শিরোনাম:
●   বাংলাদেশে সমুদ্রসীমার পরিপূর্ণ হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা ●   ইরান-ঈসরায়েল সংঘাত বিস্তার হলে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না: মহাসচিব ●   ইসরায়েল কিলিং মিশন’ প্রকাশ: কারা ছিলেন মোসাদের টার্গেট? ●   ইসরায়েল জাতিসংঘ সনদের প্রতি কোনো সম্মান দেখাইনি ●   ইরান নতুন প্রজন্মের সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এখনো ব্যবহার করেনি: তাসনিম নিউজ ●   এবার পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধের চিন্তা করছে ইসরায়েল! ●   কূটনৈতিক সমাধানের সুযোগ রয়েছে দুই সপ্তাহে, পরমাণু চুক্তি না করলে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আসন্ন! : ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ●   সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের টাকা বেড়েছে ২৩ গুণ ●   মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটি থেকে বিমান ও জাহাজ সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট ●   ইরান ইস্যুতে পুতিন-চিনপিং ফোনালাপ, কী কথা হলো
ঢাকা, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

BBC24 News
শুক্রবার, ২১ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার তদন্ত দাবি
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার তদন্ত দাবি
৯৮২ বার পঠিত
শুক্রবার, ২১ আগস্ট ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার তদন্ত দাবি

 বি---বিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক,ঢাকা ঃ মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ মনে করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এবং যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার৷ তার মতে, হত্যাকাণ্ডে তাদের কী সংযোগ ছিল তা বাংলাদেশ ও মার্কিন জনগণের সামনে স্পষ্ট করা দরকার৷

বৃহস্পতিবার রাতে সেন্টার ফর রিচার্স অ্যান্ড ইনফর্মেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ১৯৭৫: সেটিং দ্য ক্লক ব্যাক’ শীর্ষক ওয়েবিনার-এ অংশ নিয়ে লিফশুলজ এই কথা বলেন৷

তিনি ১৯৭৫ সালে ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউয়ের দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধি ছিলেন৷ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান করেছিলেন তিনি৷ জিয়ার শাসনামলে সামরিক আদালতে কর্নেল তাহেরের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে অনুসন্ধান করার সময় তাকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়৷

ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনার-এ লিফশুলজ ছাড়াও অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ ও নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং স্কলার সলিল ত্রিপাঠি৷

লিফশুলজ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘এটা শুধু বাংলাদেশের বিষয় নয়, এটা ন্যায় বিচারের প্রশ্ন৷ বঙ্গবন্ধু হত্যার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র উদসীনতা দেখায়৷ যেটা সন্দেহের সৃষ্টি করে৷ পরে অনেক ডকুমেন্ট পাওয়া যায়৷ যারা সামনে থেকে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের আমরা দেখেছি৷ কিন্তু যারা পিছনে ছিলেন তারা কারা৷ জিয়াউর রহমানের সমর্থন ছাড়া তারা মুভ করেননি৷ আর জিয়া মার্কিন সমর্থন ছাড়া কিছু করেননি৷ তাই আমার মত হলো, বঙ্গবন্ধু হত্যার ব্যাপারে আরো তদন্ত দরকার৷ এই সংযোগগুলোর তদন্ত দরকার৷ বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের মানুষের এটা নিয়ে কাজ করা উচিত, তাদের এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে৷’’

বিজ্ঞাপন

আলোচনায় লিফশুলজ বঙ্গবন্ধু হত্যা পরিকল্পনার বিভিন্ন দিকও তুলে ধরেন৷ সেখানে মেজর জিয়াউর রহমান ও তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের যোগাযোগের বিষয়ে তিনি কথা বলেন৷

বঙ্গবন্ধু হত্যার এক সপ্তাহ আগে মার্কিন দূতাবাসের এক সিনিয়র অফিসারের সাথে দেখা করেছিলেন জিয়াউর রহমান৷ ঢাকায় সিআইএর স্টেশন প্রধান ফিলিপ চেরির সঙ্গেও জিয়া একান্ত বৈঠক করেন৷

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনা ছয়মাস আগে হয়েছিল দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয় এক সপ্তাহ আগে৷ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় জিয়া অন্য সৈন্যদের ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে যেতে দেননি৷ সেনবাহিনীর উপ-প্রধান হিসেবে তিনি হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা নেননি ৷ বরং এই ক্যু-র বিরুদ্ধে যাতে কেউ অবস্থান না নেয় তা তিনি নিশ্চিত করেন৷” লিফশুলজ আরো বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার এক সপ্তাহ আগে জিয়া ঢাকায় এক ব্যবসায়ীর বাসায় চেরির সঙ্গে বৈঠক করেন৷ জিয়া ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা পরিকল্পনার কেন্দ্রে৷’’

নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং স্কলার ভারতীয় নাগরিক সলিল ত্রিপাঠি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী ফারুক রহমানের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন৷ তিনি ১৯৮৬ সালের পর বাংলাদেশেও এসেছিলেন৷ তখন তিনি সাংবাদিকতা করতেন৷ সলিল ত্রিপাঠি বলেন, ‘‘ফারুক বঙ্গবন্ধু হত্যার কথা অবলীলায় স্বীকার করেন৷ তার মধ্যে কোনো অনুশোচনা আমি দেখিনি৷ ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল হত্যারও যুক্তি দেখায় সে৷’’

তখন ফারুক তার বাসায় গার্ড পরিবেষ্টিত থাকতেন, তার কোনো চিন্তা ছিলনা জানিয়ে ত্রিপাঠি বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে নিশ্চয়ই আরো উপরের সংযোগ ছিল৷ নয়তো ইনডেমনিটি করে তাদের বিচার বন্ধ করা হলো কেন? তাদের (হত্যাকারীদের) নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়া হলো কেন?’’ ‘‘ফারুক আমাকে বেশ উৎসাহের সাথে সাক্ষাৎকার দেন,’’ বলেন তিনি৷

ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ের মুকুটহীন সম্রাট৷ ১৫ আগস্ট ভোরে আমি আব্দুল মালেক ভূঁইয়ার ( সেকশন অফিসার, কনফিডেনশিয়াল) একটি টেলিফোন কল পাই৷ সে জানালো, স্যার, ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেছে৷ বঙ্গবন্ধু আর নেই৷ এরপর রেডিও অন করে শরিফুল হক ডালিমের জঘন্য ঘোষণা শুনলাম৷ সেনাবাহিনী খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে বিদ্রোহ করেছে৷ মোশতাককে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছে৷’’বঙ্গবন্ধু হত্যা ও বিচারের আদ্যোপান্ত

সেদিনের ঘটনা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য হত্যা করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে৷



আর্কাইভ

ইসরায়েল কিলিং মিশন’ প্রকাশ: কারা ছিলেন মোসাদের টার্গেট?
ইসরায়েল জাতিসংঘ সনদের প্রতি কোনো সম্মান দেখাইনি
ইরান নতুন প্রজন্মের সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এখনো ব্যবহার করেনি: তাসনিম নিউজ
এবার পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধের চিন্তা করছে ইসরায়েল!
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের টাকা বেড়েছে ২৩ গুণ
মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটি থেকে বিমান ও জাহাজ সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট
ইরান ইস্যুতে পুতিন-চিনপিং ফোনালাপ, কী কথা হলো
আরাক পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ইসরাইল
হোয়াইট হাউসের সামনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ
ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র