শিরোনাম:
●   ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন ●   দিল্লিতে হাইকমিশনে হামলা নিয়ে ভারতের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের ●   পাকিস্তান মক্কা ও মদিনার রক্ষক হওয়ার সম্মান পেয়েছে : ফিল্ড মার্শাল মুনির ●   দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, বিভ্রান্তিকর প্রচারণা : মুখপাত্র ●   চট্টগ্রামের ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ ●   দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে হুমকি ●   সুদানে নিহত ৬ শান্তিরক্ষী সেনার জানাজা সম্পন্ন ●   মাস্কের সম্পদমূল্য ৭০০ বিলিয়ন ছাড়াল, ইতিহাসে এই প্রথম ●   বীর ওসমান হাদি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে: জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ●   দেশে আনা হয়েছে ওসমান হাদি মরদেহ
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২

BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » রাজনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » দিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে জয়ের সাক্ষাৎ যা জানা গেল!
প্রথম পাতা » রাজনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » দিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে জয়ের সাক্ষাৎ যা জানা গেল!
৫৭৬ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

দিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে জয়ের সাক্ষাৎ যা জানা গেল!

---বিবিসি২৪নিউজ,অমিত ঘোষ দিল্লি থেকে: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও ভারতে আশ্রিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে এখন দিল্লিতে রয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। কোরবানির ঈদের আগের দিন গত ৬ জুন জয় ভারতে আসেন এবং মায়ের সঙ্গে ঈদ করেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনের পতনের পর এই প্রথম ছেলের সঙ্গে দেখা হলো শেখ হাসিনার।

ভারতের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলোর একাধিক সূত্র এবং ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা বিবিসি বাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে দিল্লিতে অবস্থানরত বোন সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে জয়ের দেখা হয়েছে কি না সেটি নিশ্চিত করেনি সূত্র।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনের অনুশিরোনামে সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতে অবস্থান করে সেখানে পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং দলীয় কার্যক্রম চালাবেন কি না এমন একটা প্রশ্ন উঠেছে। তাতে বলা হয়, জয়ের এই সফর যতটা না রাজনৈতিক, তার চেয়ে বেশি পারিবারিক। মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্যই ভারতে গেছেন জয়।

বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড পান। গ্রিন কার্ড পাওয়ার পর থেকেই তার ভারত ভ্রমণ নিয়ে আলোচনা চলছিল।

ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, প্রাথমিকভাবে মাস কয়েক পর জয়ের ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তার ভারতে যাওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছিল।

তবে সেই সফর এগিয়ে এনে ৬ জুন দিল্লিতে যান সজীব ওয়াজেদ জয়।

নিরাপত্তা এজেন্সির সূত্রগুলো বলছে, বিমানবন্দর থেকে যথাযথ নিরাপত্তা দিয়েই তাকে পৌঁছিয়ে দেওয়া হয় শেখ হাসিনার গোপন ঠিকানায়। সেখানে শেখ রেহানাও রয়েছেন।

ভিভিআইপিদের যেভাবে পাইলট কারসহ সামরিক পোশাক পরিহিত নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে নিয়ে যাওয়া হয়, ঠিক সেভাবে সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিমানবন্দর থেকে নেওয়া হয়নি। তবে কড়া নিরাপত্তা ছিল, আর পুরোটাই করা হয়েছে অত্যন্ত গোপনে।

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানাচ্ছে, শেখ হাসিনার কাছে এসে জয় রাজনৈতিক আলোচনা করছেন ঠিকই, তবে ভারতে থেকে গিয়ে দলের কাজকর্মে সশরীরে যোগ দেওয়ার অভিপ্রায় নেই সজীব ওয়াজেদ জয়ের।

একটা সময়ে অবশ্য শোনা গিয়েছিল যে ভারত সফরে এসে মি. ওয়াজেদ কলকাতাতেও আসতে পারেন। কলকাতা এবং তার আশপাশের অঞ্চলেও যেহেতু আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী ও এমপিরা থাকছেন এবং এই অঞ্চলেই রয়েছেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা আওয়ামী ঘনিষ্ঠ অনেক ব্যবসায়ী, প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা, আইনজীবী প্রমুখরা, তাই কলকাতায় এসে তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মি. ওয়াজেদ – এরকমটা জানা যাচ্ছিল।

এখন ভারতের নিরাপত্তা এজেন্সির সূত্রগুলো বলছে যে অন্তত এবার তার কলকাতায় আসার কোনো পরিকল্পনা নেই।

আবার আওয়ামী লীগের সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘ সময় ভারতে থাকার পরিকল্পনা নেই তার। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি হয়তো ফিরে যাবেন।

এদিকে ভারতে অবস্থানরত এক শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতা বিবিসি বাংলাকে জানান, তাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার নিয়মিত কথা হলেও সশরীরে কারও সঙ্গে দেখা হয়নি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।

জয় ভারতে আসার পর তার সঙ্গেও শীর্ষ নেতৃত্বের এখনও দেখা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।

গত বছরের পাঁচই আগস্ট ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমানে চেপে ভারতে পালিয়ে আসার পর থেকে দিল্লিতেই শেখ হাসিনার থাকার ব্যবস্থা করেছিল ভারত সরকার।

প্রথম দু-চার দিন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকে রাখা হয়েছিল দিল্লির উপকণ্ঠে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটির টার্মিনাল বিল্ডিংয়ে, যেটির নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার ভার দেশের বিমান বাহিনীর।

কিন্তু চট করে শেখ হাসিনার তৃতীয় কোনো দেশে পাড়ি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠার পর ভারত সরকার তাকে হিন্ডন থেকে সরিয়ে আনে দিল্লির কোনো গোপন ঠিকানায়। পরে তাকে হয়তো দিল্লির কাছাকাছি অন্য কোনো সুরক্ষিত ডেরাতে সরিয়েও নেওয়া হয়েছে – কিন্তু এ ব্যাপারে ভারত সরকার কোনো তথ্যই প্রকাশ করেনি।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তার তথ্যমতে, “মুভমেন্টস অ্যান্ড ভিজিটস– অ্যাজ লিটল অ্যাজ পসিবল”, অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া, কিংবা তার সঙ্গে অন্যদের দেখা করানোর ব্যবস্থা– এটাও যতটা সম্ভব এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে শেখ হাসিনার মুভমেন্টস বা ভিজিটস যে পুরোপুরি বন্ধ নয়।



আর্কাইভ

ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন
চট্টগ্রামের ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ
দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে হুমকি
সুদানে নিহত ৬ শান্তিরক্ষী সেনার জানাজা সম্পন্ন
বীর ওসমান হাদি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে: জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা
দেশে আনা হয়েছে ওসমান হাদি মরদেহ
বাংলাদেশের বিষয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত: দিল্লিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস
অস্ত্রোপচার শেষে মারা যান ওসমান হাদি: ডা. আহাদ
ওসমান হাদি মারা গেছেন
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন:প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং