মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম » মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যা বললেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যা বললেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
বিবিসি২৪নিউজ, অমিত ঘোষ দিল্লি থেকে : বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দিল্লি হাইকোর্টে জানান, আরটিআই আইনের ধারা অনুসারে, তথ্য জানানোই এই আইনের উদ্দেশ্য। কিন্তু, কারও ব্যক্তিগত কৌতুহল নিবৃত্তি এই আইনের উদ্দেশ্য নয় বলে জানান সলিসিটর জেনারেল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মোদির ডিগ্রি বিতর্কে আরটিআইয়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনার জন্য। আরটিআই কর্মীর আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবর্ষে পাস করা সব শিক্ষার্থীর তথ্য প্রকাশ করতে বলে কমিশন। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
হাইকোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তের এজলাসে মেহতা জানান, একটি বিশ্বাসের জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রাখা থাকে। আইনের মারপ্যাঁচে কোনও অপরিচিত ব্যক্তির কাছে তা প্রকাশ করা যায় না।
সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য, যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তার সঙ্গে স্বচ্ছতা বা জবাবদিহির কোনও সম্পর্ক নেই। তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেওয়ার ফলে আরটিআই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মোদির ডিগ্রি বিতর্কে এই মামলা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে দিল্লি হাইকোর্টে। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আরটিআই কর্মী নীরজ কুমার প্রথমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ১৯৭৮ সালের স্নাতক স্তরের সব শিক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর জানতে চেয়েছিলেন। কে পাস করেছেন, কে ফেল করেছেন, তা-ও জানতে চান তিনি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তৃতীয় পক্ষের তথ্য এ ভাবে দেওয়া যাবে না। তখন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানান আরটিআই কর্মী। তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে কমিশন ওই তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেয়।
কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৯৭৮ সালের কলা বিভাগের স্নাতক স্তরে পাস করা শিক্ষার্থীদের নথিপত্র খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। ঘটনাচক্রে ওই বছরেই স্নাতক পাস করেন মোদিও। ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি মামলার প্রথম শুনানিতেই কমিশনের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মেহতা আদালতে জানান, আইন অনুসারে অনুমতি পেলে, কেউ নিজের ডিগ্রি বা মার্কশিট সংক্রান্ত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে চাইতেই পারেন। কিন্তু কোনও তৃতীয় পক্ষের কাছে এ জাতীয় তথ্য প্রকাশ্যের অনুমোদন দেয় না আরটিআই আইন। সে ক্ষেত্রে কমিশনের নির্দেশটি আইনের পরিপন্থি বলেই মত সলিসিটর জেনারেলের।
তিনি বলেন, “ওই আরটিআই কর্মী ১৯৭৮ সালের (পাস করা) সকলের তথ্য চেয়েছেন। এরপর কেউ এসে ১৯৭৯ সালের তথ্য চাইতে পারেন। তারপরে কেউ এসে ১৯৬৪ সালের তথ্যও চাইতে পারেন।”




যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা, ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী
যুক্তরাষ্ট্রের তিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের বিপুল জয়, প্রথম পরীক্ষায় হারলেন ট্রাম্প
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি
নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
ভারত–বাংলাদেশের ভিসা জালিয়াতি, কঠিন হচ্ছে কানাডা: সিবিসির প্রতিবেদন
যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে পৃথিবীকে ১৫০বার ধ্বংস করা সম্ভব: ট্রাম্প
সম্রাটদের সমাধিসহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘর চালু মিশরে
রুশ সেনাদের আক্রমণপ কঠিন পরিস্থিতির মুখে ইউক্রেন
ট্রাম্পের কাছে যে কারণে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
চীনের জন্য বিশেষ সুযোগ করে দিল যুক্তরাষ্ট্র 