শিরোনাম:
●   যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে পৃথিবীকে ১৫০বার ধ্বংস করা সম্ভব: ট্রাম্প ●   শাহরুখ খানের জন্মদিন : গণহত্যার সময় বিলিয়নিয়ার হওয়ার অর্থ কী ●   বিশ্বের ভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্বদের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ●   শাপলা কলি’ নিচ্ছে এনসিপি, নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা ●   সম্রাটদের সমাধিসহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘর চালু মিশরে ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা ●   রুশ সেনাদের আক্রমণপ কঠিন পরিস্থিতির মুখে ইউক্রেন ●   বিএনপি মাঠে নামলে অন্তর্বর্তী সরকারের টিকবে না : গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ●   নৌকা’ উপহার নিয়ে বিপাকে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির কী করবেন জানতে চাইলেন ফেসবুকে ●   পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়ন, উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২

BBC24 News
শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু » চাপে পড়ে এক ঘরে হয়ে পড়ছে মিয়ানমার সামরিক জান্তাহুপ
প্রথম পাতা » এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু » চাপে পড়ে এক ঘরে হয়ে পড়ছে মিয়ানমার সামরিক জান্তাহুপ
৫৮৯ বার পঠিত
শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চাপে পড়ে এক ঘরে হয়ে পড়ছে মিয়ানমার সামরিক জান্তাহুপ

---বিবিসি২৪নিউজ,এশিয়া ডেস্কঃ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ২০২১ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করে যে সরকার প্রধান অং সান সু চি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করার পর তারা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সেসময় পরবর্তী এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে রাজধানী নেপিডো এবং প্রধান শহর ইয়াঙ্গনে কারফিউ জারি করা হয়।

এর পরে হাজার হাজার মানুষ কয়েক সপ্তাহ ধরে কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে শুরু করে।তার আগে ২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির দল এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।

ওই নির্বাচন নিয়ে বেসামরিক সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে
মতপার্থক্যের সূত্র ধরে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে।
সামরিক বাহিনী রাজনীতিতে কবে থেকে?
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার কিছুকাল পরই বার্মার রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর প্রবেশ ঘটে। শুরুতে পরোক্ষ এবং পরে প্রত্যক্ষভাবেই সম্পৃক্ত হয় তারা।

এক সময় এই সম্পৃক্ততা রাজনীতিতে সেনাবাহিনীকে প্রভাব বিস্তারের পর্যায়ে নিয়ে যায়।

এখন অবস্থা এমন যে দেশটির পার্লামেন্টে সামরিক বাহিনীর জন্য এক চতুর্থাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

কিংস কলেজ লন্ডনের সমরবিদ্যা বিভাগের সিনিয়র ফেলো, এশিয়া বিশ্লেষক আয়েশা সিদ্দিকা বলছেন, স্বাধীন হওয়ার কিছুকালের মধ্যেই দেশটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বর্মীদের সাথে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

ওই সময় নিরাপত্তার নামে এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের অভাবে রাজনীতিতে ঢুকে পড়ে সামরিক বাহিনী।

তিনি বলেন, “শুরু থেকেই বার্মিজ আর্মি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। কারণ সমাজে নৃ-গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিভেদ ছিল। সম্পদের বণ্টন নিয়ে বিরোধ এবং শক্তিশালী কোন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান না থাকাটাও এর কারণ। এভাবেই তারা রাজনীতিতে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে, এবং নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।”

আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, পরে এই অবস্থা বদলাতে শুরু করে বিশেষত পশ্চিমা দেশগুলোর চাপে।

“তখন অং সান সু চি গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পান, নির্বাচনে লড়ার অনুমতি পান। নির্বাচনে তার জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তিনি সরকার গঠন করেন। কিন্তু সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা কমানোর সামর্থ্য তার ছিল না। আর অং সান সু চির অন্যতম একটি ত্রুটি হচ্ছে তিনি যে আন্দোলনের কর্মী এই পরিচয়টা ঝেড়ে ফেলেছিলেন। তার বদলে তিনি হয়ে ওঠেন একজন পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ,” বলেন তিনি।৷ যাচ্ছেন?

