শিরোনাম:
●   কোরবানির পশুর চামড়ার ন‍্যায‍্যমূল্য নিশ্চিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা ●   ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের ●   তুরস্কের আকাশসীমায় বাধা, আজারবাইজান সফর বাতিলে বাধ্য হলেন নেতানিয়াহু ●   পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা এখনো প্রমাণ করতে পারেনি ভারত: শাহবাজ ●   পাকিস্তানের আবদালি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ●   ইসরায়েলি নৃশংসতা-গাজায় ২ শতাধিক সাংবাদিক নিহত, জাতিসংঘের সতর্কতা ●   সিন্ধু নদে বাঁধ দিলে হামলা চালাবে পাকিস্তান: পাক মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি ●   গাজায় থামছেই না ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ, নিহত বেড়ে প্রায় ৫৩ হাজার ●   কেন রাশিয়া-ইউক্রেন ‘মধ্যস্থতা’ থেকে সরে গেল আমেরিকা! ●   নতুন আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
ঢাকা, সোমবার, ৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

BBC24 News
রবিবার, ১৭ মে ২০২০
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » ঢাকায় কোভিড-১৯,সংক্রমণ উচ্চপর্যায়ে-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে- আইইডিসিআর
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » ঢাকায় কোভিড-১৯,সংক্রমণ উচ্চপর্যায়ে-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে- আইইডিসিআর
১৪৬৪ বার পঠিত
রবিবার, ১৭ মে ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঢাকায় কোভিড-১৯,সংক্রমণ উচ্চপর্যায়ে-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে- আইইডিসিআর

---বিবিসি২৪নিউজ,এম ডি জালাল,ঢাকা: বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে আক্রান্তদের ৫৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ ঢাকায়।১৫ মে পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মোট ১৮৩টি এলাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি এলাকায় সর্বনিম্ন ৪৮ থেকে সর্বোচ্চ ২২৩ জন আক্রান্ত আছেন। বিশ্লেষকের মতে, রাজধানীতে সংক্রমণ উচ্চপর্যায়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। কারন রাজধানীতেই বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এর মধ্যে ৩১টি এলাকায় সংক্রমণ বেশি।

রাজধানী ঢাকায় মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি সংক্রমিত হয়েছে ৩১টি এলাকায়। এসব এলাকায় এখনো সংক্রমণ বাড়ছে। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে এসব এলাকায় (তিনটি বাদে) ৩৪ থেকে ৭৯ শতাংশ পর্যন্ত সংক্রমণ বেড়েছে। এর বাইরে অন্য এলাকায়ও সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। গত ১৫ দিনে সংক্রমণ পাওয়া গেছে নতুন ১৫টি এলাকায়।

আইইডিসিআরের হিসাবে রাজধানীতে মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৫৯৩ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৯১২ জনের এলাকাভিত্তিক তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই সংখ্যার হিসাবে আক্রান্তদের প্রায় ৬৩ শতাংশ সংক্রমিত হয়েছে ৩১ টি এলাকায়।

দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার এক মাসের মাথায় ৫ এপ্রিল আইইডিসিআর দেশে পাঁচটি ক্লাস্টার (কম দূরত্বের মধ্যে অনেক রোগী) চিহ্নিত করেছিল। এর দুটিই ছিল ঢাকায়। একটি মিরপুরের টোলারবাগ, অন্যটি বাসাবো। ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টোলারবাগে রোগী ছিল ৬ জন আর বাসাবোতে ৯ জন। ওই দিন পর্যন্ত ঢাকার ২৯টি জায়গায় সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল। রাজধানীতে মোট রোগী ছিল ৫২ জন। সংক্রমণ ঠেকাতে শুরু থেকে রাজধানীর যেসব জায়গায় রোগী শনাক্ত হয়েছে, সেখানে সীমিত পরিসরে ভবন বা গলি লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হয়। কিন্তু একমাত্র টোলারবাগ ছাড়া আর কোনো এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। দেড় মাসের ব্যবধানে সংক্রমণ এখন রাজধানীর ১৮৩টি এলাকায় ছড়িয়েছে। এর মধ্যে ১০টি এলাকা আছে, যার প্রতিটিতে ১০০ জনের বেশি আক্রান্ত রয়েছে।

