শিরোনাম:
●   মধ্যপ্রাচ্য পশ্চিম তীর যুক্ত করার বিল অনুমোদন করলো ইসরায়েল ●   ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সাবজেলে রাখা হবে: আইনজীবী ●   পুতিনের সঙ্গে বৈঠক স্থগিত করল হোয়াইট হাউস ●   ড. ইউনূসকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি গুম–খুনের বিচার নিশ্চিত, আ.লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান ●   ৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো সরকার ●   ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা : পরিবেশ উপদেষ্টা ●   ৭ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে, সচল শাহজালাল বিমানবন্দর ●   শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন, উড়োজাহাজ ওঠানামা স্থগিত ●   শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট ফেরত পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন ●   বাংলাদেশে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদেরা
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২

BBC24 News
বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » জেলার খবর | পরিবেশ ও জলবায়ু | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » করোনা ঝুঁকির মাঝেই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা
প্রথম পাতা » জেলার খবর | পরিবেশ ও জলবায়ু | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » করোনা ঝুঁকির মাঝেই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা
১১৩৮ বার পঠিত
বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

করোনা ঝুঁকির মাঝেই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা

---বিবিসি২৪নিউজ,আশরাফ আলী: ইউএনএইচসিআর বলছে- করোনা সংকটের মাঝেই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা৷ করোনার কারণে যোগাযোগ ব্যবন্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় সেখানে যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া যায়নি আর তাই ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে৷

স্থানীয় পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, করোনায় সামাজিক দূরত্ব এবং লকডাউনে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে৷ আর রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প এলাকায় উপার্জনও বন্ধ হয়ে গেছে৷

তবে সংকট কাটাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বাত্মক চেষ্টা করছে৷ তারা বলছে, এরইমধ্যে করোনাকে মাথায় রেখে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে৷ মার্চ থেকেই সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে৷ কমপক্ষে দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ তারা ৯ লাখ রোহিঙ্গাকে সব ধরনের সেবা দিতে যা যা প্রয়োজন করছেন৷ আর করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই এটা করা হচ্ছে৷ কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং খাদ্যের অপর্যাপ্ততা তাদের ভাবিয়ে তুলছে৷

৪৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এখন করোনার কারণে লকডাউন করা হয়েছে৷ তাই চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে৷ খাদ্যসামগ্রী বিতরণের কৌশলেও আনা হয়েছে পরিবর্তন৷ এখন আর একসঙ্গে বিতরণ করা হয় না৷ একাধিক দিনে ভাগ ভাগ করে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয় বলে জানান ব্র্যাকের একজন কর্মকর্তা৷

কক্সবাজারের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘‘আমরা করোনা নিয়েই বেশি ব্যস্ত৷ এরই মধ্যে আমরা একটা বৈঠক করেছি৷ আরো একটি বৈঠক করবো বর্ষার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে৷ তবে আমাদের আগের যে প্রস্তুতি, সেটা আছে৷ ভলান্টিয়াররা প্রস্তুত আছে৷ তার সঙ্গে প্রয়োজনে আরো নতুন কিছু যোগ করবো৷ করোনার কারণে যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ থাকলেও জরুরি সেবা তো চালু আছে৷’’

করোনার জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০০ বেডের একটি হাসপাতাল নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে৷ আর ভিতরে ২৫০ বেডের ৩-৪ টা হাসপাতাল আছে৷ কোয়ারান্টিন সেন্টারও তৈরি করা হয়েছে৷ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্যাম্পের ভিতরে সামাজিক দূরত্ব রক্ষায়ে তাদের সহয়াতা করছে বলে জানান তিনি৷

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে এখনো করোনা পজিটিভ কেউ নেই৷ তবে ৪০ জনের মতো কোয়ারান্টিনে আছেন বলে জানান কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান৷