মিয়ানমারে ফৌজি সংস্থার সঙ্গে ভারতীয় কোম্পানির বাণিজ্য

এ সপ্তাহেই সেনাবাহিনীর জঙ্গী হেলিকপ্টার থেকে উত্তরাঞ্চলের সাগাইঙ্গ অঞ্চলের একটি স্কুলে হামলা চালানোর পর অন্তত ১১টি শিশু নিহত এবং আরও ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ।

সামরিক সরকার বলেছে, তারা স্কুলে লুকিয়ে থাকা বিদ্রোহীদের ওপর আক্রমণ করেছিল।

এই মূহুর্তে চারটি রাজ্যে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত তীব্র রূপ নিয়েছে। এর মধ্যে রাখাইন অন্যতম, এবং এই সহিংসতার ছোঁয়া এসে লেগেছে বাংলাদেশেও।বলেন তিনি।

যদিও প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, মার্বেল, লাইমস্টোন, টিন, জিঙ্ক, কপারসহ নানা ধরনের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে মিয়ানমারের।

কিন্তু তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব বড় খনিজ সম্পদের বড় অংশ ব্যবহার করতে পারছে না মিয়ানমার।

সামরিক জান্তা যেভাবে চাপ সামাল দিচ্ছে
নানামুখী চাপের কারণে সামরিক জান্তা বেকায়দায় রয়েছে এমন খবর শোনা যায় না।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, তার একটি বড় কারণ গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি আর নজরদারির কারণে দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতির খবরাখবর বাইরের দুনিয়ায় তেমন পৌঁছায় না।

তাছাড়া চীনসহ কয়েকটি বন্ধুপ্রতিম দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে তারা এখনো টিকে আছে।

প্রায় ৩০টির মত চীনা কোম্পানি মিয়ানমারের তেল, গ্যাস ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ উত্তোলনে বিনিয়োগ করেছে। এছাড়াও মিয়ানমারে অস্ত্র কারখানা নির্মাণ করেছে চীন।
জ্বলছে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মহসিন বলছেন, মিয়ানমারের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের গুরুত্ব এবং বিদেশি বিনিয়োগের ওপর ভর করে সামরিক জান্তা পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞাকে গুরুত্ব না দিয়ে চলতে পারছে।

তিনি বলেন, “যেহেতু ওখানে অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ আছে, তাছাড়া ওরা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, চীনের সাথে ব্যবসা আছে, মিয়ানমারে সিঙ্গাপুর, জাপান এবং ভারতের বিনিয়োগ আছে, সে কারণেই আমরা দেখি ওরা সবকিছু পার করে যেতে পারছে।”

“যেহেতু রাষ্ট্রের চরিত্রটা একটু ভিন্ন, ওরা কোনকিছুর তোয়াক্কা করে না- মানবাধিকারের ব্যাপার নাই, গণতন্ত্রের ব্যাপার নাই, ওদের তো জবাবদিহিতারও কোন ব্যাপার নাই, এজন্য দেখি যে ওরা এসব (বিভিন্ন চাপ) কিছু পার হয়ে যায়। কিন্তু ওরা নিশ্চিতভাবেই চাপে আছে, যদিও সেটা ভেতরের চেয়ে বাইরে থেকে বেশি,” বলেন তিনি।

তবে নানাদিক থেকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা চাপে পড়লেও এখনই তাদের উৎখাত করা যাবে পরিস্থিতি এমন নয়। কিন্তু যেভাবে সহিংসতা নানা মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে, প্রাণহানি এবং অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে, তাতে এটুকু আদাজ করা যায় যে এ সংঘাত হয়তো চলবে আরো অনেকদিন।

এবং তার ফলে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী সব দেশেরই আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ছে।



আর্কাইভ

শাপলা কলি’ নিচ্ছে এনসিপি, নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা
সম্রাটদের সমাধিসহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘর চালু মিশরে
রুশ সেনাদের আক্রমণপ কঠিন পরিস্থিতির মুখে ইউক্রেন
নৌকা’ উপহার নিয়ে বিপাকে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির কী করবেন জানতে চাইলেন ফেসবুকে
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়ন, উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে
৭১-এর হত্যাযজ্ঞে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জামায়াতে ইসলামী
ট্রাম্পের কাছে যে কারণে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
চীনের জন্য বিশেষ সুযোগ করে দিল যুক্তরাষ্ট্র
ইসরাইলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘকে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান ইহুদিদের
মধ্যপ্রাচ্য পশ্চিম তীর যুক্ত করার বিল অনুমোদন করলো ইসরায়েল