---ঢাকায় এখন মোট শনাক্ত হওয়া রোগী রয়েছেন ৮ হাজার ৫৯৩ জন। সারা দেশে আক্রান্তদের ৫৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ (১২ হাজার ৯২৫ জনের এলাকাভিত্তিক তথ্যের হিসাবে) রোগী রাজধানী ঢাকায়।

১৫ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর যে ৩১টি এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেগুলো হলো মহাখালী (আক্রান্ত ২২৩ জন), যাত্রাবাড়ী (২২১), রাজারবাগ (২০৪), মুগদা (১৮৯), মোহাম্মদপুর (১৮৯), কাকরাইল (১৭৬), তেজগাঁও (১৩৮), লালবাগ (১১৭), বাবুবাজার (১১৫), উত্তরা (১০৪), মগবাজার (৯৮), ধানমন্ডি (৯৪), মালিবাগ (৯৩), বাড্ডা (৯০), বংশাল (৮২), খিলগাঁও (৮০), শাহবাগ (৭৩), গেন্ডারিয়া (৭৩), চকবাজার (৭০), শ্যামলী (৬৫), ওয়ারী (৬৪), গুলশান (৬৩), বাসাবো (৫৮), রামপুরা (৫৮), আগারগাঁও (৫৭), হাজারীবাগ (৫৭), রমনা (৫০), স্বামীবাগ (৪৯), মিরপুর-১ (৪৮), মিরপুর-১১ (৪৮) ও বনানী (৪৮ জন)।

সংক্রমণ বৃদ্ধির চিত্র এখন পর্যন্ত রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে মহাখালীতে। রাজধানীর বড় দুটি বস্তি মহাখালী-গুলশান এলাকায়। মহাখালীর পাশে গুলশানেও সংক্রমণ বেশি দেখা গেছে। এক মাস আগে গত ১৫ এপ্রিল মহাখালী এলাকায় আক্রান্ত ছিলেন ১০ জন। গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬৪। দুই সপ্তাহ পর ১৫ মে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ২২৩ জনে। দুই সপ্তাহে এই এলাকায় আগের তুলনায় ৭১ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে।

এক মাস আগেও যাত্রাবাড়ীতে আক্রান্ত ছিলেন ১৯ জন। এখন সেটা ২২১-এ পৌঁছেছে। সরকারি ছুটি ঘোষণার পর যাত্রাবাড়ী বাজার ছিল আলোচনায়। সেখানে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক লোকসমাগম দেখা গেছে। তবে এই কারণেই সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই এলাকায় শনাক্ত হন ৯১ জন। এর দুই সপ্তাহের মাথায় সেটা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। গত দুই সপ্তাহে এই এলাকায় সংক্রমণ বেড়েছে ৫৮ শতাংশ।

রাজারবাগ এলাকায় এক মাস আগে শনাক্ত হওয়া রোগী ছিলেন ৬ জন। এখন ২০৪ জন। তাঁদের বেশির ভাগই পুলিশ সদস্য। অবশ্য গত দুই সপ্তাহ সেখানে সংক্রমণ তুলনামূলক কম বেড়েছে। দুই সপ্তাহে বেড়েছে ৩২ শতাংশ। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এখানে আক্রান্ত ছিলেন ১৩৮ জন।

সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে রাজধানী ঢাকায়। মোট আক্রান্তের ৫৭.৮৯ শতাংশই এখানে। সংক্রমণ ছড়িয়েছে নগরীর ১৮৩টি এলাকায়।

এক মাস আগে মুগদায় আক্রান্ত ছিলেন মাত্র একজন। সে সংখ্যা এখন ১৮৯। গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মুগদায় শনাক্ত হন ৬২ জন। গত দুই সপ্তাহে সেখানে রোগী বেড়েছে ১২৭ জন।

