শিরোনাম:
●   ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ ●   বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করেনি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ●   বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ●   ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান, নিষিদ্ধ হংকং-সিঙ্গাপুর ●   ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ●   ভারতে মানবাধিকার ব্যাপক লঙ্ঘন হয়েছে: মার্কিন প্রতিবেদন ●   স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরকারি দায়িত্ব থেকে দূরে থাকছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ●   যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনার উদাত্ত আহ্বান ●   যুক্তরাষ্ট্র রাজনীতির থেকে সরে এলে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে কে : বাইডেন ●   হিট অ্যালার্ট আরও ৩ দিন বাড়ছে
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

BBC24 News
শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » আফগানিস্তানে তালেবানের বিজয়?
প্রথম পাতা » এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » আফগানিস্তানে তালেবানের বিজয়?
১৩৬৯ বার পঠিত
শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আফগানিস্তানে তালেবানের বিজয়?

---বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন৷ এরপর ন্যাটোও তাদের সৈন্য সরিয়ে নেবে বলে জানিয়েছে৷ এই সিদ্ধান্তের পরিণতি কী হতে পারে তা বিশ্লেষণ করছে ডিডাব্লিউ৷ প্রায় ২০ বছর আগে আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবান সরকারকে উৎখাত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি আফগানিস্তানের কোনো পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবেনা বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ মঙ্গলবার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) মনে করেছেন শর্তসাপেক্ষে এগোনো, যা গত দুই দশকে করা হয়েছে, সেটি আফগানিস্তানে চিরদিনের মতো থেকে যাওয়ার একটা রেসিপি৷’’ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ মের মধ্যে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ বাইডেনের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অনেক বিশেষজ্ঞ অবাক হয়েছেন, কারণ তারা আশা করেছিলেন বাইডেন ট্রাম্পের নীতি পালটে দেবেন৷ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে যে চুক্তি হয় তারপর থেকে আফগানিস্তানে সহিংস হামলা বেড়েছে৷ তালেবান অবশ্য এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি৷ তবে দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে তালেবানের রাজি না হওয়ার বিষয়টি, তাদের ইচ্ছা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ জাগিয়েছে৷ তালেবান বলেছে, দেশ থেকে সব মার্কিন সেনা চলে না গেলে তারা ২৪ এপ্রিল থেকে তুরস্কে শুরু হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেনা৷ ‘‘তুরস্কে আফগান সম্মেলনের ফলাফল মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নির্ধারণ করবে,’’ বলে ডয়চে ভেলেকে জানান কাবুলের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ শফিক হামদাম৷ তিনি মনে করেন, সম্মেলনে যদি তালেবান ও অন্যান্য আফগানদের সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন সম্ভব হয় তাহলে আফগানিস্তান থেকে তড়িঘড়ি করে সেনা চলে যাওয়ার ক্ষতিটা সামাল দেয়া যাবে৷ ‘‘কিন্তু যদি সম্মেলন সেটা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে আমার আশঙ্কা,’’ বলেন হামদাম৷ মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির নির্বাচিত সরকারকে তালেবানের দয়ার উপর ছেড়ে দেবে৷ কারণ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদন বলছে, আফগান সরকার ‘আত্মবিশ্বাসী’ তালেবানের বিরুদ্ধে ‘সমস্যায়’ পড়বে৷ ঐ রিপোর্টে বলা হয় তালেবান ‘সামরিক বিজয় অর্জনের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী’৷ বিশ্লেষক হামদাম বলেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের উপর আর্থিক ও সামরিক বিষয়ে নির্ভরশীল, এবং তাদের সহায়তা ছাড়া তারা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে৷’’ শুধু তালেবান নয়, তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএসও আফগানিস্তানে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে৷ সাংসদ রায়হানা আজাদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আগের চেয়ে তালেবানের শক্তি বেড়েছে৷ আইএস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর শক্তিও বেড়েছে৷ ফলে আফগানিস্তান থেকে তড়িঘড়ি ও দায়িত্বহীনভাবে সেনা প্রত্যাহার শুধু আফগানিস্তান নয়, এই অঞ্চল তথা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে৷’’ গত দুই দশকে নারী অধিকারসহ নানা বিষয়ে যে সফলতা এসেছে তা হারিয়ে যাওয়ারও শঙ্কা আছে৷ মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে তালেবান একমত হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়৷ আজাদ বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে অনেক বেশি ছাড় দিয়েছে৷ আফগান জনগণকে এর মূল্য দিতে হবে৷ তারা অনুভব করছে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের পরিত্যাগ করেছে৷’’ অবশ্য বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ মনে করছে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা আফগানিস্তানকে একটি কঠিন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে৷ ‘‘শর্তহীনভাবে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের মূল দাবি মেনে নিয়েছে৷ এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আশা করবে, তালেবান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যোগ দেবে৷ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আর কোনো কারণ নেই,’’ ডয়চে ভেলেকে বলেন কাবুলের সামরিক বিশেষজ্ঞ আসাদুল্লাহ নাদিম৷ এছাড়া বাইডেনের সিদ্ধান্তের কারণে আফগানিস্তানে আরও বড় ভূমিকা রাখতে চাওয়া আঞ্চলিক শক্তিগুলোর জন্য ভালো হবে৷ পাকিস্তান, ভারত, চীন ও রাশিয়ার আফগানিস্তান নিয়ে নিজস্ব কৌশলগত আগ্রহ আছে, যেটা মার্কিন উপস্থিতি না থাকলে পূরণ করতে সুবিধা হবে৷



আর্কাইভ

ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করেনি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান, নিষিদ্ধ হংকং-সিঙ্গাপুর
ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ভারতে মানবাধিকার ব্যাপক লঙ্ঘন হয়েছে: মার্কিন প্রতিবেদন
স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরকারি দায়িত্ব থেকে দূরে থাকছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র রাজনীতির থেকে সরে এলে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে কে : বাইডেন
হিট অ্যালার্ট আরও ৩ দিন বাড়ছে
মার্কিন সিনেটে ইউক্রেন-ইসরায়েল ৯৫ বিলিয়ন সহায়তা বিল পাস