শিরোনাম:
●   মিরপুর টেস্টে শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি দিয়েই রাঙালেন মুশফিক ●   বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর ●   বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ●   ফুটবলে ভারতের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ ●   বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে :জাতিসংঘ ●   পাকিস্তানের নির্দেশেই শেখ হাসিনার রায় হয়েছে: শুভেন্দু ●   হাসিনার বিচার সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত কোনোটিই হয়নি: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ●   গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের জাতিসংঘের সমর্থন ●   আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড, চৌধুরী আবদুল্লাহর ৫ বছরের কারাদণ্ডমৃত্যুদণ্ড ●   শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
ঢাকা, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩২

BBC24 News
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » আইন-আদালত | প্রিয়দেশ | রাজনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » গ্রেনেড হামলা তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল, অস্ত্র মামলায় খালাস বাবর
প্রথম পাতা » আইন-আদালত | প্রিয়দেশ | রাজনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » গ্রেনেড হামলা তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল, অস্ত্র মামলায় খালাস বাবর
৬০৭ বার পঠিত
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গ্রেনেড হামলা তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল, অস্ত্র মামলায় খালাস বাবর

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়ও বিষয়টি এসেছে।

গত ১২ জানুয়ারি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আসামিদের খালাস দেন হাইকোর্ট।

বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বলা হয়েছে, আইনের ভিত্তিতে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়নি। ফলে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ। তাই বিচারিক আদালতের ডেথ রেফারেন্স নাকচ এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করা হলো।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ‘অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি আবদুল হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও ২৫ জন শ্রুতসাক্ষীর জবানবন্দিকে ভিত্তি করে বিচারিক আদালত এই রায় দিয়েছেন। এই ২৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দির একটি আরেকটিকে সমর্থন করেনি। কোনো চাক্ষুষ সাক্ষী ছিল না। মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির কোনো প্রমাণযোগ্য বা আইনগত মূল্য নেই।

কারণ জীবদ্দশায় তিনি তার স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করে গেছেন। এই স্বীকারোক্তি জোর করে নেওয়া হয়েছিল দাবি করা হয়েছে। তা ছাড়া মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিটি সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা যাথাযথ পরীক্ষা এবং গ্রহণ করা হয়নি।’

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগের দাবি, এ হামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

হামলার পরদিন মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই শরীফ ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। থানা পুলিশ, ডিবির হাত ঘুরে সিআইডি এই মামলার তদন্তভার পায়। ঘটনার চার বছর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ১১ জুন হত্যার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির। জঙ্গি দল হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে সেখানে আসামি করা হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচারও শুরু হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে। সিআইডির বিশেষ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩ জুলাই আসামির তালিকায় আরো ৩০ জনকে যোগ করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।

সেখানে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চারদলীয় জোট সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের নাম আসে। দুই মামলায় মোট ৫২ আসামির বিচার শুরু হলেও অন্য মামলায় তিনজনের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় মোট ৪৯ আসামির বিচার করেন বিচারিক আদালত।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ওই মামলার রায় হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে।

এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব প্রয়াত হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই সঙ্গে ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়।

রায়ের পর ওই বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছে। দণ্ডিতরাও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল-জেল আপিল করেন।

ডেথ রেফারেন্স-আপিলের পেপারবুক প্রস্তুত হলে ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর শুরু হয়। বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার ক্ষমতাচ্যুতির পর বিচার বিভাগেও পরিবর্তন আসে।

প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের পর আপিল বিভাগের আরো পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। নতুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১১, ১২ ও ১৫ আগস্ট এখতিয়ার পরিবর্তন করে হাইকোর্টের ৫৪টি হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন করেন। বেঞ্চ পুনর্গঠনের পর মামলাটি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে আসে। গত ৩১ অক্টোবর এই বেঞ্চে নতুন করে শুনানি শুরু হয়। গত ২৮ নভেম্বর চূড়ান্ত শুনানির পর মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য রেখেছিলেন। সে ধারাবাহিকতায় মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০২৭ সালের ২৮ মে বাবরের গুলশানের বাসার শোবার ঘর থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করার অভিযোগে একই বছরের ৩ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা হয়।

বিচার শেষে একই বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর নয় নম্বর বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালত বাবরকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে ২০০৭ সালেই আপিল করেন। সেই আপিলের শুনানি শেষে বুধবার রায়ের জন্য দিন রাখা হয়।

সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই থেকে প্রায় ১৭ বছর কারাবন্দি ছিলেন বিএনপির এই নেতা।

এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। সেই সব মামলা থেকে খালাস ও জামিনের পর ১৬ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।



এ পাতার আরও খবর

বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর
হাসিনার বিচার সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত কোনোটিই হয়নি: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল হাসিনার বিচার সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত কোনোটিই হয়নি: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড, চৌধুরী আবদুল্লাহর ৫ বছরের কারাদণ্ডমৃত্যুদণ্ড আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড, চৌধুরী আবদুল্লাহর ৫ বছরের কারাদণ্ডমৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনার মামলার রায় সোমবার মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনার মামলার রায় সোমবার
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি সোমা সাঈদ যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি সোমা সাঈদ
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সাবজেলে রাখা হবে: আইনজীবী ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সাবজেলে রাখা হবে: আইনজীবী
বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নতুন করে দমন–পীড়ন: এইচআরডব্লিউ বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নতুন করে দমন–পীড়ন: এইচআরডব্লিউ
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৫ ডিজির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৫ ডিজির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মানবতাবিরোধী অপরাধ: অভিযোগপত্র দাখিল হলেই নির্বাচনের অযোগ্য, চাকরিও থাকবে না মানবতাবিরোধী অপরাধ: অভিযোগপত্র দাখিল হলেই নির্বাচনের অযোগ্য, চাকরিও থাকবে না

আর্কাইভ

বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর
ফুটবলে ভারতের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে :জাতিসংঘ
পাকিস্তানের নির্দেশেই শেখ হাসিনার রায় হয়েছে: শুভেন্দু
হাসিনার বিচার সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত কোনোটিই হয়নি: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের জাতিসংঘের সমর্থন
আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড, চৌধুরী আবদুল্লাহর ৫ বছরের কারাদণ্ডমৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
উপদেষ্টা রিজওয়ানা বাসার সামনেসহ ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
শাটডাউন’ কেন্দ্র করে দেশব্যাপী পুলিশ–বিজিবির কড়া মোতায়েন