শিরোনাম:
●   ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরে ইসলামপন্থিদের আপত্তির কারণ কী! ●   এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ●   ঢাকার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক বাণিজ্যিক : কুগেলম্যান ●   পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত! ●   ইরান কখনো ইসরায়েলের কাছে মাথা নত করবে না জনসম্মুখে এসে খামেনি ●   রাজনৈতিক নতুন দল গঠন করছেন ইলন মাস্ক ●   মালয়েশিয়া ফেরত ৩ প্রবাসী জঙ্গি নয়,ভিসার মেয়াদ শেষ ছিল : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ●   বিএনপির নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে ? ●   তুরস্কে তীব্র তুষারপাত, অন্যদিকে দাবানলের তাণ্ডব ●   ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট পাকিস্তান?
ঢাকা, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

BBC24 News
রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে বায়ুদূষণে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল,দুই লাখ টাকা জরিমানা
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে বায়ুদূষণে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল,দুই লাখ টাকা জরিমানা
৫৫৭ বার পঠিত
রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে বায়ুদূষণে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল,দুই লাখ টাকা জরিমানা

---বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদক,ঢাকা: দেশে বায়ুদূষণ রোধে আইন হচ্ছে না। এর পরিবর্তে একটি বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের করা ‘বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২’ অনুযায়ী বায়ুদূষণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড পেতে হবে।

বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো স্থানের বায়ুমান নির্ধারিত মানের চেয়ে বেশি অবনমন হলে ওই স্থানকে মারাত্মক বায়ুদূষণযুক্ত এলাকা (ডিগ্রেডেড এয়ার শেড) ঘোষণা করতে পারবে সরকার। একইসঙ্গে বায়ুদূষণকারী প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার তালিকা করে তা প্রকাশ করতে পারবে পরিবেশ অধিদপ্তর।

তাদের পরামর্শে আমরা বায়ুদূষণ রোধে দুটি বিধিমালা করছি। বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা হয়ে গেলো, আর পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালাও চূড়ান্ত হওয়ার পথে রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগও আইন মন্ত্রণালয়ের এ পরামর্শের বিষয়ে তাদের সম্মতি জানিয়েছে। বিধিমালা করতে সময় কম লাগে। আইনে বেশি সময় লাগে। আমরা আশা করি, বিধিমালার মাধ্যমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

বায়ুদূষণ রোধে এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ‘নির্মল বায়ু আইন’র খসড়া করে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। কিন্তু খসড়াটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন থাকার পর বায়ুদূষণ রোধে আরও একটি আইন করা নিয়ে আপত্তি জানায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারা আইনের পরিবর্তে বিধিমালা করার পরামর্শ দেয়।

এ প্রেক্ষাপটে ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫’ এর অধীনে গত ২৫ জুলাই ‘বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২’ জারি করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। ২৬ জুলাই বিধিমালার গেজেট জারি হয়।

বিশ্বের বায়ুর মান প্রতিবেদন-২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশের তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বাতাসের প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২ দশমিক ৫ (মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সূক্ষ্ম বস্তুকণা)-এর মাত্রা ৭৬ দশমিক ৯। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মান অনুযায়ী, প্রতি ঘনমিটারে যা থাকার কথা ১০-এর কম।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ অনুবিভাগ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, বায়ুদূষণ রোধে আইন করার জন্য একটি খসড়া করা হয়েছিল। কিন্তু আইনের ভেটিং যারা করেন তাদের ভাষ্য, বায়ুদূষণ রোধে আইন করলে অন্যান্য আইনের সঙ্গে তা সাংঘর্ষিক হতে পারে। তাই তারা নতুন আইনের পরিবর্তে দুটি বিধিমালা করার পরামর্শ দেন।

অবকাঠামো নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণের সময় ধুলাবালি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করাতে হবে এবং এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সড়কের পাশের অনাবৃত স্থান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কংক্রিট কার্পেটিং বা ঘাস লাগিয়ে আবৃত রাখতে হবে। এ বিধি না মানলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

তিনি বলেন, তাদের পরামর্শে আমরা বায়ুদূষণ রোধে দুটি বিধিমালা করছি। বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা হয়ে গেলো, আর পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালাও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগও আইন মন্ত্রণালয়ের এ পরামর্শের বিষয়ে তাদের সম্মতি জানিয়েছে।

‘বিধিমালা করতে সময় কম লাগে। আইনে বেশি সময় লাগে। আমরা আশা করি, বিধিমালার মাধ্যমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। কারণ, আমাদের তো পরিবেশ সংরক্ষণ আইন আছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের অধীনেই বিধিমালাটি করা হয়েছে’-বলেন অতিরিক্ত সচিব।

মারাত্মক বায়ুদূষণযুক্ত এলাকা ঘোষণা করা যাবে

বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো এলাকার পরিবেষ্টন বায়ুর (কোন এলাকায় বায়ুর মান যা দূষণের উৎসে উৎসরিত বায়ুমান থেকে ভিন্ন) মানমাত্রা নির্ধারিত মানমাত্রা (তফসিল-১) পার হাওয়ার কারণে ওই এলাকাটি মারাত্মক বায়ুদূষণযুক্ত এলাকায় পরিণত হলে, মহাপরিচালক ওই এলাকাটিকে ডিগ্রেডেড এয়ার শেড হিসেবে ঘোষণা করতে পারবেন।

‘ডিগ্রেডেড এয়ার শেড’ হচ্ছে একই বায়ুপ্রবাহের অন্তর্গত একটি এলাকা, যার বায়ুর গুণগতমান দূষণের কারণে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালার অধীন নির্ধারিত মানমাত্রা পার হয়েছে। ডিগ্রেডেড এয়ার শেড ঘোষণার ক্ষেত্রে বিরল প্রাকৃতিক, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এরূপ এলাকা বেশি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

বিধিমালায় বলা হয়, ডিগ্রেডেড এয়ার শেডে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, প্রকল্প বা বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী সুনির্দিষ্ট বা চলমান উৎস স্থাপন বা চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং এয়ার শেডে বিদ্যমান শিল্পপ্রতিষ্ঠান, প্রকল্প বা বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী সুনির্দিষ্ট বা চলমান উৎস স্থানান্তর বা চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দিতে পারবেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এ বিধির ব্যত্যয় হলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

ঘোষিত কোনো ডিগ্রেডেড এয়ার শেডে বায়ুমান পর পর দুই বছর পরিবেষ্টন বায়ুর মানমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে ওই ঘোষণা প্রত্যাহার করা যাবে। ডিগ্রেডেড এয়ার শেডের জন্য নেওয়া পরিকল্পনাটিও বাতিল হয়ে যাবে।

বায়ুদূষণকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা

বিধিমালায় বলা হয়েছে, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং প্রতিবেশগত বা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য ক্ষতিকর বায়ুদূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের কর্মকাণ্ড এবং কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সৃষ্ট বায়ুদূষণের তালিকা প্রকাশ করতে পারবে পরিবেশ অধিদপ্তর।

তালিকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পকে বায়ুদূষণ রোধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা সম্বলিত একটি পরিকল্পনা দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেবে জানিয়ে বিধিমালায় বলা হয়, ওই পরিকল্পনা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিবর্তন করে অনুমোদন করবেন এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পকে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেবেন। এমনকি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবেন সরকার। অনুমোদিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে তালিকা থেকে নাম বাদ যাবে বলে বিধিমালায় জানানো হয়।

বায়ুদূষণকারী কোনো দ্রব্য বা বস্তুকে সার্বিকভাবে বা কোনো নির্দিষ্ট এলাকার জন্য প্রধান বায়ুদূষক হিসেবে ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ওই বায়ুদূষকের বিষয়ে সময়ভিত্তিক দূষণ প্রতিরোধ পরিকল্পনা দাখিলের নির্দেশ দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রেও অনুমোদিত বায়ুদূষণ প্রতিরোধ পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করবে এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি তিন মাস অন্তর মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।

