শিরোনাম:
●   বাংলাদেশের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ভারত ●   শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ: গণহত্যার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ছিলেন বুদ্ধিজীবীরা ●   সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় জাতিসংঘের নিন্দা ●   শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা ●   সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত, লড়াই চলছে: আইএসপিআর ●   হাদির ওপর হামলাকারীদের সন্ধান দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ●   বাংলাদেশে সন্ত্রাসী দমনে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট: ফেজ-২’ ●   নির্বাচন অতো সহজে হবে না: তারেক রহমান ●   ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান ●   ঢাকায় হাদিকে গুলির ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যা পাওয়া গেল
ঢাকা, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ন ১৪৩২
BBC24 News
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ: গণহত্যার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ছিলেন বুদ্ধিজীবীরা
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ: গণহত্যার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ছিলেন বুদ্ধিজীবীরা
৭৩ বার পঠিত
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ: গণহত্যার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ছিলেন বুদ্ধিজীবীরা

---বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকা: ২৫ মার্চ ১৯৭১– বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভয়াবহ কালরাত্রি। ওই রাত থেকেই পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এ দেশের জনগণের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ– কেউই রেহাই পাননি। এই গণহত্যা ছিল সামগ্রিক, সর্বগ্রাসী। তবে এর ভেতরেই ছিল একটি বিশেষভাবে লক্ষ্যভিত্তিক পরিকল্পনা– বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজকে নিশ্চিহ্ন করা। সুপরিকল্পিত উদ্যোগ।

অনেক সময় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে কেবল ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দেখা হয়। কিন্তু এটি ভ্রান্ত ও অসম্পূর্ণ পাঠ। ডিসেম্বরের ওই কয়েকটি দিন ছিল এই হত্যাযজ্ঞের চূড়ান্ত ও প্রকাশ্য পর্ব। কিন্তু এর সূচনা হয়েছিল ২৫ মার্চের কালরাত্রিতেই। ওই রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসিক এলাকা আক্রান্ত হয়। অধ্যাপক ও গবেষকরা সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। যুদ্ধের পুরো সময়জুড়ে এ প্রক্রিয়া নীরবে ও ধারাবাহিকভাবে সারাদেশে চলতে থাকে।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষক, শিল্পী-সাহিত্যিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিকসহ নানা পেশার মানুষ। এই বহুমাত্রিক পেশাগত পরিচয়ই প্রমাণ করে– এ হত্যাকাণ্ড কোনো আকস্মিক প্রতিশোধ নয়, বরং একটি আদর্শিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ভিত্তিতে। ধর্মীয় পরিচয়কে একমাত্র জাতীয় পরিচয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার মধ্যেই ছিল এই রাষ্ট্রের আত্মবিশ্বাস ও রাজনৈতিক দর্শন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করত– ধর্মীয় পরিচয়ের বাইরে কোনো জাতিসত্তা টিকে থাকতে পারে না।

কিন্তু বাংলাদেশে সেই ধারণার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এ দেশের শিল্পী-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ষাটের দশকের সাংস্কৃতিক জাগরণ– সবখানে তারাই ছিলেন প্রধান বুদ্ধিবৃত্তিক বাহক। তারাই প্রথম বার্তা তুলেছিলেন– ধর্মই মানুষের একমাত্র পরিচয় হতে পারে না। ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ভূখণ্ডভিত্তিক পরিচয়ের আলোকে তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সুসংহত করেছিলেন। এই বুদ্ধিজীবীরাই পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মতাদর্শের ভিতকে নড়িয়ে দিয়েছিলেন। ফলে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ও তাদের দেশীয় সহযোগীরা মনে করেছিল, এই শ্রেণিকে নিশ্চিহ্ন করতে পারলে বাংলাদেশের আত্মবিকাশ থেমে যাবে, স্বাধীনতার চেতনা দুর্বল হবে এবং পাকিস্তানি আদর্শ টিকে থাকবে। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের নির্মম প্রয়াস।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পরপরই এই শূন্যতা গভীরভাবে অনুভূত হয়েছিল। তবে সময়ের প্রবাহে এক ধরনের উত্তরণ ঘটেছিল। নতুন প্রজন্মের বুদ্ধিজীবীরা উঠে এসেছিলেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ ও প্রগতিশীল মূল্যবোধ সামনে রেখে সমাজ নির্মাণে ভূমিকা রাখেন।
আজকের বাস্তবতা আমাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। বুদ্ধিজীবী সমাজে ঐক্যের জায়গাটি ক্রমে সংকুচিত হয়েছে। পেশাভিত্তিক ও মতাদর্শিক বিভাজন প্রকট হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক। এই বিভক্তি সমাজের সামগ্রিক প্রগতিশীল শক্তিকেও দুর্বল করছে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, আজও আমাদের সমাজে এমন শক্তি সক্রিয়, যারা ধর্মীয় বিশ্বাসকে ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, জাতিবাচক পরিচয়কে আড়াল করার প্রয়াস চালায়। এটি নতুন কোনো প্রবণতা নয়; এটি পুরোনো সাম্প্রদায়িক রাজনীতিরই রূপান্তরিত প্রকাশ।
এই প্রেক্ষাপটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য অতীত স্মরণের গণ্ডি ছাড়িয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে যদি রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে হয়, তবে বুদ্ধিজীবী সমাজের ভূমিকা ও মর্যাদাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করতে হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন– স্বাধীন চিন্তা, মানবিক মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রচিন্তার পথ– সেই পথেই অবিচল থাকা এবং তা নবপ্রজন্মের মধ্যে সঞ্চার করাই হবে তাদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।



এ পাতার আরও খবর

বাংলাদেশের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ভারত বাংলাদেশের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ভারত
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত, লড়াই চলছে: আইএসপিআর সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত, লড়াই চলছে: আইএসপিআর
হাদির ওপর হামলাকারীদের সন্ধান দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হাদির ওপর হামলাকারীদের সন্ধান দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
বাংলাদেশে সন্ত্রাসী দমনে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট: ফেজ-২’ বাংলাদেশে সন্ত্রাসী দমনে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট: ফেজ-২’
নির্বাচন অতো সহজে হবে না: তারেক রহমান নির্বাচন অতো সহজে হবে না: তারেক রহমান
ঢাকায় হাদিকে গুলির ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যা পাওয়া গেল ঢাকায় হাদিকে গুলির ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যা পাওয়া গেল
অপমানিত বোধ করছেন’ পদত্যাগ করতে চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার অপমানিত বোধ করছেন’ পদত্যাগ করতে চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার
জাতীয় নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি:জাতির উদ্দেশে ভাষণে সিইসি জাতীয় নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি:জাতির উদ্দেশে ভাষণে সিইসি
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ তফশিল ঘোষণার পর কার্যকর: প্রেস সচিব দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ তফশিল ঘোষণার পর কার্যকর: প্রেস সচিব

আর্কাইভ

বাংলাদেশের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ভারত
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ: গণহত্যার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ছিলেন বুদ্ধিজীবীরা
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত, লড়াই চলছে: আইএসপিআর
হাদির ওপর হামলাকারীদের সন্ধান দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
বাংলাদেশে সন্ত্রাসী দমনে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট: ফেজ-২’
নির্বাচন অতো সহজে হবে না: তারেক রহমান
ঢাকায় হাদিকে গুলির ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যা পাওয়া গেল
অপমানিত বোধ করছেন’ পদত্যাগ করতে চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার
জাতীয় নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি:জাতির উদ্দেশে ভাষণে সিইসি
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ তফশিল ঘোষণার পর কার্যকর: প্রেস সচিব