শিরোনাম:
●   জলবায়ু তহবিলের ২১১০ কোটি টাকার দুর্নীতি: টিআইবি ●   নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু ●   ভারত–বাংলাদেশের ভিসা জালিয়াতি, কঠিন হচ্ছে কানাডা: সিবিসির প্রতিবেদন ●   যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে পৃথিবীকে ১৫০বার ধ্বংস করা সম্ভব: ট্রাম্প ●   শাহরুখ খানের জন্মদিন : গণহত্যার সময় বিলিয়নিয়ার হওয়ার অর্থ কী ●   বিশ্বের ভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্বদের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ●   শাপলা কলি’ নিচ্ছে এনসিপি, নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা ●   সম্রাটদের সমাধিসহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘর চালু মিশরে ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা ●   রুশ সেনাদের আক্রমণপ কঠিন পরিস্থিতির মুখে ইউক্রেন
ঢাকা, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২
BBC24 News
মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বৈশ্বিক জলবায়ু নিয়ে‘সারশূন্য’ প্রতিশ্রুতি নয়, দরকার কার্যকর পরিকল্পনা: প্রধানমন্ত্রী হাসিনা
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বৈশ্বিক জলবায়ু নিয়ে‘সারশূন্য’ প্রতিশ্রুতি নয়, দরকার কার্যকর পরিকল্পনা: প্রধানমন্ত্রী হাসিনা
৬০৭ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বৈশ্বিক জলবায়ু নিয়ে‘সারশূন্য’ প্রতিশ্রুতি নয়, দরকার কার্যকর পরিকল্পনা: প্রধানমন্ত্রী হাসিনা

---বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জরুরি সহায়তার প্রয়োজনকে ‘গুরুত্ব দিচ্ছে না’ মন্তব্য করে বিশ্ব নেতাদের ‘সারশূন্য’ প্রতিশ্রুতি না দিয়ে কার্যকর পরিকল্পনা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন।

লন্ডন ভিত্তিক সংবাদপত্র ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিকল্পনা’ প্রণয়নে ধনী দেশগুলোর ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

নিবন্ধে শেখ হাসিনা লিখেছেন, “আমাদের সময়ের অপ্রিয় সত্য হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর পদক্ষেপ যখন সবচেয়ে জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে এবং সেটা সম্ভবও, সেই সময়ও দেশগুলো তাদের কার্বন নির্গমনের পরিমাণ যথেষ্ট দ্রুত কমিয়ে আনছে না, যাতে আমার দেশের মত দেশগুলো নিরাপদ থাকতে পারে।”

চলতি মাসের শেষে গ্লাসগোতে বসছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন- কপ-২৬, তার ঠিক আগে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনার এ আহ্বান এল।

২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে চুক্তিবদ্ধ হন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হার প্রাক শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যেন না হতে পারে, সেজন্য নিঃসরণের মাত্রা সম্মিলিতভাবে কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করা হয় সেই চুক্তিতে।

বাংলাদেশের দরকার ‘জলবায়ু দূতিয়ালি’

কপ ২৬ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সেই লক্ষ্যে কোন দেশ কতটা কী করল, তা পাঁচ বছর পর পর জানানোর কথাও ওই চুক্তিতে ছিল। কোভিড মহামারীর কারণে এক বছর পিছিয়ে গিয়ে এবারের সম্মেলকে সেসব পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি জমা হওয়ার কথা রয়েছে।

শেখ হাসিনা লিখেছেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষ প্রতিবছর হিমালয়ের বরফজমা স্বাদু পানির ওপর নির্ভর করে, কিন্তু উষ্ণতা বাড়ায় সেখানকার পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে।

দক্ষিণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি প্রকট হয়ে উঠেছে। সেখানে ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়া হবে আরেকটি ধ্বংসাত্মক পরিবর্তন।

“বাংলাদেশ যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করে, তাতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আমাদের খুব সামান্যই দায়ী করা যেতে পারে। তারপরও আমরা এর সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটা কেবল এই কারণে নয় যে, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের চরম প্রভাবকে এড়াতে চাই; এর সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়ও আছে। কার্বন-শূন্য উৎপাদনে বিনিয়োগের মাধ্যমে পুরো অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান তৈরি করাই সর্বোত্তম পন্থা এবং এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের সমৃদ্ধিও নিশ্চত হতে পারে।”

শেখ হাসিনা লিখেছেন, অন্য কোনো দেশের সাহায্য ছাড়াই বাংলাদেশ এই পরিকল্পনা বাস্তবয়ন করতে পারে।তবে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন এই বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে পারে।

“কিন্তু প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অনুযায়ী তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার প্রাক শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে যা প্রয়োজন, সেটা হলে, আমাদের (বাংলাদেশ) জলবায়ু সমৃদ্ধির পরিকল্পনার একটি আন্তর্জাতিক সংস্করণ।”

আর এ বছর গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় কপ-২৬ সম্মেলনকে সেই পরিকল্পনা তৈরির ‘সবচেয়ে সেরা সুযোগ’ বলে মনে করলেও তার সম্ভাবনা নিয়ে কিছুটা সংশয়ও প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর লেখায়।

তিনি লিখেছেন, “কিন্তু অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তিন দশক আগে রিও আর্থ সামিটে উন্নত দেশগুলো পৃথিবীকে জলবায়ু এবং পরিবেশ সঙ্কট থেকে বের করে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু তারা সম্মিলিতভাবে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমিয়েছে সাত ভাগের একভাগেরও কম। এটাতো নেতৃত্ব না।”

“সবচেয়ে দ্রত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রয়োজনকেও তারা কখনও গুরুত্বের সঙ্গে নিচে চায়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লোকসান এবং ক্ষতির মুখে পড়া সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার চুক্তি হলেও তা বাস্তবায়নের খবর নেই। যদিও সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যরা কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় নীতি তারা নেয়নি, যা থাকলে ভরসা পাওয়া যেতে যে প্রতিশ্রুতি তারা সত্যিই পূরণ করতে যাচ্ছে। জলবায়ু তহবিলে প্রতি বছর ১০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তারা ১২ বছরেও পূরণ করেনি।”

শেখ হাসিনা লিখেছেন, কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে যে পরিমাণ অর্থ দরকার, সেই তুলনায় এই ১০ বিলিয়ন ডলার খুবই সামান্য। সরকারি-বেসরকারি দুই দিক থেকেই এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আগ্রহ আছে, কিন্তু কোভিড সম্পর্কিত দেনায় মধ্যে সেটা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।

“উন্নত দেশগুলো যদি সত্যিই সহায়তা করতে চায়, তাদের এ বিষয়ে নজর দিতে হবে। তহবিলের খরচ কমিয়ে আনলে বিশ্বের দক্ষিণের দেশগুলোতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে, যাতে সারা বিশ্বই লাভবান হবে।

“পশ্চিমা নেতারা যদি এই যুক্তিটা ধরতে না পারেন, নিজেদের ঘরের উদাহরণই তাদের সেটা বুঝতে সহায়তা করতে পারে। উত্তর আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় চরম দাবানল কিংবা জার্মানির ভয়াবহ বন্যা- এসব কি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ীদের অঞ্চলে বেজে ওঠা সতর্ক ঘণ্টা নয়?”

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল, রক্ত আর বেদনায় জর্জরিত সেই জন্ম।

“আমার বাবা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার স্মরণে আমরা আমাদের জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার নাম দিয়েছি মুজিব পরিকল্পনা। তার সময়ে তিনি যেসব সমস্যার মোকাবেলা করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন সে তুলনায় অনেকটাই ব্যতিক্রম। এ বিষয়টি মোকাবেলায় মনোবল, কল্পনাশক্তি, আশা এবং নেতৃত্ব প্রয়োজন।

“পশ্চিমা নেতারা যদি কর্ণপাত করেন, বিষয়টি অনুধাবন করে তাদের কাছে বিজ্ঞান যা দাবি করছে সে অনুযায়ী যদি তারা সিদ্ধান্ত নিতে চান, তাহলে কপ ২৬ কে সফল করে তোলার জন্য এখনও সময় আছে এবং এটা খুবই জরুরি।”



এ পাতার আরও খবর

নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে পৃথিবীকে ১৫০বার ধ্বংস করা সম্ভব: ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে পৃথিবীকে ১৫০বার ধ্বংস করা সম্ভব: ট্রাম্প
শাহরুখ খানের জন্মদিন : গণহত্যার সময় বিলিয়নিয়ার হওয়ার অর্থ কী শাহরুখ খানের জন্মদিন : গণহত্যার সময় বিলিয়নিয়ার হওয়ার অর্থ কী
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
বিএনপি মাঠে নামলে অন্তর্বর্তী সরকারের টিকবে না : গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপি মাঠে নামলে অন্তর্বর্তী সরকারের টিকবে না : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
ট্রাম্পের কাছে যে কারণে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের কাছে যে কারণে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
চীনের জন্য বিশেষ সুযোগ করে দিল যুক্তরাষ্ট্র চীনের জন্য বিশেষ সুযোগ করে দিল যুক্তরাষ্ট্র
আবারও প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প: প্রাক্তন উপদেষ্টা আবারও প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প: প্রাক্তন উপদেষ্টা
নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন
১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা : পরিবেশ উপদেষ্টা ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা : পরিবেশ উপদেষ্টা

আর্কাইভ

জলবায়ু তহবিলের ২১১০ কোটি টাকার দুর্নীতি: টিআইবি
ভারত–বাংলাদেশের ভিসা জালিয়াতি, কঠিন হচ্ছে কানাডা: সিবিসির প্রতিবেদন
শাপলা কলি’ নিচ্ছে এনসিপি, নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা
সম্রাটদের সমাধিসহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘর চালু মিশরে
রুশ সেনাদের আক্রমণপ কঠিন পরিস্থিতির মুখে ইউক্রেন
নৌকা’ উপহার নিয়ে বিপাকে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির কী করবেন জানতে চাইলেন ফেসবুকে
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়ন, উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে
৭১-এর হত্যাযজ্ঞে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জামায়াতে ইসলামী
ট্রাম্পের কাছে যে কারণে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
চীনের জন্য বিশেষ সুযোগ করে দিল যুক্তরাষ্ট্র