যদি কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান, প্রকল্প বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোনো দ্রব্য পোড়ানো, শিল্প বা প্রকল্প পরিচালনা বা জ্বালানি দহনের কারণে বায়বীয় নিঃসরণের মানমাত্রা পার হয় বা পার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ওই শিল্প, প্রকল্প বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক, দখলদার বা দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিকে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে যেসব ব্যবস্থা নিতে হবে তা বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

যানবাহন সৃষ্ট বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ

যানবাহন পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বিধিমালায় নির্ধারিত মানমাত্রা এবং জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় সুপারিশ করা কর্মপদ্ধতি মেনে চলবে।

বিধিমালায় নির্ধারিত মানমাত্রা বাস্তবায়নে অধিদপ্তর দূষণ সৃষ্টিকারী যানবাহনের ব্যবহার নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশবান্ধব যানবাহন প্রচলনের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) পরামর্শ বা সুপারিশ দিতে পারবে এবং এর ভিত্তিতে বিআরটিএ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

বিআরটিএ লাইসেন্স বা অনুমোদন দেওয়া বা নবায়নকালে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বা সরকারের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যানবাহনের নিঃসরণ মাত্রা পরিমাপ করবে এবং নির্ধারিত মাত্রার মধ্যে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণকার্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা নির্ধারিত মানমাত্রা, নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় নির্ধারিত কর্মপদ্ধতিসমূহ অনুসরণ করবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আওতাধীন এলাকায় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ দায়িত্ব পালনে সক্ষম করে তুলতে অধিদপ্তর নিরবচ্ছিন্নভাবে কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দিতে পারবে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অধীনে অবকাঠামো নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ, সংস্কার ও মেরামত কার্যক্রম পরিচালনার সময় পরিবেশ রক্ষায় নির্ধারিত মানমাত্রা মেনে চলবে।

এসব প্রতিষ্ঠানসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দূষণকারী চুল্লির ব্যবহার কমাবে এবং পরিবেশবান্ধব চুল্লির প্রতিস্থাপন নিশ্চিত করবে। ভবন নির্মাণ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিধিমালায় নির্ধারিত মানমাত্রা প্রতিপালন করে ধুলাবালি ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করবে এবং নির্মাণ কার্যাবলি কার্যকরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

অবকাঠামো নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণের সময় ধুলাবালি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সড়কের পাশের অনাবৃত স্থান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কংক্রিট কার্পেটিং বা ঘাস লাগিয়ে আবৃত রাখতে হবে। এ বিধি না মানলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

নির্মাণ কার্যক্রম থেকে দূষণ রোধে করণীয়

বিধিমালা অনুযায়ী, রাস্তা, ড্রেন, ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ, মেরামত বা সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ছয়টি ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্মাণস্থলে যথাযথ অস্থায়ী ছাউনি বা বেষ্টনী স্থাপনসহ নির্মাণাধীন ভবন আচ্ছাদিত রাখতে হবে। সব ধরনের নির্মাণসামগ্রী (মাটি, বালি, রড, সিমেন্ট, ইত্যাদি) আবৃত বা ঢেকে রাখতে হবে। নির্মাণসামগ্রী (মাটি, বালি, সিমেন্ট, ইট, ময়লা-আবর্জনা) পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক, ভ্যান বা লরি আবৃত বা সম্পূর্ণভাবে ঢেকে পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া মাটি, বালি, সিমেন্ট, ইট, ময়লা-আবর্জনা, ইত্যাদি পরিবহন ও নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ট্রাক, ভ্যান বা লরির চাকার কাদা-মাটি বা ময়লা-আবর্জনা সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করে রাস্তায় চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

নির্মাণসামগ্রী (মাটি, বালি, সিমেন্ট, ইত্যাদি) রাস্তায়, ফুটপাতে বা যত্রতত্র ফেলে রাখা যাবে না এবং নির্মাণকাজে সৃষ্ট বর্জ্য খোলা অবস্থায় সংরক্ষণ বা পোড়ানো যাবে না। এছাড়া নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ বা মেরামত স্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি বা ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণকারী কেমিক্যাল ছিটাতে হবে।

