শিরোনাম:
●   গাজায় যুদ্ধ করতে চায় না ইসরাইল সেনারা, বিপাকে নেতানিয়াহু ●   মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা শুরু করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ●   গ্রেফতার আতঙ্কে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ●   গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত ●   যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বৃত্তের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত ●   আমেরিকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে চীন: ব্লিঙ্কেন ●   বাংলাদেশে আরো তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি ●   এসএসসি পরীক্ষার ফল ৯-১১ মে’র মধ্যে প্রকাশ ●   গাজা ইস্যুতে পদ ছাড়লেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হালা রাহরিত ●   সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

BBC24 News
সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে কার্যকরি ভূমিকা রাখার আহ্বান-প্রধানমন্ত্রীর
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে কার্যকরি ভূমিকা রাখার আহ্বান-প্রধানমন্ত্রীর
৪৭৯ বার পঠিত
সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে কার্যকরি ভূমিকা রাখার আহ্বান-প্রধানমন্ত্রীর

---বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদন ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কার্যকরি ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন।

আগামীকাল সোমবার (১০ জানুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এ মাহেন্দ্রক্ষণে আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি- ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখবো। সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কার্যকরি ভূমিকা রাখব।

প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে সরকার দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে মন্তব্য করে টানা তিনবারের সরকার প্রধান বলেন, রূপকল্প-২০২১ অর্জন করেছি, দেশকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছি। মুজিববর্ষে আমরা অঙ্গীকার করেছি কেউ গৃহহীন থাকবে না।

শহরের সব সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে দিচ্ছি। ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘দ্বিতীয় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন শুরু করেছি।

‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ নামে একটি যুগান্তকারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘দিনবদলের সনদ’ ঘোষণা দিয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করি এবং পরপর তিন দফা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করি। আমরা জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করেছি। ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছরের দীর্ঘ সংগ্রাম ও অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা একই বছর ১২ নভেম্বর ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন, ১৯৯৬’ প্রণয়ন করে জাতির পিতা হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড পুস্তকসমূহে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরি।১৩ বছরে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, গত তের বছরে আমরা উন্নয়নের সব সূচকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছি। অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদণ্ডে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে এবং ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছে। আমরা দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছি। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি। চলমান করোনা মহামারি থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে ২৮টি প্যাকেজের আওতায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছি। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলি নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এক নবযুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আমরা সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক করেছি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে এক কালজয়ী মহাপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে ফিরে পায়। মহান নেতার আগমনে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দ পরিপূর্ণতা লাভ করে।

স্বাধীনতার পর পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে বঙ্গবন্ধুর দেশে ফিরে আসার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরপরই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের নির্জন কারাগারে পাঠায় এবং তার ওপর অবর্ননীয় নির্যাতন চালাতে থাকে। তিনি ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাকিস্তানের সামরিক আদালতে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুণতে গুণতেও তিনি বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। তার অবিচল নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মরণপণ যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে।

শেখ হাসিনা বলেন, পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। একই দিন সকালে তিনি লন্ডনে অবতরণ করেন, সেখানে কমনওয়েলথ মহাসচিবের আহ্বানে বাংলাদেশের সদস্যপদ গ্রহণে তাৎক্ষণিক সম্মতি জানান, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সংবাদ সম্মেলন করেন। জাতির পিতা ১০ জানুয়ারি সকালে দিল্লীতে যাত্রা বিরতি দিয়ে দুপুরে তার প্রিয় মাতৃভূমিতে পদার্পণ করেন। ওইদিন রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে এক ভাষণে তিনি পাকিস্তানি সামরিক জান্তার ভয়াবহ ও নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন, সেইসঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা সংগঠনের দায়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বিচারের মুখোমুখী করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।

যুদ্ধ বিধস্ত দেশ গড়ায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। তার বলিষ্ঠ পদক্ষেপে ভারতীয় মিত্রবাহিনী ১৫ মার্চ এর মধ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। তিনি একই বছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। জাতির পিতার সফল দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক তৎপরতায় বাংলাদেশ বিশ্বের ১২৩টি দেশ এবং ১৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি লাভ করে। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরেই স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।



আর্কাইভ

গাজায় যুদ্ধ করতে চায় না ইসরাইল সেনারা, বিপাকে নেতানিয়াহু
গ্রেফতার আতঙ্কে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু
গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত
যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বৃত্তের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
আমেরিকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে চীন: ব্লিঙ্কেন
বাংলাদেশে আরো তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
এসএসসি পরীক্ষার ফল ৯-১১ মে’র মধ্যে প্রকাশ
গাজা ইস্যুতে পদ ছাড়লেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হালা রাহরিত
সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : প্রধানমন্ত্রী
এক লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত