শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

BBC24 News
শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিবন্ধন ও নীতিমালা আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে - সরকার
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিবন্ধন ও নীতিমালা আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে - সরকার
১২৯৯ বার পঠিত
শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিবন্ধন ও নীতিমালা আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে - সরকার

---বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে নিয়মের মধ্যে আনার জন্য এই উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা এবং এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাপারে একটি সমন্বিত নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সাথে জড়িতদের অনেকে বলেছেন, তাদের বেসরকারি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থাকার পরও সরকারের এই উদ্যোগ নিয়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

সরকার আসলে কী করতে চাইছে- সেটা মাদ্রাসার নেতৃত্ব বোঝার চেষ্টা করছেন বলে মনে হচ্ছে।কওমি মাদ্রাসা শিক্ষায় কোন শৃঙ্খলা নেই- এই পরিস্থিতি সরকার ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখেছে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, এর আলোকে এখন এই শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য নিয়ম-নীতি তৈরি করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগারি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেই কমিটিতে সরকারি কর্মকর্তারা যেমন রয়েছেন, একইসাথে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার বেসরকারি বোর্ডের নেতাদেরও রাখা হয়েছে।

এই কমিটি তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মাদ্রাসা নেতৃত্বকেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছে।শিক্ষা উপমন্ত্রী মি: চৌধুরী বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে বা খতিয়ে দেখে যে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, এবার সেগুলো সমাধানের একটা চেষ্টা তারা করবেন।”কওমি মাদ্রাসাগুলোর কিছু প্রতিষ্ঠান এতিমখানা হিসাবে পরিচালিত হয়, আবার কিছু কিছু জায়গায় লিল্লাহ বোর্ডিং নামে পরিচালিত হয়। কিছু কিছু মাদ্রাসা হাইআতুল উলয়া বোর্ডের অধীনে তাদের সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায় হাদিস প্রদান করে। আবার কিছু জায়গায় নূরানী মাদ্রাসা বা হেফজোখানা রয়েছে। এগুলোর নানান ধরনের ধাপ আছে,” বলে উল্লেখ করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “সেই ধাপগুলো কী প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হচ্ছে, এবং সেগুলোর অর্থায়ন কীভাবে হচ্ছে বা কারা সেগুলোতে পড়াচ্ছে এবং কারা সেখানে পড়ছে- সেই তথ্য সরকারের কাছে থাকা প্রয়োজন।”

“প্রতিদিনই এরা কোন অনুমোদন ছাড়া যত্রতত্র হেফজোখানা নামে সাইনবোর্ড তুলে দিচ্ছে। এই জিনিসগুলো আমরা মোটামুটি খতিয়ে দেখেছি। এখন আমরা কমিটির মাধ্যমে এটা একটা ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে আনবো, নিয়মনীতির মধ্যে আনবো,” বলেন মহিবুল হাসান চৌধুরী।

কওমি মাদ্রাসায় কী পড়ানো হয়?
বেসরকারি মাদ্রাসা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি কওমি মাদ্রাসায় ১৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।

কওমি মাদ্রাসার মধ্যেই বিভিন্ন পর্যায়ের বা বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই মাদ্রাসা শিক্ষায় আসলে কোন সিলেবাসে পড়ানো হয়- এই প্রশ্ন নানা আলোচনা রয়েছে।

ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকার একটি মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক ফাতেহা ফারজানা। তাদের মাদ্রাসায় প্রাথমিক থেকে সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত সাতশ জনের মতো ছাত্রী রয়েছে। মাদ্রাসার এই শিক্ষক ফাতেহা ফারজানা বলেছেন, তাদের নিজেদের শিক্ষাবোর্ড কোরআন হাদিসকে অগ্রাধিকার দিয়ে সিলেবাস নির্ধারণ করে দেয়।

“ছোট ক্লাসগুলোতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, অংক, ইংরেজি সব থাকে। আর পাশাপাশি আরবি-উর্দূও থাকে। বাংলা-ইংরেজি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত থাকে। এরপর থেকে সর্বোচ্চ শ্রেণি পর্যন্ত পুরোপুরি আরবিতে পড়ানো হয়। এর মাঝে দেওবন্দের (ভারতের মাদ্রাসা দারুল উলুম দেওবন্দ) ইতিহাস পড়ানো হয়। কোরআন হাদিসের আলোকে সব পড়ানো হয়। এটা বোর্ড বেফাক ঠিক করে দেয়,” বলেন ফাতেহা ফারজানা।

দেশের অন্যতম একটি বড় কওমি মাদ্রাসা চট্টগ্রামের আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা, যেটি হাটহাজারী মাদ্রাসা নামে পরিচিত।

এই মাদ্রাসার একজন সিনিয়র শিক্ষক আশরাফ আলী নিজামপুরী বলেছেন, এতিমখানা বা হেফজোখানা থেকে শুরু করে উচ্চ শ্রেণির মাদ্রাসা-সব পর্যায়ের কওমি মাদ্রাসায় ধর্মকে অগ্রধিকার দিয়ে কারিকুলাম ঠিক করা হয়। এখানে সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণের কিছু নেই বলে তিনি মনে করেন।

“সিলেবাস, এটাতো কোরআন সুন্নাহ ভিত্তিক সিলেবাস।”

মি: নিজামপুরী আরও বলেছেন, “এখানে যদিও জাগতিক শিক্ষাও দেয়া হয় যেমন, সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং ব্যাকিং বা ব্যবসার বিষয়, ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা বা লেনদেন-এগুলোতে জায়েজ-নাজায়েজ, হালাল-হারাম-এ সমস্ত বিষয় আছে। আর এগুলোর ওপর লেখাপড়া শেখানোর জন্য কোরআন-সুন্নাাহকে প্রাধান্য দেয়া হয়।”

“ভারতে যে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা আছে, সেই মাদ্রাসাকে অনুসরণ করে আমাদের হাটাহাজারী মাদ্রাসাসহ সমস্ত মাদ্রাসাগুলোর কালিকুলাম ঠিক করেছি। ঐভাবেই আমরা ছাত্রদের লেখাপড়া করাই” বলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক।

‘সরকারি উদ্যোগ সাংঘর্ষিক’
কওমি মাদ্রাসাকে সরকারিভাবে নিবন্ধনের কোন ব্যবস্থা বাংলাদেশে নাই।

মাদ্রাসার শিক্ষকরা নিজেরা শিক্ষাবোর্ড গঠন করে সিলেবাস এবং পরীক্ষার বিষয়গুলো পরিচালনা করেন। কিন্তু তাদের একক কোন বোর্ড নেই।বেফাকসহ তাদের ছয়টি বোর্ডের অধীনে মাদ্রাসাগুলো বিভক্ত।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার যখন কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ দাওরায় হাদিস ডিগ্রিকে মাস্টার্স এর মর্যাদা দিয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে মাদ্রাসার ছয়টি বেসরকারি বোর্ডের নেতৃত্বকে সমন্বয় করে সর্বোচ্চ একটি বোর্ড গঠন করে দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

সেই সর্বোচ্চ বোর্ডের সদস্য এবং হেফাজতে ইসলামের নেতা নুরুল ইসলাম জেহাদি বলেছেন, তাদের বোর্ডকে সরকার আগে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তার সাথে সরকারের এখনকার উদ্যোগ সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন তারা।

“আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিছেন। এবং এখানে আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ নামের সর্বোচ্চ বোর্ড করা হয়েছে। এটা ছয়টা বোর্ড নিয়ে করা হইছে। এটার ব্যাপারে সরকারি গেজেট আছে। সেই গেজেটে সর্বোচ্চ বোর্ডকেই নিবন্ধনের দায়িত্ব দেয়া হইছে। এই বোর্ডই সিলেবাস ঠিক করবে।”

“এই স্বকীয়তা বা স্বাধীনতা দেয়া হয়। এর সাথে দেওবন্দের সিলেবাস যে রকম, সেভাবেই কওমি মাদ্রাসা চলবে। এখন যে চিঠিটা আসছে, সেই বিষয়ের সাথে এটা সাংঘর্ষিক মনে হচ্ছে,” বলছেন নুরুল ইসলাম জেহাদী।

