ই-ভিসা চালু করেছে সৌদি আরব
বিবিসি২৪নিউজ,কুটনৈতিক প্রতিবেদক ঢাকা: সৌদি আরবে গমনেচ্ছুদের ভ্রমণ সহজ করার জন্য এখন থেকে ই-ভিসা দেওয়া হবে। নতুন ব্যবস্থা আজ (১ মে) থেকে কার্যকর হয়েছে। সৌদি আরবের নতুন ই-ভিসা ব্যবস্থা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে শুরু হলো বলে জানিয়েছেন ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘গত একবছর ধরে এই কার্যক্রম চলছিল। এখন ভিসা স্টিকার ব্যবস্থা বাতিল করে ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু হলো।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের ভিশন হচ্ছে— সব প্রক্রিয়া ইলেকট্রনিক মাধ্যমে করার এবং এর ফলে গোটা ব্যবস্থা সহজ হবে।’
ভিসা স্টিকার খরচ সাপেক্ষ এবং এখানে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, ‘এখন থেকে একটি এ ফোর সাইজের পেপারে ভিসা প্রিন্ট দেওয়া হবে এবং এর নিচে একটি বারকোড আছে, যেখানে সব তথ্য জমা থাকবে। নতুন ব্যবস্থার কারণে শ্রমিক, চাকরিদাতা, মেডিক্যাল সেন্টারসহ অন্যান্য সবাই উপকৃত হবেন।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ভিসা স্টিকারে শুধুমাত্র আরবি ভাষায় তথ্য লেখা থাকতো, কিন্তু ই-ভিসা পদ্ধতিতে আরবি ও ইংরেজিতে তথ্যগুলো থাকার কারণে বাংলাদেশিরা সহজে বুঝতে পারবেন— কতদিনের ভিসা বা কী ধরনের ভিসা।’
দালালদের দৌরাত্ম্য
দালালদের দৌরাত্ম্যের কারণে শ্রমিক, চাকরিদাতা ও কর্তৃপক্ষ সমস্যায় পড়ে জানিয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘শ্রমিকদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে এসব দালাল টাকা নেয়। কিন্তু এর জন্য শ্রমিক বা চাকরিদাতা কেউই দোষী না বরং ওই দালালরা দোষী।’
তিনি বলেন, ‘আমি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কাছে আহ্বান জানাই— যাতে করে তারা শ্রমিকদেরকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে। শ্রমিকরা যাওয়ার আগে যেন জানে যে, তাদের বেতন কত এবং কোথায় কিভাবে কাজ করবেন।’
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘অনেক সময় শ্রমিকদের ব্ল্যাকমেইল করা হয়। তাদেরকে বলা হয় যে, সৌদি দূতাবাস টাকা খায়। কিন্তু আমি বলতে চাই, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
সৌদি আরবে এখন কোনও ফ্রি ভিসা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য ভিসা দেওয়া হয়। শ্রমিক ভিসার মেয়াদ দুই বছর।’