শিরোনাম:
●   দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী আহত, অবস্থা আশঙ্কাজনক ●   বাংলাদেশে মাতৃ মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণের সাফল্যের প্রশংসা করেন : জাতিসংঘ ●   সরকার ও জনগণের সমন্বয়ে সমস্যা সমাধান হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী ●   বাংলাদেশের সঙ্গে সামনে তাকাতে চাই, পেছনে নয়: ডোনাল্ড লু ●   অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরলেন নাবিকরা ●   বিশ্বে উদ্ধাস্তুর সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি ●   মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করে না আ. লীগ: কাদের ●   ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ●   দেশে বজ্রপাত নিরোধযন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স ●   বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও হজ ভিসার সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

BBC24 News
সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে দেশ বহু আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো-প্রধানমন্ত্রী
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে দেশ বহু আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো-প্রধানমন্ত্রী
১১৭৮ বার পঠিত
সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে দেশ বহু আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো-প্রধানমন্ত্রী

---বিবিসি২৪নিউজ,আশরাফ আলী, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  জানিয়েছেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে বাংলাদেশ বহু আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো বলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই দেশকে গড়ে তুলতে চান তিনি।

জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রস্তাব করেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৯ নভেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেওয়ার পর সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রস্তাব করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। এরপর প্রস্তাবটির ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়।

প্রস্তাব উত্থাপনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, একটি দেশ, একটি জাতিকে আত্মপরিচয় দেওয়া একটি কঠিন কাজ। বঙ্গবন্ধু সেটা করে করেছেন।

আর এটা করতে গিয়ে তাকে অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। পাকিস্তান সৃষ্টির পেছনে পাকিস্তানিদের যে কি অবদান ছিল জানি না। তবে পর্ববঙ্গের মানুষের বড় অবদান ছিল। কিন্তু সেই পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ববঙ্গের মানুষের ওপরই নির্যাতন নেমে আসে। বঙ্গবন্ধু তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন। জাতির পিতা সব সময় মানুষের জন্য চিন্তা করতেন। পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার ৭/৮ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে তিন বার গ্রেফতার করা হয়। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে ছয় দফা দিয়ে ছিলেন। মানুষ এ ছয় দফাকে দ্রুত গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু ছয় দফার সমর্থনে যেখানেই বক্তব্য দিতে গেছেন সেখানেই তিনি গ্রেফতার হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে চাই। দুর্ভাগ্য আমাদের ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট যদি না ঘটতো তাহলে বহু আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো। এক সময় ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নামও মুছে ফেলা হয়েছিল। এত কষ্ট করে যিনি স্বাধীনতা এনে দিলেন। সেই স্বাধীন দেশটা যখন তিনি গড়ে তুলছিলেন তখনই তাকে হত্যা করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের কারাগারে তাকে এত নির্যাতন করা হতো সেটা তিনি আমাদের বলেননি। আমার ছোট বোন রেহানা প্রায়ই জিজ্ঞাসা করতো, তিনি বলতেন তুই সহ্য করতে পারবি না, জানার দরকার নেই। তখন বঙ্গবন্ধুকে শুধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে হত্যা করা হয়নি, পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করা হয়। আমার ছোট ভাইটিও রেহাই পায়নি। আমরা বিদেশে ছিলাম তাই বেঁচে গিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করেছিলেন। মিসেস গান্ধী (ইন্দিরা গান্ধী) বাবাকে বলেছিলেন সাবধান আপনার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বাবা বলেছিলেন তা হতে পারে না। আমাকে কেউ মারতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রীর উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘সংসদের অভিমত এই যে, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি, বাঙালির অবিসংবাদিত মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করেননি।

১৯৪৭-৪৮ থেকে ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৬৬ এর ছয় দফা, ১৯৬৮ এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন- দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৭১ এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বজ্র কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ’

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার নিরস্ত্র জনগণ ঘরে-ঘরে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দূর্গ গড়ে তুলেছিল। ২৬ মার্চ ১৯৭১ এর প্রথম প্রহরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপর দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ মহান শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান লাভ করে। বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়েছেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। লাল সবুজের পতাকা ও সংবিধান। বঙ্গবন্ধু বিশ্বসভায় বাঙালিকে আত্মপরিচয় নিয়ে গর্বিত জাতিরূপে মাথা উঁচু করে চলার ক্ষেত্র রচনা করেছেন।

স্বাধীনতার পর একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার জন্য মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন তিনি। সেই সময়কালে বাংলাদেশের উন্নয়নের সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন তিনি। ২০২০ সালে জন্মশতবার্ষিকীতে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক এবং কর্মময় জীবন ও দর্শনের ওপর জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হউক। ’



আর্কাইভ

দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী আহত, অবস্থা আশঙ্কাজনক
সরকার ও জনগণের সমন্বয়ে সমস্যা সমাধান হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে সামনে তাকাতে চাই, পেছনে নয়: ডোনাল্ড লু
অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরলেন নাবিকরা
বিশ্বে উদ্ধাস্তুর সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি
মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করে না আ. লীগ: কাদের
ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু
দেশে বজ্রপাত নিরোধযন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে
ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ অধ্যাপক গ্রেফতার