শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

BBC24 News
শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » পদ্মা সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, আমাদের অহঙ্কার, সক্ষমতা-মর্যাদার প্রতীক: প্রধানমন্ত্রী
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » পদ্মা সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, আমাদের অহঙ্কার, সক্ষমতা-মর্যাদার প্রতীক: প্রধানমন্ত্রী
৫১১ বার পঠিত
শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পদ্মা সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, আমাদের অহঙ্কার, সক্ষমতা-মর্যাদার প্রতীক: প্রধানমন্ত্রী

---বিবিসি২৪নিউজ, এম ডি জালাল, আশরাফ আলী, মাওয়া (মুন্সীগঞ্জ) থেকেঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রমত্তা পদ্মার বুকে পদ্মা সেতু বাঙালির অহঙ্কার, গর্ব ও সক্ষমতা- মর্যাদার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। তার সঙ্গে মঞ্চে আসীন হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও আসীন হন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

এর আগে উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটি কোটি দেশবাসীর সঙ্গে আমিও আজ আনন্দিত, গর্বিত এবং উদ্বেলিত। অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে আজ বহু কাঙ্ক্ষিত সেতু দাঁড়িয়ে গেছে।

‘এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়, এ সেতু আমাদের অহঙ্কার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা, আর মর্যাদার প্রতীক। এ সেতু বাংলাদেশের জনগণের। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, আমাদের সাহসিকতা, সহনশীলতা আর জেদ। সাবাস বাংলাদেশ, আমরা মাথা নোয়াবো না। আমরা মাথা নোয়াইনি।’ –যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের ফলে আমাদের সেতু নির্মাণ খানিকটা বিলম্বিত হয়েছে, কিন্তু আমরা হতোদ্দম হইনি। শেষ পর্যন্ত অন্ধকার ভেদ করে আমরা আলোর মুখ দেখেছি। পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে লাল, নীল, সবুজ, সোনালি আলোর ঝলকানি। ৪১টি স্প্যান যেন স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, বাঙালিকে কেউ ‘দাবায়ে রাখতে পারবে না, পারেনি। আমরা বিজয়ী হয়েছি।

২০০১ সালের মাঝামাঝি পদ্মার নদীর উপর সেতু নির্মাণের সমীক্ষার কাজ শেষ করে জাপান। স্থান-নির্বাচন করে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে। এই সমীক্ষার ভিত্তিতে ২০০১ সালের ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে দেশ বিদেশে। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও অগ্রগতি স্থবির হয়ে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন অনেকে।

শেখ হাসিনা সমালোচকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আজকে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বসে পড়েনি। বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে আমরা প্রমাণ করেছি, আমরাও পারি। পদ্মা সেতু তাই আত্মমর্যাদা ও বাঙালির সক্ষমতা প্রমাণের সেতু শুধু নয়, পুরো জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধও। বাংলাদেশের জনগণই আমার সাহসের ঠিকানা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের গুণগত মানে কোনো আপস করা হয়নি। এই সেতু নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে। সম্পূর্ণস্বচ্ছতা বজায় রেখে পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে। পদ্মা সেতুর পাইল বা মাটির গভীরে বসানো ভিত্তি এখন পর্যন্ত বিশ্বে গভীরতম।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত এই সেতুর পাইল বসানো হয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধ বিবেচনায় ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এ রকম আরও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে এই সেতুর নির্মাণ পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে প্রকৌশলবিদ্যার পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে- এটা নিশ্চিত।

বিশ্বের সেরা প্রযুক্তিতে নির্মিত এ দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে স্টিল ও কংক্রিট স্ট্রাকচারে। বহুমুখী এই সেতুর উপরের ডেক দিয়ে যানবাহন এবং নিচের ডেক দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন। সেতু চালু হওয়ার পর সড়ক ও রেলপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে, অন্যদিকে অর্থনীতি হবে বেগবান। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ঐতিহাসিক দিনে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দেশের কল্যাণের কাজ করার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসুন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের এই ঐতিহাসিক দিনে যে যাঁর অবস্থান থেকে দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার শপথ নেই। বাঙালি বীরের জাতি। বাঙালির ইতিহাসের প্রতিটি বাঁক রঞ্জিত হয়েছে ত্যাগ-তিতীক্ষা আর রক্ত ধারায়। কিন্তু বাঙালি আবার সদর্পে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে জড়িত জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে স্মরণ করেন। এই সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ পরার্শক, ঠিকাদার, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, শ্রমিক, নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা।



আর্কাইভ

বাংলাদেশে রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
পরিবেশ দূষণে দেশে বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ: বিশ্বব্যাংক
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর পুরস্কার নিয়ে যা বলছে ইউনূস সেন্টার
বাংলাদেশ থেকে আম কাঁঠাল আলু পাটজাত পণ্য নিতে চায় চীন
রাজধানীতে ভয়ংকর কিশোর গ্যাং,গডফাদারদের খুঁজে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
গাজায়- ইসরাইলি গণহত্যা বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞকে ইসরায়েলর হুমকি
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার
বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
ইউনেস্কোর পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস : শিক্ষামন্ত্রী