শিরোনাম:
●   মধ্যপ্রাচ্য পশ্চিম তীর যুক্ত করার বিল অনুমোদন করলো ইসরায়েল ●   ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সাবজেলে রাখা হবে: আইনজীবী ●   পুতিনের সঙ্গে বৈঠক স্থগিত করল হোয়াইট হাউস ●   ড. ইউনূসকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি গুম–খুনের বিচার নিশ্চিত, আ.লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান ●   ৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো সরকার ●   ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা : পরিবেশ উপদেষ্টা ●   ৭ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে, সচল শাহজালাল বিমানবন্দর ●   শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন, উড়োজাহাজ ওঠানামা স্থগিত ●   শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট ফেরত পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন ●   বাংলাদেশে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদেরা
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২

BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি | শিরোনাম | সাবলিড » তিন দিন ইন্টারনেট না থাকলে বিল মাফ -বিটিআরসি
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি | শিরোনাম | সাবলিড » তিন দিন ইন্টারনেট না থাকলে বিল মাফ -বিটিআরসি
৭৪৩ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

তিন দিন ইন্টারনেট না থাকলে বিল মাফ -বিটিআরসি

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব  প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম ঠিক করে দিল। কমিশনের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, টানা তিন দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলে সেবাদাতা ওই মাসে গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো সেবামূল্য বা বিল নিতে পারবে না।

বিটিআরসির পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার এ নির্দেশনা সব ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) কাছে পাঠানো হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৬ জুন চালু করা ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচির আওতায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সেবামূল্য ঘোষণা করা হয়। এবার সেবার মানদণ্ড জানানো হলো।

নির্দেশনায় বলা হয়, টানা এক দিন ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে গ্রাহকের কাছ থেকে ওই মাসে মোট বিলের ৫০ শতাংশ নেওয়া যাবে। টানা দুই দিন ইন্টারনেট না থাকলে নেওয়া যাবে মাসিক বিলের ২৫ শতাংশ অর্থ। তিন দিন ইন্টারনেট না থাকলে সে মাসে কোনো টাকাই নেওয়া যাবে না।

‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচির আওতায় গত জুনে তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। প্রথম প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, গতি হবে ৫ এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড)। দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা, এর গতি ১০ এমবিপিএস। আর তৃতীয় প্যাকেজের গতি ২০ এমবিপিএস, দাম মাসে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা। মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে একই মূল্যে ইন্টারনেট দিতে হবে। এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে শেয়ারড বা ভাগাভাগির (১:৮) ব্যান্ডউইডথের ক্ষেত্রে।

বিটিআরসি নতুন নির্দেশনায় বলেছে, সেবাদাতারা নতুন নতুন প্যাকেজ দিতে পারবে। তবে সেটা হতে হবে অনুমোদিত প্যাকেজের আদলে এবং গতির সর্বনিম্ন সীমা ৫ এমবিপিএস ঠিক রাখতে হবে। নতুন প্যাকেজের জন্যও অনুমোদন নিতে হবে। এর বাইরে কোনো প্যাকেজ দিলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে। অনুমোদিত সেবামূল্য আইএসপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

এক ইন্টারনেট সেবাদাতা তার এলাকায় আরেক সেবাদাতাকে ঢুকতে দেয় না। তার কেটে দেয়। এসব সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে নতুন নির্দেশনা অনেক ক্ষেত্রে কাগজে-কলমে থেকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মাসুম রানা, রাজধানীর ইন্টারনেট গ্রাহক
বিটিআরসি নতুন নির্দেশনায় আরও বলেছে, গ্রাহকের অভিযোগ (টিকেটিং নম্বরসহ) দ্রুত সমাধান করতে হবে এবং তথ্য অন্তত ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র প্রথম আলোকে বলেন, গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করতে তাঁরা নানান উদ্যোগ নিয়েছেন।

বিটিআরসির হিসাবে, গত আগস্ট শেষে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫০ হাজার। করোনাকালে ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দ্বিগুণ হয়েছে।

দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নতুন নির্দেশনা নিয়ে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। তবে অনিবার্য কারণে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হলে কী হবে, সে বিষয়ে আরও স্পষ্ট নির্দেশনার প্রয়োজন।

ইন্টারনেটে গতি কম থাকা ও বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালীদের একচেটিয়া ব্যবসার বিষয়ে এমদাদুল হক বলেন, অবৈধ আইএসপি থেকে সংযোগ নিলে গতির সমস্যা হবে। এলাকার পেশিশক্তিধারীরাই একচেটিয়া ব্যবসা করে। এ বিষয়ে আইএসপিএবির কাছে বা বিটিআরসির কাছে গ্রাহক অভিযোগ জানাতে পারেন। তিনি দাবি করেন, বিটিআরসি-নির্ধারিত নতুন মূল্যহার কার্যকর হয়েছে। তবে এর ওপর ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) রয়েছে।

আইএসপিএবি জানায়, বাংলাদেশে লাইসেন্সধারী আইএসপি প্রতিষ্ঠান আছে দুই হাজারের কিছু বেশি। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০টি আইএসপিএবির সদস্য। তবে লাইসেন্সবিহীন আইএসপির সংখ্যা লাইসেন্সধারীর দ্বিগুণ। এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান বড় ইন্টারনেট সেবাদাতার কাছ থেকে ব্যান্ডউইডথ নিয়ে গ্রাহককে দেয়, যাকে বলে ‘রি-সেলিং’। এতে সেবার মান কমে যায়।

গ্রাহকেরা বলছেন, রাজধানীসহ সারা দেশের অনেক এলাকায় প্রভাবশালীরা ইন্টারনেট সেবাদাতা হিসেবে কাজ করে। তাদের সেবা নিয়ে কোনো অভিযোগ জানালে উল্টো বিপাকে পড়তে হয়। বিটিআরসি যে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে, তা-ও এরা কার্যকর করবে না।

রাজধানীর একটি এলাকার বাসিন্দা মাসুম রানা প্রথম আলোকে বলেন, এক ইন্টারনেট সেবাদাতা তার এলাকায় আরেক সেবাদাতাকে ঢুকতে দেয় না। তার কেটে দেয়। এসব সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে নতুন নির্দেশনা অনেক ক্ষেত্রে কাগজে-কলমে থেকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।



আর্কাইভ

মধ্যপ্রাচ্য পশ্চিম তীর যুক্ত করার বিল অনুমোদন করলো ইসরায়েল
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সাবজেলে রাখা হবে: আইনজীবী
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক স্থগিত করল হোয়াইট হাউস
ড. ইউনূসকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি গুম–খুনের বিচার নিশ্চিত, আ.লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান
৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো সরকার
৭ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে, সচল শাহজালাল বিমানবন্দর
শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন, উড়োজাহাজ ওঠানামা স্থগিত
শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট ফেরত পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন
সংসদ ভবন ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে হাঙ্গেরিতে ট্রাম্প-পুটিন বৈঠক