কক্সবাজারে আইইডিসিআর-এর যে করোনা টেস্টিং ল্যাব আছে সেখানেই রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও টেস্টের সুযোগ পাচ্ছেন৷ আর তাদের জন্য ক্যাম্পের ভেতরে এবং বাইরে করোনা চিকিৎসার জন্য ১০০টি বেড প্রস্তুত আছে৷ এক সপ্তাহের মধ্যে আরো এক হাজার বেড প্রস্তুত হবে বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন৷ তিনি বলেন, ‘‘সামনে বর্ষার মৌসুম৷ সেটাও আমাদের মাথায় আছে৷ সব মিলিয়েই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি৷’’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরকারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন ছাড়াও ইউএনএইচসিআর, আইওএম এবং ব্র্যাক বড় আকারে কাজ করে৷ ইউএনএইচসিআর বলছে, ২০১৯ সালের বর্ষা মৌসুমে কক্সবাজারের ক্যাম্পে প্রায় চার হাজার পরিবার সাময়িকভাবে বাস্তুচ্যূত হন৷ ক্ষতিগ্রস্ত হন ১৬ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ৷ তবে আগাম ব্যবস্থা নেয়ায় ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ক্ষতি কম হয়৷ ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, শরণার্থীদের জীবন রক্ষার কৌশলগুলো শেখানো হচ্ছে৷ তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবককে দ্রুত সহায়তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ তারপরও বর্ষা মৌসুমে ভূমিধস ও বন্যার শঙ্কা করা হচ্ছে৷ ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের কাজেও দেরি হচ্ছে৷ লকডাউন থাকায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণ সরবরাহও কঠিন হয়ে পড়েছে৷

ইউএনএইচসিআররের এই শঙ্কার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দোজা নয়ন ৷ তিনি বলেন, ‘‘তারা এটা কেন বলল তা আমরা পর্যালোচনা করে দেখবো৷ তবে বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি আছে৷ এর সঙ্গে কারোনাও যুক্ত হয়েছে৷’’

বর্ষা মৌশুমে ঘূর্ণিঝড় ও টানা বৃষ্টির কারণে আবাসন সংকট তৈরি হয়৷ স্বাস্থ্য সেবা, স্যানিটেশন ও খাদ্য সংকট তৈরি হয়৷ বন্যা বা বড় কোনো টর্নেডো হলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়৷ আর সেগুলো বিবেচনায় রেখে যদি বর্ষাকালের স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকে, তাহলে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্ষতির মুখে পড়বেন৷ যদি বর্ষা পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়, তাহলে এই সংখ্যা দুই লাখ হবে বলে জানান ব্র্যাকের একজন কর্মকর্তা৷ তিনি জানান, ‘‘এখন পর্যন্ত ২০ দিনের খাবার মজুদ আছে৷ এখন স্থানীয়ভাবে খাবার সংগ্রহ কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে৷’’

শুধু রোহিঙ্গা নয়, ক্যাম্প এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সহায়তা দিতে হয়৷ তাদের সংখ্যা চার লাখের কম নয়৷ ব্র্যাকের হিউম্যানিটেরিয়ান ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আক্তার হক বলেন, ‘‘এখানে সবাই মিলে প্রস্তুতি নেয়া হয়৷ বর্ষাকালের সেই প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই৷



আর্কাইভ

মধ্যপ্রাচ্য পশ্চিম তীর যুক্ত করার বিল অনুমোদন করলো ইসরায়েল
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সাবজেলে রাখা হবে: আইনজীবী
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক স্থগিত করল হোয়াইট হাউস
ড. ইউনূসকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি গুম–খুনের বিচার নিশ্চিত, আ.লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান
৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো সরকার
৭ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে, সচল শাহজালাল বিমানবন্দর
শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন, উড়োজাহাজ ওঠানামা স্থগিত
শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট ফেরত পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন
সংসদ ভবন ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে হাঙ্গেরিতে ট্রাম্প-পুটিন বৈঠক