শিরোনাম:
●   যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা, ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী ●   যুক্তরাষ্ট্রের তিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের বিপুল জয়, প্রথম পরীক্ষায় হারলেন ট্রাম্প ●   নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি ●   জলবায়ু তহবিলের ২১১০ কোটি টাকার দুর্নীতি: টিআইবি ●   নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু ●   ভারত–বাংলাদেশের ভিসা জালিয়াতি, কঠিন হচ্ছে কানাডা: সিবিসির প্রতিবেদন ●   যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে পৃথিবীকে ১৫০বার ধ্বংস করা সম্ভব: ট্রাম্প ●   শাহরুখ খানের জন্মদিন : গণহত্যার সময় বিলিয়নিয়ার হওয়ার অর্থ কী ●   বিশ্বের ভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্বদের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ●   শাপলা কলি’ নিচ্ছে এনসিপি, নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা
ঢাকা, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

BBC24 News
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় | পরিবেশ ও জলবায়ু » বাংলাদেশে এত ঘন কুয়াশার কারণ কী?
প্রথম পাতা » জাতীয় | পরিবেশ ও জলবায়ু » বাংলাদেশে এত ঘন কুয়াশার কারণ কী?
১৬৭৫ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে এত ঘন কুয়াশার কারণ কী?

---বিবিসি২৪নিউজ,মোরশেদ আলী:দেশে শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশাও বেশ দাপট দেখিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ বছর কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারেও নেমে এসেছে।বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন জানান, কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা তিন হাজার মিটার বা তার কম হলে তাকে “পুওর ভিজিবিলিটি” বলা হয়।

সাধারণত বিমানবন্দরে দৃষ্টিসীমা কমে গেলে বিমান চলাচল ব্যাহত হয় বলেও জানান তিনি।

“তিন হাজার মিটার বা তার নিচে আসলেই আমরা এভিয়েশন ওয়ার্নিং দেই, দুই হাজার বা তার নিচে আসলে তখন বিমান নামতেও পারে না,” বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “সোমবার সকালে বাংলাদেশে দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারে নেমে এসেছিল।”

এর আগের বছর গুলোতেও জানুয়ারি মাসে এ ধরণের ভিজিবিলিটি বা দৃষ্টিসীমা ছিল বলেও জানান আবহাওয়াবিদ মিস্টার হোসেন।

সোমবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, সারাদেশে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।

নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা শবনম মোশফিকা অনি বলেন, অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবছর শীতে বেশ ঘন কুয়াশা দেখেছেন তিনি। বিশেষ করে সকাল বেলা কুয়াশা বেশ ঘন থাকে বলে জানান তিনি।

“এতো কুয়াশা থাকে যে এক হাত দূরের কিছু দেখা যায় না,” বলেন তিনি।

কুয়াশা কিভাবে সৃষ্টি হয়?

আবহাওয়াবিদ মিস্টার হোসেন বলেন, “কুয়াশাকে আমরা “লো ক্লাউড” বলি।”

শীতের সময় তাপমাত্রা কম থাকে এবং মাটিতে থাকা আদ্রতা উপরে উঠে গিয়ে কুয়াশা তৈরি করে।

এছাড়া “অ্যাডভেকশন ফগ” বা মাটির তুলনায় বাতাস উষ্ণ এবং আদ্রতা বেশি থাকার কারণে যে কুয়াশা তৈরি হয়ে ভেসে বেড়ায়- এ ধরণের কুয়াশা ভারত থেকে বাতাসের তোড়ে বাংলাদেশে চলে আসে বলেও জানান মিস্টার হোসেন।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শাহ আলম বিবিসিকে বাংলাকে বলেন, কুয়াশা তৈরির পেছনে বাতাসের আদ্রতা ও তাপমাত্রার পার্থক্য দায়ী থাকে। তবে এবার রাতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার আগেই কুয়াশা তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আর বাতাস কম থাকার কারণে কুয়াশা সরে যেতে পারছে না।

“কুয়াশা আইসের(বরফের) একটা অংশ। এটা আমাদের দেশে ছোট থাকে, অন্যান্য দেশে তাপমাত্রা অনেক কমে যায় বলে সেটা বড় আকার ধারণ করে ঝড়ে পড়ে, যাকে স্নো বলে। আমাদের দেশে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকে বলে স্নো হয় না, তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টির মতো ছোট ছোট ফোটা হয়ে ঝড়ে পড়ে,” মিস্টার আলম বলেন।

বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা এবং চীনেও কুয়াশা তৈরি হয়।

বাংলাদেশে ঘন কুয়াশার কারণ কী?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, পৌষ মাসে বা পৌষ মাসের শেষে কুয়াশা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

তবে ঘন কুয়াশা তৈরির পেছনে কিছু কারণ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, “জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘের মতো হয় কিন্তু নিচের মাটি ঠাণ্ডা থাকার কারণে এটি উপরে ওঠে না। এর সাথে যোগ হয় ধুলা এবং গাড়ির ধোঁয়া।”

ঢাকা দূষণের শহর হওয়ার কারণে এখানে ধুলা এবং ধোঁয়ার আধিক্য থাকে। যার কারণে কুয়াশাও ঘন হয়।

এক্ষেত্রে ভারতের রাজধানী দিল্লির উদাহরণ টেনে ড. হাফিজা খাতুন বলেন, “সেখানে ঘন কুয়াশার অন্যতম কারণ পরিবেশ দূষণ। আমাদের দেশেও বিশেষ করে ঢাকা শহরে একই ধরণের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে”।

এছাড়া যেখানে তাপমাত্রার উঠানামা বেশি থাকে সেখানেই কুয়াশা তৈরির সুযোগ বেশি থাকে।

একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাজনীন আফরোজ হক বলেন, “দূষণ বেশি হলে কুয়াশাও বেশি হবে।”

এশিয়াতে বাংলাদেশ এবং ভারতে ঘন কুয়াশা বেশি হয়। পাকিস্তানে কুয়াশা হলেও ঘন কুয়াশা কম হয় বলে জানান তিনি।
কুয়াশা থাকলে কী হয়?

কুয়াশার কারণে সূর্যের কিরণ ঢুকতে না পারার কারণে তাপমাত্রা কম থাকে এবং শীত অনুভূত হয়।

এছাড়া সূর্যের কিরণ গাছপালায় পৌঁছাতে না পারায় পাতায় সালোক-সংশ্লেষণের পরিমাণ কমে যায়। এতে একদিকে গাছের খাদ্য কম পরিমাণে তৈরি হয়ে এবং গাছ পুষ্টি কম পায়, অন্যদিকে একই কারণে অক্সিজেনের উৎপাদনও কমে যায়।

পরিবেশবিদ ড. হাফিজা খাতুন বলেন, “শীতে কুয়াশার কারণে রবি শস্যের উৎপাদন কমে যায়।”

“পোকা-মাকড়ের ক্ষেত্রেও তাই। কারণ তাদেরও ইকোলজিক্যাল একটা ব্যাপার থাকে,” তিনি বলেন।

এই পোকামাকড়ের কারণে শস্যে পরাগায়ন কমে যায়। আবার নানা ধরণের ক্ষতিকর পোকার আক্রমণেও ফসল কম হয়।

ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে, শিল্প-কারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া বাতাসে মিশতে না দিলে এবং নির্মাণ কাজ থেকে তৈরি হওয়া ধুলা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে কুয়াশার ঘনত্ব কমিয়ে আনা সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।



আর্কাইভ

যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা, ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী
যুক্তরাষ্ট্রের তিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের বিপুল জয়, প্রথম পরীক্ষায় হারলেন ট্রাম্প
জলবায়ু তহবিলের ২১১০ কোটি টাকার দুর্নীতি: টিআইবি
ভারত–বাংলাদেশের ভিসা জালিয়াতি, কঠিন হচ্ছে কানাডা: সিবিসির প্রতিবেদন
শাপলা কলি’ নিচ্ছে এনসিপি, নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা
সম্রাটদের সমাধিসহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘর চালু মিশরে
রুশ সেনাদের আক্রমণপ কঠিন পরিস্থিতির মুখে ইউক্রেন
নৌকা’ উপহার নিয়ে বিপাকে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির কী করবেন জানতে চাইলেন ফেসবুকে
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়ন, উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে
৭১-এর হত্যাযজ্ঞে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জামায়াতে ইসলামী