
শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » আফ্রিকা | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ঢাকায় দূতাবাস স্থাপন দ.আফ্রিকার শ্রমবাজারের নতুন সম্ভাবনা
ঢাকায় দূতাবাস স্থাপন দ.আফ্রিকার শ্রমবাজারের নতুন সম্ভাবনা
বিবিসি২৪নিউজ,কূটনৈতিক প্রতিবেদক ঢাকা: দক্ষিণ আফ্রিকা ঢাকায় নিজস্ব দূতাবাস স্থাপনের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। পাশাপাশি চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই দেশটি ই-ভিসা চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে বাণিজ্যিক, বিনিয়োগ এবং অভিবাসন সংক্রান্ত সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকমিশনার অধ্যাপক অনিল সুকলাল এসব তথ্য জানান। তিনি বর্তমানে ভারতেও নিযুক্ত এবং সেখান থেকেই বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, ‘আর্থিক সংকটের কারণে এখনো বাংলাদেশে আমাদের দূতাবাস চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে সেটি দ্রুতই কাটিয়ে উঠতে পারব বলে আশা করছি। ঢাকায় দূতাবাস স্থাপন আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে।’
বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। অক্টোবরের মধ্যে ই-ভিসা চালু হবে এবং তখন থেকে অন-অ্যারাইভ্যাল ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হবে। অনলাইনে আবেদন করেই ভিসা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া, ভিএফএস দিল্লির সঙ্গে আলোচনা চলছে যাতে বাংলাদেশেও এর একটি শাখা চালু করে ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় আন্তর্জাতিক অভিবাসীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় চার লাখ বলে সরকারি-বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে। হাইকমিশনার জানান, এই জনগোষ্ঠীর জন্য কনস্যুলার সেবা নিশ্চিত করতেই দূতাবাস স্থাপন জরুরি হয়ে উঠেছে।
ভবিষ্যতে দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল চালু হলে, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যাত্রীদের ভ্রমণ আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন সুকলাল।
বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষিভিত্তিক বিনিয়োগ ও চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদের প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক উর্বর জমি পড়ে আছে। আমরা জানি, বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষিখাত অত্যন্ত দক্ষ। দুই দেশের যৌথ সহযোগিতায় কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য অর্জন সম্ভব।’
হাইকমিশনার অনিল সুকলাল আরও বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সম্পর্ক যতটা এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। বিশেষ করে বাণিজ্য ক্ষেত্রে এখনও সম্ভাবনার অনেকটাই অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। তবে তিনি মনে করেন, যৌথ উদ্যোগ এবং সরকারি পর্যায়ে সক্রিয় যোগাযোগের মাধ্যমে এই প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে সম্পর্ককে আরও গতিশীল করা সম্ভব।
দুই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে সুকলাল বলেন, ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের উভয়েরই লাভবান হওয়ার অপার সুযোগ রয়েছে। এটি কাজে লাগিয়ে আমরা আরও শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।’