শিরোনাম:
●   অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরলেন নাবিকরা ●   বিশ্বে উদ্ধাস্তুর সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি ●   মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করে না আ. লীগ: কাদের ●   ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ●   দেশে বজ্রপাত নিরোধযন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স ●   বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও হজ ভিসার সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ●   একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে ●   ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ অধ্যাপক গ্রেফতার ●   রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু পদ থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন পুতিন ●   ইউরোপে বাধ্যতামূলক হতে যাচ্ছে সামরিক প্রশিক্ষণ
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

BBC24 News
শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » রোহিঙ্গা সংকট ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘকে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে- প্রধানমন্ত্রী
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » রোহিঙ্গা সংকট ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘকে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে- প্রধানমন্ত্রী
৯৬৯ বার পঠিত
শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রোহিঙ্গা সংকট ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘকে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে- প্রধানমন্ত্রী

 ---বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদক,ঢাকাঃ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও বিদ্যমান রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘকে আরও সুনিশ্চিত ও জোরালো ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এখনো এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে রোহিঙ্গা সংকটের মতো আজকের অনেক জটিল চ্যালেঞ্জ সমাধানে জাতিসংঘ আরও সুনির্দিষ্ট ও শক্তিশালী ভূমিকা নিতে পারে।’

জাতিসংঘের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার এক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ব এখনো দারিদ্র্য, ক্ষুধা, সশস্ত্র সংঘাত, সন্ত্রাসবাদ, নিরাপত্তাহীনতা, জলবায়ু পরিবর্তন এসব সমস্যায় জর্জরিত। এসব সমস্যার প্রতিটির সমাধানে সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং বৃহত্তর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী করেন, ‘আমরা জাতিসংঘের ৭৫তম বার্ষিকীর ঘোষণায় যেমন সম্মত হয়েছিলাম, আজ আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো পরস্পর সংযুক্ত এবং কেবল পুনরুজ্জীবিত বহুপক্ষীয়তার মাধ্যমেই এর সমাধান করা যেতে পারে। আমরা কেবল একসাথে কাজ করার মাধ্যমেই ভবিষ্যতের মহামারি এবং অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের ধকল কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা তৈরি করতে পারি।’

জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে জাতিসংঘের সনদে অন্তর্ভুক্ত নীতি ও লক্ষ্যগুলোর প্রতি তার অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।’ তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই বছরটি বাংলাদেশের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার প্রথম বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তির প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন; বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংহতির ওপর জোর দেন; বহুপক্ষীয়তার পক্ষে কথা বলেন এবং জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন উন্নয়নের আহ্বান জানান।’

তিনি যোগ করেন, ‘জাতিসংঘের সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা তার প্রাজ্ঞ দর্শন এবং দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ একটি চ্যালেঞ্জিং বছর এবং ২০২০ সালের প্রথম দিক থেকে মহামারিটি সারা বিশ্বকে বিধ্বস্ত ও বিপর্যস্ত করে চলেছে।’ তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের সমাজ, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, জীবন ও জীবিকা, ব্যবসায় এবং রপ্তানি আয়ের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছে। কেবল একসঙ্গে এবং সংহতি নিয়ে কাজ করার মাধ্যমেই আমরা এ মহামারির অবসান ঘটাতে পারি এবং এর পরবর্তী প্রভাব কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৭৫ বছরে জাতিসংঘের অনেক অর্জন রয়েছে এবং এটি স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছে, আন্তর্জাতিক উন্নয়নের রীতিনীতি রূপদান করেছে, সংঘাত নিরসনে সহায়তা করেছে এবং মানবিক পদক্ষেপের মাধ্যমে লাখো মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি নারী-পুরুষের সমান অধিকারসহ সবার জন্য মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত ও সুরক্ষায় কাজ করেছে।’

বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি সক্রিয়, অবদানকারী ও দায়িত্বশীল সদস্য হিসাবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখার প্রয়াসে বাংলাদেশ তার দীর্ঘদিনের ‘শান্তির সংস্কৃতি’র প্রতি অনুগত থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার এসডিজি বাস্তবায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারে অ্যাক্সেস বৃদ্ধি, খাদ্য সুরক্ষা অর্জন এবং বৈষম্য হ্রাস করার ক্ষেত্রে অনুকরণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত ১১ বছর ধরে আমাদের অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ এবং ২০০০ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ বদ্বীপে পরিণত হওয়ার অভিযাত্রায় আমরা সঠিক পথে রয়েছি।’

আজকের বিশ্ব ৭৫ বছর আগে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময়ের চেয়ে আলাদা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের এই পরিবর্তনশীল বিশ্বে জাতিসংঘ সকল দেশের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যত গড়ার একটি সুনির্দিষ্ট ও অর্থবহ রোডম্যাপের সাহায্যে জাতিসংঘ আমাদের সুরক্ষিত ভবিষ্যত গড়ার প্রয়াসে আমাদের পথনির্দেশক হতে পারে, যেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও উন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং মানবাধিকার সুরক্ষিত হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়বিচারের বিশ্ব গঠনের জন্য সকল অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে একসঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’



আর্কাইভ

অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরলেন নাবিকরা
বিশ্বে উদ্ধাস্তুর সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি
মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করে না আ. লীগ: কাদের
ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু
দেশে বজ্রপাত নিরোধযন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে
ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ অধ্যাপক গ্রেফতার
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু পদ থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন পুতিন
ইউরোপে বাধ্যতামূলক হতে যাচ্ছে সামরিক প্রশিক্ষণ
প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গার পাসপোর্ট নবায়ন চাই : সৌদি সরকার