শিরোনাম:
●   যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হুমকি দিলো ইউরোপীয় কমিশন ●   বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ●   বাংলাদেশে নৈরাজ্যকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার: তারেক রহমান ●   ‘যুদ্ধকক্ষ থেকে নিজেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন খামেনি’ ●   প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ-বাংলাদেশ এক সঙ্গে কাজ করবে জাতিসংঘ। ●   গাজাকে ‘শিশু ও ক্ষুধার্ত মানুষের কবরস্থানে’ পরিণত করছে ইসরাইল: ল্যাজারিনি ●   ইরানি স্পিকারের দাবি ১২ দিনের যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত ●   সায়মা ওয়াজেদকে ছুটিতে পাঠিয়েছে ডব্লিউএইচও: হেলথ পলিসি ওয়াচ ●   ঢাকা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যা/ সারাদেশে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ ●   বাংলাদেশে নতুন করে আরও দেড় লাখ রোহিঙ্গার প্রবেশ: জাতিসংঘ
ঢাকা, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
BBC24 News
রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » পোশাক খাতকে সুবিধা দিতে সরকারের সাড়া নেই কেন?
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » পোশাক খাতকে সুবিধা দিতে সরকারের সাড়া নেই কেন?
১০৬৮ বার পঠিত
রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পোশাক খাতকে সুবিধা দিতে সরকারের সাড়া নেই কেন?

---বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিনিধি: সবশেষ গত ৮ মাসের মধ্যে ৬ মাসই তৈরি পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক৷ এই পরিস্থিতি থেকে সেক্টরকে বাঁচাতে চার হাজার কোটি টাকার আর্থিক সুবিধা চান গার্মেন্টস মালিকরা৷ সরকারের কাছ থেকে এখনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি৷চলতি অর্থবছরে রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি আয়করও কমানো হয়েছে৷ এখন নতুন করে রপ্তানি পণ্যে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের উপর বিনিময় হারে প্রতি ডলারে পাঁচ টাকা করে চেয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকরা৷ এ সহায়তার পরিমাণ মোট প্রায় চার হাজার কোটি টাকা৷গত জানুয়ারিতে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ থেকে এমন একটি আবেদন করা হলেও এখনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি৷ তবে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি৷

বিজিএমইএ’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, ‘‘সরকারের কাছ থেকে এখনো কোন সিদ্ধান্ত আসেনি৷ তবে অর্থমন্ত্রী ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন৷ আসলে আমরা প্রতি ডলারে যে ৫ টাকা করে চেয়েছি, সরকার হিডেন নানা ধরনের ট্যাক্স-ভ্যাট পেয়ে থাকে, এই টাকা তার মধ্যেই চলে যাবে৷ আমি মনে করি, এই সুবিধা যারা রপ্তানি করে তাদের সবারই পাওয়া উচিৎ৷ কারণ বিশ্ববাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে গেছে৷ আমাদের এখন টিকতে গেলে সরকারের বিশেষ সাপোর্ট দরকার৷ কারণ দেখেন এখন ‘নেগেটিভ গ্রোথ’ চলছে এই অর্থবছরের ৭ মাসের মধ্যে ৫ মাসেই৷ এই অবস্থা থেকে উত্তরণের কোন পথও এই মুহুর্তে খোলা আছে বলে মনে হচ্ছে না৷”

গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিকারকরা রপ্তানির বিপরীতে বিভিন্ন হারে নগদ সহায়তা পেয়ে আসছেন৷ চলতি বছর নতুন করে সব ধরনের রপ্তানিতে এক শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা দেয়া শুরু করেছে সরকার৷ নগদ সহায়তার উপর উৎসে করও অর্ধেক কমিয়ে ১০ শতাংশের জায়গায় ৫ শতাংশ করা হয়েছে৷ অন্যদিকে রপ্তানিতে উৎসে কর এক শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ (০.২৫%) কার্যকর করা হয়েছে৷ এর ফলে গার্মেন্টস খাত থেকেই সরকারের সম্ভাব্য রাজস্ব ছাড় হবে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা৷ ফলে রপ্তানিসহ বিভিন্ন খাতে ছাড় ও অব্যাহতি দেয়ায় সরকারের রাজস্বেও টান পড়েছে৷ চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এনবিআরের ঘাটতি প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা৷

