
বুধবার, ৭ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম » পাকিস্তানে হামলার ব্যাখ্যা দিলেন: বিক্রম মিশ্রি
পাকিস্তানে হামলার ব্যাখ্যা দিলেন: বিক্রম মিশ্রি
বিবিসি২৪নিউজ,অমিত ঘোষ দিল্লি থেকে: পাকিস্তানে বিমান হামলা চালানোর পক্ষে শক্ত যুক্তি তুলে ধরেছে ভারত। কাশ্মীরে বন্দুক হামলার ঘটনায় দুই দেশের চলমান উত্তেজনার এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (৬ মে) গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ নামে পাকিস্তানে অভিযান চালিয়েছে ভারত।
বুধবার (৭ মে) এ হামলার পর কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোতে ভারতের হামলা ঠেকাতে পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছে। ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের ঘটনায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটি রেসিট্যান্স ফ্রন্ট পেহেলগামে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই সংগঠনটির সঙ্গে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত গোষ্ঠী লঙ্কর-ই-তৈয়েবার সম্পর্ক রয়েছে। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় কাশ্মীরে হামলায় পাকিস্তানের যোগসূত্র রয়েছে।
মিশ্রি বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য ও বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ সত্ত্বেও পাকিস্তান তাদের ভূখণ্ড থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পাকিস্তান বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে একটি পরিচিতি তৈরি করেছে।’
এই পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারত ২০২৪ সালের মে এবং নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের ১২৬৭ নিষেধাজ্ঞা কমিটির মনিটরিং টিমকে ওই রেসিট্যান্স ফ্রন্টের সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিল এবং বলা হয়েছিল এটি পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারত মনিটরিং টিমকে জানিয়েছিল যে লস্কর ও জইশ-ই-মোহাম্মদ, দ্য রেসিট্যান্স ফ্রন্টের মতো ছোট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাধ্যমে কাজ করছে। পরতীতে ওই বছরের ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রেস বিবৃতিতে টিআরএফ’র কার্যক্রম বন্ধে পাকিস্তানকে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানায়।
মিশ্রি আরও বলেন, পেহেলগামে হামলা পর তদন্তে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা উঠে এসেছে। কারণ এই গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে পাকিস্তান যোগাযোগ রক্ষা করেছিল। পরবর্তীতে রেসিট্যান্ট ফ্রন্টের দায় স্বীকার এবং লস্কর-ই-তৈয়বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টগুলোতে অনেক বিষয় স্পষ্ট হয়।
মিশ্রি উল্লেখ করেন, জম্মু ও কাশ্মীরসহ ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পেহেলগামে হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই গোষ্ঠীগুলো আরও হামলার পরিকল্পনা করছে। এজন্য তাদের থামাতে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।
ভারত দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং হিজবুল্লাহ মুজাহিদীন গোষ্ঠীর ওপর অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে।