শিরোনাম:
●   বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ৩৩ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ ●   ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ছিল একটি ‘ঐতিহাসিক সাফল্য’: মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ●   ইউনূস-স্টারমার বৈঠক না হওয়া নিয়ে যা বললেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ●   বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালো ইরান ●   প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ যে আলোচনা হয়েছে! ●   আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মুখে জোরালো চড় মেরেছি: আয়াতুল্লাহ খামেনি ●   ট্রাম্পকে নিয়ে সংশয়ে ন্যাটো প্রতিনিধিরা ●   জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান ●   নগর ভবনে ফিরলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভ্যর্থনা ●   চীন সফরে গেলেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ
ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

BBC24 News
রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম | সাবলিড » টাকার মাধ্যমেও ছড়ায় করোনাভাইরাস, এখনই সাবধান হবেন যেভাবে
প্রথম পাতা » শিরোনাম | সাবলিড » টাকার মাধ্যমেও ছড়ায় করোনাভাইরাস, এখনই সাবধান হবেন যেভাবে
৭৯২ বার পঠিত
রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

টাকার মাধ্যমেও ছড়ায় করোনাভাইরাস, এখনই সাবধান হবেন যেভাবে

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক: টাকার মাধ্যমেও ছড়ায় করোনাভাইরাস। তাই টাকার ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস এখন বাংলাদেশেও ঢুকে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীনের বাইরে ১৭ গুণ দ্রুত হারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।দেশে তিনজনের দেহে ধরা পড়েছে করোনাভাইরাস। যাদেরকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের কোনো ওষুধ নেই। ফলে নিজের সতর্কতাই এই ভাইরাস থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায়।
ব্যাংক নোট বা টাকায় নানা ধরণের জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত করার ঘটনা নতুন নয়। এমনকি ব্যাংক নোটের মাধ্যমে সংক্রামক নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা।

২০১৫ সালে দিল্লির ইন্সটিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি-র বিজ্ঞানীরা তাদের এক গবেষণার ফলে জানান, ভারতের বাজারে চালু নোটগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করে তাতে অন্তত ৭৮ রকম বিপজ্জনক মাইক্রোবের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছেন- যা থেকে মারাত্মক সব রোগ ছড়াতে পারে।

এমনকি বাংলাদেশের একদল গবেষক গত বছরের অগাস্ট মাসে বলেছিলেন, তারা বাংলাদেশি কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রায় এমন ধরণের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছেন, যা সাধারণত মলমূত্রের মধ্যে থাকে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্রী নিশাত তাসনিম প্রায় ছয় মাস ধরে বাজারে প্রচলিত টাকা ও কয়েন নিয়ে গবেষণা করে বলেন, এসব মুদ্রায় তিনি ই-কোলাই জাতীয় ব্যাকটেরিয়া পেয়েছেন।

১৫টি উৎস থেকে নেয়া কাগজের টাকার নোট ও কয়েনে এক হাজারের চেয়ে আরো অনেক বেশি মাত্রায় ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি দেখেছেন তারা। এক হাজার মাত্রা পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়াকে সহনশীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য মনে করা হয়।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী টাকা নিয়ে করা ওই গবেষণাটির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন।

এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘এ পরীক্ষায় আমরা যা পেয়েছি তা জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে ভয়াবহ। কারণ সাধারণ ব্যাকটেরিয়া তো আছেই, সাথে পাওয়া গেছে মানুষের মল-মূত্র থেকে আসা ব্যাকটেরিয়া, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক’।

ফলে এসব মুদ্রার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। ড. চৌধুরী বলেন, যেহেতু আমরা গবেষণা করে টাকায় বিভিন্ন ধরণের ব্যাকটেরিয়া পেয়েছি যা মানুষের অন্ত্রে নানা ধরণের রোগ সৃষ্টি করে তাই এর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়াটাও অস্বাভাবিক নয়।

