শিরোনাম:
●   সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায়: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন ●   দেশে জুয়া ও হুন্ডির কারণে মুদ্রাপাচার বেড়ে যাচ্ছে: সংসদে অর্থমন্ত্রী ●   তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়ন করবে ভারত ●   ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়েছে ●   স্টুডেন্ট ভিসায় আবারও পরিবর্তনের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার ●   ইউক্রেনে কারাবন্দিরা যোগ দিতে পারবেন সেনাবাহিনীতে ●   রাফায় হামলা চালালে ইসরায়েলকে মার্কিন সহযোগিতা বন্ধের হুমকি বাইডেনের ●   ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ●   রাফায় ইসরায়েলি অভিযান ঠেকাতে ‘জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ’ নেয়ার আহ্বান কাতারের ●   বাংলাদেশকে ১.১৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিবে : আইএমএফ
ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
BBC24 News
বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » মুক্তিকামী জনতার ওপর গুলি চালায় মেজর জিয়া: শেখ হাসিনা
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » মুক্তিকামী জনতার ওপর গুলি চালায় মেজর জিয়া: শেখ হাসিনা
১৭১ বার পঠিত
বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মুক্তিকামী জনতার ওপর গুলি চালায় মেজর জিয়া: শেখ হাসিনা

---বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকা: পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাঙালির ওপর যে আক্রমণ চালিয়েছিল বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়া সেই আক্রমণকারীদের একজন ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যারা প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল? আমি জিজ্ঞেস করি, আপনারা কোথায় ছিলেন? সেটাও একটু বলেন। জবাব দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় ছিল তাও আমি বলি, ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যখন এখানে গণহত্যা শুরু করে, তারা কিন্তু চট্টগ্রামেও হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল। যারা ব্যারিকেড দিচ্ছিল জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে, তাদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।

আর চট্টগ্রামে সেই সেনাবাহিনীর দায়িত্বে জিয়াউর রহমান ছিলেন এবং জিয়াউর রহমানও যারা সেই সময় ব্যারিকেড দিয়েছে তাদের ওপর গুলি চালিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শুধু তাই না, সোয়াত জাহাজ এসেছে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র নিয়ে, সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।

সেখানে এই যে সংগ্রাম পরিষদের নেতা ও অন্যান্য সাধারণ জনগণ, তারা তাকে পথে আটকায়। তাকে যেতে দেয়নি, বাধা দিয়েছিল এবং সেখান থেকেই ধরে নিয়ে আসে। সেই সময় আমাদের নেতারা; এখন তো অনেকেই বেঁচে নেই! তারা এখনো সেটা স্মরণ করে।
তিনি বলেন, কাজেই পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ যে আক্রমণটা বাঙালির ওপর চালায়, সেই আক্রমণকারী একজন কিন্তু জিয়াউর রহমানও। সেটা হলো চট্টগ্রামে। এটাও ভুললে চলবে না।

স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে সর্বপ্রথম ২৬ মার্চ দুপুর ২টা-আড়াইটার সময় মান্নান সাহেব, চট্টগ্রামের সেক্রেটারি ঘোষণা দেওয়া শুরু করে। একে একে আমাদের যারা নেতা সবাই ঘোষণা পাঠ করে। সে সময় জহুর আহমেদ সাহেব বলেন, আমাদের একজন মিলিটারি লোক দরকার। তাহলে আমরা যে যুদ্ধ করছি, সেই যুদ্ধ যুদ্ধ হবে। তখন মেজর রফিককে বলা হয়, তিনি তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে আটকানোর জন্য অ্যাম্বুস করে বসে আছেন। বলছেন, আমি এখান থেকে নড়লে এই জায়গাটা ওরা দখল করে নেবে।

