেভাবে মারা হয়, সেই একই কৌশল অবলম্বনে ইসরায়েল পেজেশকিয়ানকে হত্যার প্রস্তুতি নিয়েছিল। বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দিতে ও বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে তেহরানের পশ্চিমের ওই ভবনের প্রবেশ ও প্রস্থান পথ লক্ষ্য করে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র মারে ইসরায়েল।
ইরানি কর্মকর্তারা ছিলেন ভবনের নিচের দিককার অংশে। বিস্ফোরণগুলোর পর ওই তলার বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে আগেই একটি গোপন জরুরি পথ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল, হামলার পর ওই পথ দিয়েই কর্মকর্তারা ভবনটি থেকে বের হন, বলছে ফার্সের প্রতিবেদন।
বের হওয়ার সময় পেজেশকিয়ানসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তাও সামান্য আহত হন।
এরকম একটা সংবেদনশীল বৈঠকের খবর ইসরায়েল কীভাবে জেনেছে, তার তদন্তে ইরানিরা এখন নিজেদের ভেতর সম্ভাব্য অনুপ্রবেশকারীর খোঁজ করছে বলেও প্রতিবেদনে আভাস মিলেছে।
কয়েকদিন আগে মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গত বছরই ইরানের প্রেসিডেন্ট হওয়া পেজেশকিয়ানও তাকে হত্যায় ইসরায়েল চেষ্টা চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছিলেন।
“তারা চেষ্টা করেছিল, হ্যাঁ, ব্যবস্থাও নিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে,” বলেছিলেন তিনি।
ইরান ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৬ জুন ইসরায়েল পশ্চিম তেহরানে শাহরাক-এ গার্বের কাছে এক এলাকায় হামলা চালিয়েছিল।
১২ দিনের এ যুদ্ধে বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর কমান্ডার হোসেইন সালামি, ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর বিমান বাহিনীর কমান্ডার আমির আলি হাজিজাদেহসহ ডজনের বেশি ইরানি সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীকে ইসরায়েল হত্যা করেছে।
ইসরায়েল ওই সময়ে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যারও পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু তক্কে তক্কে থেকেও তেল আবিব তার ওপর হামলার সুযোগ পায়নি বলে আগের বেশকিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।