তার মতে, টাকা বা ডলারের ব্যবহার ও আন্তর্জাতিক বিনিময়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস শুধু একটি দেশের মধ্যে নয় বরং বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

‘যেহেতু এটা সরাসরি মানুষ হাত দিয়ে ধরে, অনেক সময় মুখের থুথু নিয়ে কাউন্ট করে। তাই এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেখান থেকে এটা হতে পারে যদি মানুষ সে হাতে খায়, মুখে দেয়।’

তিনি জানান, ভাইরাস বাহকের শরীরে সক্রিয় হয়, অন্যত্র নিষ্ক্রিয় থাকে। টাকায় থাকলে সে হয়তো নিষ্ক্রিয় থাকে, কিন্তু মানুষের সংস্পর্শে এলে সেটি করোনাভাইরাসের উপসর্গ বা রোগের সৃষ্টি করতে পারে, এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

এমন আশঙ্কায় চলতি বছরের গতমাসে ভাইরাসে উপস্থিতি নিয়ে টাকা বা ব্যাংক নোট জীবাণুমুক্ত করার একটি উদ্যোগ দেখা যায় চীনে। দেশটিতে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর সেখানে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে বাজার থেকে ব্যাংক নোট সরিয়ে নিয়ে তা আবার জীবাণুমুক্ত করে বাজারে ছাড়ে দেশটি।

টাকার মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণ এড়াবেন যেভাবে
বিশ্বজুড়ে এমন আশঙ্কার পর বিশেষজ্ঞরা, ব্যাংক নোট এড়িয়ে স্পর্শবিহীন মাধ্যম বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে কেনাকাটা বা লেনদেন করার পরামর্শ দিয়েছেন। স্পর্শবিহীন লেনদেন বা প্রযুক্তি বলতে, ব্যাংক নোট ছাড়া অন্য মাধ্যম যেমন কার্ড, বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ যেমন বিকাশ বা নগদ অথবা অন্য কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেনদেনের কথা বোঝানো হয়েছে।

তবে বাংলাদেশের মতো দেশ যেখানে প্রায় শতভাগ লেনদেন হয় ব্যাংক নোটের মাধ্যমে সেখানে কিভাবে এই পরামর্শ বাস্তবায়ন সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ ধরণের পরামর্শ মেনে চলা কঠিন।

তবে এক্ষেত্রে ব্যাংক নোট ব্যবহারের বিষয়ে তারা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। জাতীয় রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক মাহমুদুর রহমান বলেন, ভাইরাসটি যাতে অতিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ব্যাংক নোট ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে।

এক্ষেত্রে কিছু পরামর্শের কথা বলছেন মাহমুদুর রহমান :
অবশ্যই টাকা গোনার সময় হাত দিয়ে মুখের লালা নেবেন না। ব্যাংক নোট বা টাকা নাড়াচাড়ার পরপরই অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। যারা অত্যধিক মুদ্রা নাড়াচাড়া করেন, যেমন ব্যাংক কর্মী বা মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা, তাদেরকে অবশ্যই অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে। তারা দস্তানা বা গ্লাভস পরে নিতে পারেন।

সতর্কতা অবলম্বন করে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন। টাকা ধরা বা ব্যবহারের পরপরই চোখ, নাক বা মুখে হাত দেয়া যাবে না। সূত্র : বিবিসি বাংলা।



আর্কাইভ

বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ৩৩ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালো ইরান
ট্রাম্পকে নিয়ে সংশয়ে ন্যাটো প্রতিনিধিরা
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান
নগর ভবনে ফিরলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভ্যর্থনা
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু
৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ, ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ দিবস
ট্রাম্পের হামলাকে সমর্থন করেন না ডেমোক্রেটিক দলের ৮৮ শতাংশ মার্কিনীরা: জরিপ
ইরান-ইসরাইল সংঘাতের ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান দিল দুই দেশ
ইউরেনিয়াম মজুদ অক্ষত, দ্রুতই পরমাণু কর্মসূচি চালু করবে ইরান