এসব নিয়ম না মানলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্জ্য থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ

বর্জ্য থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিধিমালায় বলা হয়েছে। বর্জ্য বা এর কোনো অংশ যত্রতত্র খোলা অবস্থায় সংরক্ষণ বা পোড়ানো যাবে না। রাস্তা, সড়ক বা মহাসড়কের পাশে কোনো বর্জ্য খোলা অবস্থায় সংরক্ষণ ও পোড়ানো যাবে না ।

নালা, নর্দমা বা ড্রেনের বর্জ্য উঠিয়ে রাস্তার পাশে স্তূপ আকারে জমা করা যাবে না। গৃহস্থালি বর্জ্য কোনো অবস্থায় বাড়ির সামনে বা এর সম্মুখস্থ রাস্তার পাশে খোলা অবস্থায় সংরক্ষণ বা পোড়ানো যাবে না। বায়ুদূষণ রোধে বাড়িতে বসবাসকারী বাসিন্দা বা বাসিন্দাদের নিজ দায়িত্বে বাড়ির আশপাশের বর্জ্য পরিষ্কার করতে হবে।

এ ক্ষেত্রেও বিধিমালা ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে হবে।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি

বিধিমালা অনুযায়ী, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, নির্দেশনা ও সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে ২৮ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি থাকবে। কমিটি বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে পরামর্শ দেবে এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।

বিধিমালার অধীন বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নির্ধারিত মানমাত্রা অর্জন ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট করণীয় নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেবে কমিটি।

কোনো শহর, অঞ্চল বা নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুদূষণের মাত্রা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে পৌঁছালে ওই শহর, অঞ্চল বা স্থানের শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প, যানবাহন বা বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী যে কোনো উৎসের চলাচল বা কার্যক্রমের ওপর বিধিনিষিধ আরোপ বা সীমিত করার নির্দেশনা দেবে জাতীয় কমিটি। নির্দেশনা অমান্য করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে বিধিমালায়।

সরকার বায়ুদূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং বায়ুর গুণগত মান রক্ষা ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিতে পারবে বলেও বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।



এ পাতার আরও খবর

রাজনৈতিক নতুন দল গঠন করছেন ইলন মাস্ক রাজনৈতিক নতুন দল গঠন করছেন ইলন মাস্ক
মালয়েশিয়া ফেরত ৩ প্রবাসী জঙ্গি নয়,ভিসার মেয়াদ শেষ ছিল : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মালয়েশিয়া ফেরত ৩ প্রবাসী জঙ্গি নয়,ভিসার মেয়াদ শেষ ছিল : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মালয়েশিয়া গ্রেপ্তার বাংলাদেশি শ্রমিকরা সিরিয়া ও আইএসের কাছে অর্থ পাঠাতেন: পুলিশপ্রধান মালয়েশিয়া গ্রেপ্তার বাংলাদেশি শ্রমিকরা সিরিয়া ও আইএসের কাছে অর্থ পাঠাতেন: পুলিশপ্রধান
নির্বাচন নয়, সংস্কার কাজের অগ্রগতি জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচন নয়, সংস্কার কাজের অগ্রগতি জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সদরদপ্তর গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সদরদপ্তর
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে পদত্যাগ করতে বললেন ট্রাম্প মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে পদত্যাগ করতে বললেন ট্রাম্প
অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি : ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি : ট্রাম্প
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত
বাংলাদেশে স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা

আর্কাইভ

এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ঢাকার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক বাণিজ্যিক : কুগেলম্যান
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত!
ইরান কখনো ইসরায়েলের কাছে মাথা নত করবে না জনসম্মুখে এসে খামেনি
বিএনপির নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে ?
তুরস্কে তীব্র তুষারপাত, অন্যদিকে দাবানলের তাণ্ডব
ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট পাকিস্তান?
যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ বন্যায় ১৩ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ২৩ শিশু
গাজায় ইসরাইলি বর্বর হামলায় আরও ১৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
বাংলাদেশিদের কিডনি পাচার হচ্ছে ভারতে: আল-জাজিরা