সরকারের গঠিত কমিটি এরই মধ্যে একটি বৈঠকও ডেকেছিল। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বৈঠকটি এখনও হয়নি।

মাদ্রাসা বোর্ডের জবাব

অন্যদিকে মাদ্রাসার নিবন্ধন এবং সিলেবাস ঠিক করার ব্যাপারে সরকারি কমিটি কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ বোর্ডের নেতৃত্বের কাছে যে চিঠি পাঠিয়েছিল, তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনার পর বোর্ড তাদের অবস্থান তুলে ধরে সরকারের চিঠির জবাবও দিয়েছে।

নুরুল ইসলাম জেহাদি বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষার স্বকীয় অবস্থানের প্রেক্ষাপটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখনকার উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য কিনা-এই প্রশ্ন তাদের মাঝে উঠেছে। সেটাই তারা চিঠির জবাবে লিখেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

“এই নিবন্ধন বা এসবতো স্কুল কলেজের জন্য। এটা মাদ্রাসার জন্য হওয়া উচিত নয়। যুগোপযোগী করার কথা যেটা তারা বলে, সেটাতো আমরা করেই যাচ্ছি। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা এবং আমাদের মূল শিক্ষার কোন ক্ষতি হয়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারবো না,” বলেন মি: জেহাদী।

কওমি মাদ্রাসাকে নিবন্ধনের আওতায় এনে এর অর্থের উৎস দেখা এবং সিলেবাস নির্ধারণ করা সহ সার্বিকভাবে নীতিমালা তৈরির সরকারি এই উদ্যোগকে এসব মাদ্রাসার নেতৃত্ব ইতিবাচক হিসাবে নেয়নি বলে মনে হচ্ছে।

সরকারি উদ্যোগ নিয়ে সন্দেহ
কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামকে ঘিরে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক হয়েছে।

সর্বশেষ গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময় সংগঠনটির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা হয়।

সে প্রেক্ষাপটে হেফাজতের অনেক নেতা জেলে গেছেন এবং সংগঠনটি চাপের মুখে রয়েছে।

ইসলাম বিষয়ক লেখক এবং গবেষক শরীফ মুহাম্মদ বলেছেন, মাদ্রাসার নেতৃত্ব যখন চাপের মুখে, তখন সরকার এমন উদ্যোগ নেয়ায় তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

“এখানে একটা হচ্ছে নিবন্ধন এবং একটা তালিকার মধ্যে আনা। আরেকটা হচ্ছে এর সিলেবাস বা পাঠ্যতালিকা এবং সমন্বয় করা- এমন কিছু কমন বিষয় রাখা- যেটা নাগরিক হিসাবেও মানুষের দরকার। সরকারের দাবি বা বক্তব্য এরকম,” বলছেন মি. মুহাম্মদ।শরীফ মুহাম্মদ বলছেন, “কিন্তু যখন করোনার জন্য মাদ্রাসা বন্ধ এবং কওমি মাদ্রাসার একটা প্যারালাল সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দের একটা বড় অংশ জেলে রয়েছে। এছাড়া মাদ্রাসাগুলোর দায়িত্বশীলদের ওপর একটা বড় চাপ বজায় রয়েছে। এরকম সময়ে এ ধরনের একটা পদক্ষেপ কওমি মাদ্রাসা অঙ্গনে ব্যাপক একটা সন্দেহ, সংশয় এবং অনাস্থার সৃষ্টি করেছে। আমি যতটা লক্ষ্য করেছি।”

‘আইনি কাঠামো দরকার’

এর আগেও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে একটা নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা করা হলেও তা করা যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

মাদ্রাসা শিক্ষার নেতৃত্বের একটা অংশ এর বিরোধিতা করেছে। অনেক ইসলামপন্থী দলও আপত্তি করেছে।

শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেন রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি বলেছেন, শিক্ষানীতি যা আছে, তাতেই মাদ্রাসা শিক্ষাকেও নিয়মের মধ্যে আনার কথা বলা আছে। কিন্তু আইন প্রণয়ন করা ছাড়া তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন।

---শিক্ষানীতি ২০১০-এ এরকম দিক নির্দেশনা ছিল। সেটা দুই তিনবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোন উদ্যোগই সফল হয়নি। এ ব্যাপারে আসলে একটি আইনি কাঠামো দরকার।”