তবে দীর্ঘদিন ধরে একই খাতকে প্রণোদনা দিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে৷ অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ (বিআইডিএস) এর সিনিয়র ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘‘এখন তারা বিশেষ সুবিধা পেলে, কয়েকদিন পর আরেকজন দাবি করবেন৷ ফলে রপ্তানির ক্ষেত্রে একটা ঝুঁকি তৈরী হবে৷ আসলে একচেঞ্জ রেটটা ঠিক করা দরকার৷ একটা দেশে একচেঞ্জ রেট নিয়ে বিশৃঙ্খলা থাকলে ঝুঁকি তৈরি হতেই পারে৷ সরকার যে সুবিধাই দিক, সেটা সবার জন্যই হওয়া উচিৎ৷ এতে পোশাক খাতও লাভবান হবে৷তিনি যোগ করেন, ‘‘আশঙ্কা হলো, আমদানিতে এর প্রভাব পড়বে৷ ভিয়েতনামের দিকে দেখেন, কাঁচামালের জন্য তাদের আমদানি নির্ভরতা ৯০ শতাংশ, যেটি আমাদের দেশে ২৫ শতাংশের মতো৷ তাই আমদানি ব্যয় বাড়ার চেয়ে আমরা যে রপ্তানিতে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাচ্ছি তার তুলনা করলে মোটের ওপর ডলারের একচেঞ্জ রেটটা পরিবর্তন করা দরকার৷

বিজিএমইএ’র পাঠানোর চিঠিতে ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের ফলে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগী সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়৷ গত সাত বছরে ডলারের বিপরীতে প্রতিযোগী দেশগুলোর মুদ্রার অবমূল্যায়নের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে পোশাক রপ্তানি কমেছে পৌনে আট শতাংশ৷ এ পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক খাতের সুরক্ষার জন্য পোশাক রপ্তানির স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজনের ওপর (রপ্তানি মূল্যের ২৫ শতাংশ) ডলার প্রতি বিনিময় হারে অতিরিক্ত ৫ টাকা করে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়৷

গত কয়েক মাস ধরে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি কমে গেছে৷ সর্বশেষ জানুয়ারি মাসেও রপ্তানি কমেছে৷ এটি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে৷ এর ফলে সার্বিকভাবে অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে৷ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র (ইপিবি) হিসাবে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি কমেছে পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার৷ স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা৷ গত সপ্তাহে বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী সংসদে বলেছেন, ৬৩টি গার্মেন্টস একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে৷ এতে প্রায় ৩৩ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন৷



এ পাতার আরও খবর

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
ভারতের ক্ষোভের মাঝে চীনমুখী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি? ভারতের ক্ষোভের মাঝে চীনমুখী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি?
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরে ইসলামপন্থিদের আপত্তির কারণ কী! ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরে ইসলামপন্থিদের আপত্তির কারণ কী!
এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জাপান- বাংলাদেশের পরমবন্ধু রাষ্ট্র : প্রধান উপদেষ্টা জাপান- বাংলাদেশের পরমবন্ধু রাষ্ট্র : প্রধান উপদেষ্টা
অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশে স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
নতুন বাংলাদেশ’ দিবস নিয়ে পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে সরকার নতুন বাংলাদেশ’ দিবস নিয়ে পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে সরকার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ যে আলোচনা হয়েছে! প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ যে আলোচনা হয়েছে!
বাংলাদেশের উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার জার্মানি : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার জার্মানি : প্রধান উপদেষ্টা

আর্কাইভ

যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হুমকি দিলো ইউরোপীয় কমিশন
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ-বাংলাদেশ এক সঙ্গে কাজ করবে জাতিসংঘ।
গাজাকে ‘শিশু ও ক্ষুধার্ত মানুষের কবরস্থানে’ পরিণত করছে ইসরাইল: ল্যাজারিনি
ইরানি স্পিকারের দাবি ১২ দিনের যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত
ঢাকা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যা/ সারাদেশে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ
বাংলাদেশে নতুন করে আরও দেড় লাখ রোহিঙ্গার প্রবেশ: জাতিসংঘ
পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা, দেশব্যাপী চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি
শেখ হাসিনা প্রশ্নে ভারতের অবস্থান অটল
বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা - এলাকায় পৌঁছায়নি ত্রাণ, বানভাসীদের কান্না