শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » পুঁজিবাজারে অচল, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » পুঁজিবাজারে অচল, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
১১৫২ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পুঁজিবাজারে অচল, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক: পতনের ধারা থেকে পুঁজিবাজারকে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।পুঁজিবাজারে ধসে বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে বুধবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় এ প্রসঙ্গ তোলেন বিরোধী দলের এই সংসদ সদস্য।

ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, “৩০ বছর ধরে শেয়ারবাজারে যাতায়াত করে, এখন পায়ে জুতা নেই। তারা বলে আমাদের দেখার কী কেউ নেই? আমাকে বলেছে সংসদে গিয়ে বলতে।

“সমস্ত দোষ বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয়। তারা (বিএসইসি) যে পচা কোম্পানি আনছে, সে ব্যাপারে কিছু করা হচ্ছে না। কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত নেওয়া হয় নাই। ১০ টাকার শেয়ার ৩০ টাকা প্রিমিয়াম হতে পারে না। কীভাবে বাজারে আসল? ইস্যু ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। মার্চেন্ট ব্যাংককে জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে না।”

ফিরোজ রশীদ বলেন, “প্রশান্ত হালদার নামে একটা লোক নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান করে ৩ হাজার ৫শ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। উনি এখন উধাও হয়ে গেছে। এভাবে টাকা চলে যাচ্ছে কার জবাব কে নেবে, কার জবাব কে দেবে। কোনো জবাবদিহিতা নেই।”

পরে বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, “মন্ত্রীরা বিপর্যয় দেখতে পান না। তারা বলেন, সঙ্কট নাই। আমরা হতভম্ভ হয়ে যাই, বিস্মিত হয়ে যাই। গত এক সপ্তাহ ধরে মানুষ শেয়ারবাজারের জন্য রাস্তায় শুয়ে পড়েছে। কান্নায় বিপর্যস্ত। লক্ষ লক্ষ পরিবার ধুলায় মিশে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে আমরা আশ্বস্ত হতে পারছি না।

“পত্রিকায় খবর এসেছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চলে যাচ্ছে, অথচ আমরা আজ মুজিববর্ষ পালন করছি, বলছি দেশে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এত উন্নতি, চারদিকে বিশাল বিশাল স্থাপনা বানাচ্ছি। অথচ অর্থনীতির কী বিপর্যয়কর অবস্থা!”

পরে সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায়ও পুঁজিবাজার নিয়ে কথা বলেন বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আর শেয়ার বাজার ধ্বংস, এটা সমার্থক। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের পর এখন আবার শেয়ার বাজার ধসে পড়েছে। শেয়ার বাজার সবচেয়ে বড় ক্যাসিনো। লাখ লাখ মানুষকে পথে বসানো হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে।”

সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো এখন বিপজ্জনক অবস্থায় আছে দাবি করে রুমিন বলেন, “শীর্ষ অর্থনীতিবিদরা একটা মন্দার পূর্বাভাস দিচ্ছেন। এটা নিয়ে কোনো দিক নির্দেশনা নেই রাষ্ট্রপতির ভাষণে।”

বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এক দশকের মাথায় আরও একটি বড় ধসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক আবার নেমে এসেছে ভিত্তি পয়েন্টেরও নিচে।

বাজারের এই করুণ দশায় ফের রাস্তায় নেমেছেন ছোট বিনিয়োগকারীরা। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে তারা মঙ্গলবার মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন।

পুঁজিবাজারের অবস্থা তুলে ধরে ফিরোজ রশীদ বলেন, “সমস্ত পত্রিকায় নিউজ হচ্ছে শেয়ার বাজার নিয়ে। আজকে লিড নিউজ হয়েছে, ‘মাটিতে শুয়ে গেছে শেয়ার বাজার’, বিক্ষোভ করছে বিনিয়োগকারীরা।

“শেয়ার মার্কেট নিয়ে কেন এমন হল? বিশেষজ্ঞরা বলছে, মার্কেটে সুশাসনের অভাব। বিনিয়োগকারীরা ভরসা পাচ্ছে না। এটা বাজারের জন্য অশনি সঙ্কেত।”

“যদি প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন তবে বাজার ফিরে আসতে পারে,” বলেন জাতীয় পার্টির এই নেতা।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের কাজ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

ফিরোজ রশীদ বলেন, “এটা কেন হচ্ছে? মাননীয় মন্ত্রী মিটিং করেছিলেন। সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন ছিল। স্টেক হোল্ডাররা ছিল। আমাদের মন্ত্রীর সামনে আমি কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছিলাম। বলেছিলাম দুর্বল কোম্পানিগুলো যেগুলো, তার লিস্টিং যাতে না নেয়।”

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে শেয়ার মার্কেট ডিমিউচুয়ালাইজেশন হয়ে গেছে। বলা হল এটা করা হলে আমাদের কাছ থেকে ৭ বছর ট্যাক্স নেওয়া হবে না। দুই বছর পর আমাদের ওপর ট্যাক্স আরোপ করা হচ্ছে।

“এই যে শেয়ার মার্কেটের অবস্থা একমাত্র কারণ দুর্বল কোম্পানিকে শেয়ার বাজারে লিস্টিং দেওয়া হয়েছে। আমাদের কিছু করার থাকে না। লিস্টিং দেয় সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন। আমরা বারবার বলি এই কোম্পানির লিস্টিং দিতে পারব না। কিছু মার্চেন্ট ব্যাংক, ইস্যু বরোয়ার এসব দুর্বল ও পচা কোম্পানি নিয়ে আসছে বাজারে। বিনিয়োগকারীদের রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে।

“এসইসি যারা দেখাশোনা করবে, তারা পচা কোম্পানিগুলো গছিয়ে দিচ্ছে। এই কোম্পানির শেয়ার নেমে আসতে ৭,৮, ১০ টাকায় নেমে আসে। মূল দামের নিচে চলে আসে। বিনিয়োগকারীরা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ১০ টাকার শেয়ার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পড়ে ১৫ টাকায় নেমে এসেছে। বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় বসে গেছে।



আর্কাইভ

বাংলাদেশের সঙ্গে টানাপড়েন মিটমাট করতে আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের
সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দম্পতির
দেশে আরও ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট
১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না: যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
চীন- রাশিয়ার সম্পর্ক ‘নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছেছে
মোদির জয়ের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে
রাফায় হামলা নিয়ে ইসরাইলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিল ইইউ
দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী আহত, অবস্থা আশঙ্কাজনক