তবে সরকার তাদের এখনকার উদ্যোগের বিরোধিতা এবং আপত্তিকে আমলে নিতে চাইছে না।

সরকার মনে করছে, দীর্ঘদিনের সমস্যা থেকে একটা নিয়মের মধ্যে আনার ক্ষেত্রে বিরোধিতা থাকতে পারে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, কর্মমুখী শিক্ষা না হলে, সেটা সমাজের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। ফলে সরকার এবার এই উদ্যোগ নিয়ে এগুবে।

“যারা সেখানে পড়ছেন, তারা সবাই কিন্তু আলেম হতে পারছেন না। তারা কর্মদক্ষ হচ্ছেন কিনা- সেটা একটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে দেখছি, এখানে একটা রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছে।”

মি: চৌধুরী আরও বলেন, “এগুলো পুরোপুরি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছিল, সেজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধান সেখানে ছিল না। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর সবাই আলেম হতে পারেন না বা সম্ভব নয়, যেহেতু এত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নেই। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একজন মাদ্রাসা থেকে গিয়ে আরেকটি মাদ্রাসা খুলছে।”

“আমরা দেখছি গার্মেন্টস ঘন এলাকাগুলোতে কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা বাড়ছে। সেখানে লিল্লাহ বোর্ডিং করে গামেন্টস এ যারা চাকরি করছেন, তাদের সন্তানদের সেগুলোতে ভর্তি করা হচ্ছে। যারা গার্মেন্টস নারীর এই ক্ষমতায়নে বিরোধিতা করছে, তাদের লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে বা মাদ্রাসায় তাদের সন্তানদের নারীর চাকরির বিরুদ্ধে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের বৈপরীত্যগুলোতো আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে,” বলছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।

তিনি অবশ্য বলেছেন, মাদ্রাসার নেতৃত্বের সাথে আলোচনা করেই সরকার পদক্ষেপ নেবে। তারা মনে করেন, এবার তারা ইতিবাচক সাড়া পাবেন।

এদিকে মাদ্রাসা বোর্ডের নেতারা বলেছেন, সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে তাদের এখনও সন্দেহ আছে। তবে তারা নিজেরা বিস্তারিত আলোচনা করে সরকারকে চূড়ান্ত অবস্থান জানাবেন।



এ পাতার আরও খবর

খেলাধুলা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের দুরবস্থায় নিয়ে হতাশ : জাতিসংঘ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের দুরবস্থায় নিয়ে হতাশ : জাতিসংঘ
দেশব্যাপী হিট অ্যালার্ট জারি দেশব্যাপী হিট অ্যালার্ট জারি
প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন- প্রধানমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন- প্রধানমন্ত্রী
আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতা করবে ইউএনডিপি’- গণপূর্তমন্ত্রী আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতা করবে ইউএনডিপি’- গণপূর্তমন্ত্রী
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ-প্রধানমন্ত্রীর ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ-প্রধানমন্ত্রীর
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ড. ইউনূসের জামিনের সময় বাড়ালেন আদালত ড. ইউনূসের জামিনের সময় বাড়ালেন আদালত
ওমরাহ ভিসার মেয়াদে পরিবর্তন আনল সৌদি সরকার ওমরাহ ভিসার মেয়াদে পরিবর্তন আনল সৌদি সরকার
শেখ হাসিনা ক্ষমতার স্বর্ণযুগ উপভোগ করছেন’ শেখ হাসিনা ক্ষমতার স্বর্ণযুগ উপভোগ করছেন’

আর্কাইভ

শান্তিচুক্তি জাতিসংঘে তুলে ধরল বাংলাদেশ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের দুরবস্থায় নিয়ে হতাশ : জাতিসংঘ
ইসরায়েলের হামলা পাল্টা জবাব দেবে না- ইরান
দেশব্যাপী হিট অ্যালার্ট জারি
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: তেহরান
ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলা
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা
ভারতে আবারও বিজেপির বড় জয়ের আভাস
মিয়ানমারের সৈন্যরা জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে, পর্যন্ত সংখ্যা যত
প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন- প্রধানমন্ত্রী