
বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম » হিজবুল্লাহর হুঁশিয়ারি, ‘এক ঘণ্টার মধ্যেই ধ্বংস হতে পারে ইসরায়েলের নিরাপত্তা’
হিজবুল্লাহর হুঁশিয়ারি, ‘এক ঘণ্টার মধ্যেই ধ্বংস হতে পারে ইসরায়েলের নিরাপত্তা’
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল গত আট মাস ধরে যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এসেছে, তা মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এই ভাষণ তিনি দিয়েছেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) শহীদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাঈদ ইজাদির শাহাদতের ৪০তম দিন উপলক্ষে। জেনারেল ইজাদিকে ‘ফিলিস্তিনের পক্ষে জীবন উৎসর্গকারী একজন ইরানি শহীদ’ হিসেবে বর্ণনা করেন হিজবুল্লাহ নেতা।
নাঈম কাসেম বলেন, লেবাননে প্রতিরোধ শক্তি সংগঠিত, সুসংহত এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। তিনি অস্ত্র সমর্পণের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এই চাপ লেবাননের স্বার্থ নয়, বরং ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তৈরি।
তিনি আরও বলেন, শহীদ হাজ রমজান সবসময় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর ঐক্যের পক্ষে ছিলেন এবং হিজবুল্লাহ যেন তাদের পাশে থাকে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতেন। আল-আকসা অভিযানকে তিনি ‘অলৌকিক ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করতেন।
বৈরুত বন্দরের বিস্ফোরণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নাঈম কাসেম বলেন, হিজবুল্লাহ চায় তদন্ত দ্রুত শেষ হোক এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
এ ছাড়া মার্কিন দূত টম ব্যারাকের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ‘এই প্রস্তাব ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করে, কিন্তু লেবাননের প্রতিরক্ষার চাহিদাকে উপেক্ষা করে।’
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে কাসেম অভিযোগ করেন, তারা চায় না লেবানন সেনাবাহিনী এমন কোনো অস্ত্র অর্জন করুক, যা ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
হিজবুল্লাহ কখনোই লেবানন সরকারের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেনি বলেও দাবি করেন তিনি। তার প্রশ্ন—‘যদি হিজবুল্লাহ অস্ত্র ছেড়ে দেয়, তাহলে লেবাননকে কে রক্ষা করবে?’
পরিশেষে হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, ইসরায়েলি নেতারাও স্বীকার করেছেন—প্রতিরোধ শক্তি অস্ত্র না ফেলা পর্যন্ত তাদের আগ্রাসন থামবে না। তাই হিজবুল্লাহ অস্ত্র তুলে রাখলেও দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ হবে না।