শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

BBC24 News
রবিবার, ২১ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | রাজনীতি | শিরোনাম » ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ইতিহাসের আরেক কলঙ্কিত অধ্যায়
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | রাজনীতি | শিরোনাম » ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ইতিহাসের আরেক কলঙ্কিত অধ্যায়
৩৭৪ বার পঠিত
রবিবার, ২১ আগস্ট ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ইতিহাসের আরেক কলঙ্কিত অধ্যায়

---বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর এ দেশে আরেকটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। এটি দেশের ইতিহাসের আরেক কলঙ্কিত অধ্যায়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের শান্তির সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।
রোববার (২১ আগস্ট) সেই ভয়াল গ্রেনেড হামলা দিবস।

বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্য হত্যার পর এই আগস্ট মাসেই আরেকটি রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়।
এদিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গ্রেনেড হামালা চালিয়ে ২৩ জনকে হত্যা করা হয়।

এ গ্রেনেড হামলায় প্রধান টার্গেট ছিলেন তৎকালীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই ভয়াবহ হামলায় শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আহত হন।
১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বহু বার হত্যার চেষ্টায় তার ওপর হামলা চালানো হয়। শেখ হাসিনার ওপর যতবার হামলা হয়েছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। এই গ্রেনেড হামলাকারীদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততার তথ্য পরবর্তিতে বেরিয়ে আসে। এ গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নারী নেত্রী আইভি রহমান গুরুতর আহত হন। পরে ২৪ আগস্ট তিনি হাসপাতালে মারা যান।সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা এবং তত্কালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে ওই দিন বিকেলে এই সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে খোলা ট্রাকের ওপর স্থাপিত উন্মুক্ত মঞ্চে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বক্তৃতা শেষে বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই হঠাৎ বৃষ্টির মতো গ্রেনেড এসে সমাবেশের ওপর পড়তে থাকে। বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, গুলিস্তান, পুরানা পল্টন ও এর আশপাশের এলাকা। গ্রেনেডের আঘাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষত-বিক্ষত হন এবং অনেকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

চারদিক থেকে সভাস্থলে গ্রেনেড এসে পড়তে থাকায় মুহূর্তের মধ্যে সমাবেশস্থল রক্তাক্ত হয়ে পড়ে, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিণত হয় রক্তাক্ত আর মৃত্যুর জনপদে। শত শত মানুষের আর্তচিত্কার, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকা ছিন্নভিন্ন দেহ, রক্ত আর বারুদের পোড়া গন্ধে পুরো এলাকা জুড়ে বীভৎস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ আহতদের সাহায্য করার পরিবর্তে ভীত-সন্ত্রস্ত এবং আহত মানুষের ওপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সেই গ্রেনেড হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেড বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে তার কানের শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গ্রেনেড বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য ট্রাকের ওপর মানববর্ম রচনা করেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এই হত্যাযজ্ঞ থেকে দলের নেত্রীকে বাঁচাতে নেতাকর্মীরা মানববর্ম দিয়ে আড়াল করে তাকে দ্রুত গাড়িতে তুলে দেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে বের হওয়ার পথেই শেখ হাসিনার বুলেট প্রুফ মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িতেও ঘাতকরা অবিরাম গুলিবর্ষণ করে।

২১ আগস্টের এই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহত হন মোস্তাক আহমেদ সেন্টু, ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, রফিকুল ইসলাম আদা চাচা, সুফিয়া বেগম, হাসিনা মমতাজ রীনা, লিটন মুন্সী ওরফে লিটু, রতন সিকদার, মো. হানিফ ওরফে বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, মামুন মৃধা, বেলাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারী, আতিক সরকার, নাসিরউদ্দিন সরদার, রেজিয়া বেগম, আবুল কাসেম, জাহেদ আলী, মমিন আলী, শামসুদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, ইছহাক মিয়া এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুজন।

আহতের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি (দলের তত্কালীন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য) জিল্লুর রহমান, তৎকালীন সভাপতিমণ্ডলির সদস্য আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথসহ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

দীর্ঘদিন চিকিত্সা নিয়ে আহতদের অনেকে সুস্থ হলেও অনেকেই বেঁচে আছেন পঙ্গুত্ব বরণ করে। এ হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২০১৮ সালে আদালত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেন। এ রায়ে আদালত মোট ৪৯ জন আসামির মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন। মামলাটি এখন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।



আর্কাইভ

পুরুষদের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করলো মিয়ানমার
ইসরাইলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেফতার করছে সৌদি আরব
ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিল সৌদি
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করলো তুরস্ক
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
সাংবাদিককে হুমকি গ্রহণযোগ্য নয়: মিলার
উপজেলা ভোটে প্রভাব বিস্তার করবেন না, মন্ত্রী-এমপিদের ইসি
কংগ্রেস পাকিস্তানের ‘মুরিদ’: মোদি
নিউইয়র্কের আদালতে ট্রাম্পকে ৯ হাজার ডলার জরিমানা
উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশে অপপ্রচার চালানো হয় : আরাফাত