শুরু থেকে ঢাকার যেসব এলাকায় সংক্রমণ বাড়তে দেখা গিয়েছিল তার একটি মোহাম্মদপুর। মাঝখানে সেখানে সংক্রমণ সেভাবে বাড়েনি। গত দুই সপ্তাহে আবার বাড়তির দিকে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোহাম্মদপুরে শনাক্ত হন ১০ জন রোগী। ৩০ এপ্রিল সেটা বেড়ে হয় ৬৮। গত দুই সপ্তাহে সেখানে ৬৪ শতাংশ আক্রান্ত বেড়েছে। এখন মোহাম্মদপুরে মোট আক্রান্ত ১৮৯ জন।

গত দুই সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি আগারগাঁওয়ে। ৭৯ শতাংশ। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ১২ জন। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৫৭।

৩১টি এলাকার মধ্যে কাকরাইল, শাহবাগ ও রাজারবাগে গত দুই সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার তুলনামূলক কম (২৩ থেকে ৩২ শতাংশ)। এই সময়ে অন্য এলাকায় ৩৪ থেকে ৭৯ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫০ জনের বেশি আক্রান্ত আছেন এমন এলাকাগুলোর মধ্যে রমনা, তেজগাঁও, বাবুবাজার, ধানমন্ডি, খিলগাঁও, শ্যামলী, রামপুরা এলাকায় গত দুই সপ্তাহে সংক্রমণ ৬০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

এর বাইরে পুরো রাজধানীর প্রায় সব এলাকাতেই সংক্রমণ বাড়ার দিকে। এর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০-এর নিচে হলেও আদাবর, আজিমপুর, মানিকনগর, ইস্কাটন ও গ্রিন রোডে সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।

আইইডিসিআরের পরামর্শক ও রোগতত্ত্ববিধ মুশতাক হোসেন বলেন, রাজধানীতে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি, লকডাউনেও শৈথিল্য দেখা গেছে। বেশির ভাগ মানুষ, বিশেষ করে নিম্নবিত্তের মানুষের কোয়ারেন্টিন (সঙ্গনিরোধ) করার মতো আলাদা ঘর নেই। এসব কারণে রাজধানীতে সংক্রমণ বেশি। তিনি বলেন, এখনো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ আছে। এলাকা ভাগ করে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়োগ করা দরকার। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নিশ্চিত করে কনটেইনমেন্ট জোন (অবরুদ্ধ অঞ্চল) করতে হবে।



এ পাতার আরও খবর

কোরবানির পশুর চামড়ার ন‍্যায‍্যমূল্য নিশ্চিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা কোরবানির পশুর চামড়ার ন‍্যায‍্যমূল্য নিশ্চিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা
শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ছাড়া-নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ছাড়া-নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা
দ্বিতীয় বাংলাদেশ গড়তে চাই : প্রধান উপদেষ্টা দ্বিতীয় বাংলাদেশ গড়তে চাই : প্রধান উপদেষ্টা
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ইটালি থেকে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা ইটালি থেকে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহে শ্রদ্ধা জানালেন: ড.ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহে শ্রদ্ধা জানালেন: ড.ইউনূস
পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন,কাতার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন,কাতার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান টেকসই প্রত্যাবাসন: ড. ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান টেকসই প্রত্যাবাসন: ড. ইউনূস
বিশ্ববাসীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ

আর্কাইভ

পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা এখনো প্রমাণ করতে পারেনি ভারত: শাহবাজ
পাকিস্তানের আবদালি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা
ইসরায়েলি নৃশংসতা-গাজায় ২ শতাধিক সাংবাদিক নিহত, জাতিসংঘের সতর্কতা
গাজায় থামছেই না ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ, নিহত বেড়ে প্রায় ৫৩ হাজার
কেন রাশিয়া-ইউক্রেন ‘মধ্যস্থতা’ থেকে সরে গেল আমেরিকা!
নতুন আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
ভারতের প্রতি সমর্থন জানালেন যুক্তরাষ্ট্র
ভারতীয় সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের সামরিক মহড়া
শাহবাজ ও জয়শঙ্করকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন