শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

BBC24 News
শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » গণহত্যা থামাতে ইসরায়েলকে আইসিজের নির্দেশ
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » গণহত্যা থামাতে ইসরায়েলকে আইসিজের নির্দেশ
২৫২ বার পঠিত
শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গণহত্যা থামাতে ইসরায়েলকে আইসিজের নির্দেশ

---বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ইসরায়েলকে গাজায় হত্যা ও ধ্বংস বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপকে গণহত্যা বলে অভিযোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকার আনা একটি মামলার অংশ হিসেবে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে আদালত গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা এ ব্যাপারে অনুরোধ করেছিল।

নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এ আদেশ গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হচ্ছে কিনা তা নিয়ে এটি হলো মামলার প্রথম পদক্ষেপ।

জানুয়ারির শুরুতে আদালতে সাক্ষ্য দিলে ইসরায়েল গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।

গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়ের করা মামলার রায় আসতে কয়েক বছর সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১৭ জন বিচারকের একটি প্যানেল থেকে আইসিজে-এর আদেশ একটি উপদেষ্টা মতামত যা আদালত দ্বারা প্রয়োগযোগ্য নয়।তবে এটি এখন গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযান শুরুর প্রায় চার মাস পর গাজায় যুদ্ধবিরতির মতো ইসরায়েলের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়াতে কাজ করবে।

আদালতের প্রেসিডেন্ট মার্কিন বিচারক জে দোঙ্গু বলেন, আদালত এ অঞ্চলে যে মানবিক ট্র্যাজেডি উদ্ঘাটন করছে তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

গণহত্যামূলক বলে বিবেচিত হতে পারে—এমন যেকোনো কাজ প্রতিরোধে ইসরায়েলকে অবশ্যই সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনো গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা, শারীরিক ক্ষতি ঘটানো, কোনো গোষ্ঠীর ধ্বংস ঘটাতে পরিকল্পিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, জন্ম রোধ করা, ইত্যাদি গণহত্যামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।

ইসরায়েলকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, তাদের সামরিক বাহিনী কোনো গণহত্যামূলক কাজ করবে না।

গাজায় গণহত্যার জন্য উসকানি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে—এমন যেকোনো প্রকাশ্য মন্তব্য ইসরায়েলকে অবশ্যই প্রতিরোধ ও শাস্তি দিতে হবে।

মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

গণহত্যার মামলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন প্রমাণের ধ্বংস ইসরায়েলকে অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে।

ইসরায়েলকে এ আদেশের এক মাসের মধ্যে আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

আদালত হামাসের হাতে জিম্মিদের ভাগ্য নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজার বর্তমান সংঘাত শুরু হয়েছিল ৭ অক্টোবর। সেই দিন হামাসের শত শত যোদ্ধা গাজা উপত্যকা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালায়।

সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয়। জবাবে হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার করে ইসরায়েল ওই অঞ্চলে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার মানুষ নিহত এবং ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।



আর্কাইভ

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে সৌদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে কাজ করছে নৌ ও বিমান বাহিনী
আবারও লন্ডনের মেয়র সাদিক খান
পুরুষদের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করলো মিয়ানমার
ইসরাইলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেফতার করছে সৌদি আরব
ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিল সৌদি
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করলো তুরস্ক
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
সাংবাদিককে হুমকি গ্রহণযোগ্য নয়: মিলার
উপজেলা ভোটে প্রভাব বিস্তার করবেন না, মন্ত্রী-এমপিদের ইসি