তিনি বলেন, ওই সময় জিয়াউর রহমানকে ধরে আনা হয় এবং তাকে দিয়ে ২৭ তারিখ সন্ধ্যার পরে সে জাতির পিতার পক্ষে ঘোষণাটা দেওয়া হয়। তিনি পাঠ করেন। কেউ যদি কিছু বলে, আমরা আওয়ামী লীগ তাকে খাটো করে দেখেনি। জিয়াউর রহমান একজন মেজর, তিনি যখন বলছেন মানুষের মধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাবটা আসবে, এই উদ্দেশ্য নিয়েই একজন সামরিক অফিসারকে দিয়ে এই ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল। সেটাকেই এখন একেবারে ঘোষক হিসেবে (বলা হচ্ছে); হ্যাঁ, রেডিওর ঘোষক, টেলিভিশনের ঘোষক, আমাদের এই মিটিংয়েরও তো ঘোষক আছে, তাই না? ঘোষক তো সেই ঘোষক। কাজেই এটা নিয়ে বড়াই করার তো কিছু নেই! কিন্তু তারা এটা (নিয়ে) বড়াই করে যাচ্ছে।

স্বাধীনতার ঘোষণার ইতিহাস তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এই ইতিহাসকে পঁচাত্তরের পর তো বিকৃত করা হয়েছে। বিকৃত করে একটা ভিন্ন ইতিহাস সামনে আনার চেষ্টা করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল একটা মেজর কোন ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে ফুঁক দিলো আর অমনি বাঁশি ফুঁক দিলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল। এইভাবে একটা দেশ স্বাধীন হয় না। তাহলে তো বাংলাদেশে ইতিহাস অন্য রকম হতো। এই ক্ষেত্রে আমি বলবো যে, এই যে ইতিহাস বিকৃত করে এখনো তারা কিন্তু ভাঙা রেকর্ডের মতো বলেই যাচ্ছে। ওদের কখনো আক্কেল ঠিকানা হবে না। আর না হওয়ার কারণও আছে। এখন তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। এর মধ্যে অনেকেই তো…মুক্তিযুদ্ধে তারা কে ছিলেন? কোথায় ছিলেন? আজকে যিনি বলেছেন যে, ২৫ মার্চ সব আওয়ামী লীগ পালিয়ে গিয়েছিল, তার বাবা কে ছিলেন?

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ৭৪ সালে যে দুর্ভিক্ষ হয়, তখন খাদ্য সচিব ছিলেন। এই খাদ্য সচিব বেইমানি করে ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে এই দুর্ভিক্ষ ঘটিয়েছিলেন। যার পুরস্কার পেয়েছিলেন জিয়াউর রহমান যখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। তাকে উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন মন্ত্রীর মর্যাদায় এই মঈন খানের বাবা। তার নাম হলো মোমিন খান। তিনি ছিলেন খাদ্য সচিব পিএল ফরেটের ওপর আমরা নির্ভরশীল। সেই পিএল ফরেট জাহাজ, নগদ টাকা দিয়ে কেনা জাহাজ। সেই জাহাজ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। খাবার আসতে দেয়নি বাংলাদেশে। দুর্ভিক্ষ ঘটানো হয়েছিল।



আর্কাইভ

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায়: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন
দেশে জুয়া ও হুন্ডির কারণে মুদ্রাপাচার বেড়ে যাচ্ছে: সংসদে অর্থমন্ত্রী
ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়েছে
স্টুডেন্ট ভিসায় আবারও পরিবর্তনের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার
ইউক্রেনে কারাবন্দিরা যোগ দিতে পারবেন সেনাবাহিনীতে
রাফায় হামলা চালালে ইসরায়েলকে মার্কিন সহযোগিতা বন্ধের হুমকি বাইডেনের
ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ
রাফায় ইসরায়েলি অভিযান ঠেকাতে ‘জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ’ নেয়ার আহ্বান কাতারের
বাংলাদেশকে ১.১৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিবে : আইএমএফ
উপজেলা নির্বাচনে যারা জিতলেন