শিরোনাম:
●   শুক্রাণু দান করে ১৮০ সন্তানের বাবা, সতর্ক করলেন ব্রিটিশ বিচারক ●   আ.লীগ সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে গণঅভ্যুত্থানে নৃশংসতা চালিয়েছিল: জাতিসংঘ ●   দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ●   হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ: অন্তর্বর্তী সরকার আইনি দলিল ও জনগণের ইচ্ছা দিয়ে সমর্থিত ●   ট্রাম্প যেভাবে বলেছেন, জবাবটা সেভাবেই দিতে চাই: ইসরায়েল ●   যুক্তরাষ্ট্রের আরও সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা ●   বিশ্বে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৪তম ●   প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপির পরামর্শ: জরুরি নির্বাচন দেন, চলমান সংস্কার শেষে নির্বাচন ●   মোদি- ম্যাক্রোঁর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ●   পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনিদের গুলি করে মারছে ইসরাইল
ঢাকা, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

BBC24 News
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন
৯৭ বার পঠিত
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন

---বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস রক্তক্ষয়ের পর অবশেষে কার্যকর হতে যাচ্ছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। আজ শুক্রবার ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। আগামী রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ। এখন পূর্ণ মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন তিনি। তবে চুক্তিটি ইসরায়েলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি যদি শেষ পর্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়ন শুরু হয়, তাহলে তা চরম বিভীষিকার মধ্যে থাকা গাজাবাসীর জন্য স্বস্তি নিয়ে আসবে। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিতিশীলতাও কমে আসতে পারে। গাজা যুদ্ধ ঘিরেই লেবানন, ইয়েমেন ও ইরাকে হিজবুল্লাহ ও হুতির মতো ইরানপন্থী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে ইসরায়েল।

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের ঐকমত্যের বিষয়টি গত বুধবার সামনে আনে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার। এরপর আজ শুক্রবার নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা ও সরকারের অনুমোদনের পর চুক্তি বাস্তবায়ন ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী এগোবে। রোববার থেকে জিম্মি মুক্তি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা সহিংসতার শুরুর দিকে একবার মাত্র অল্প সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। এরপর যুদ্ধবিরতির জন্য দফায় দফায় আলোচনা হয়। তবে আশার আলো দেখা যায়নি। সম্প্রতি চুক্তির জন্য জোর তৎপরতার মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হন হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা। তবে এ নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেন ইরায়েলের সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেকে।

মূল সমস্যাটা ইসরায়েল সরকার কট্টর ডানপন্থীদের। যেমন মন্ত্রিসভায় ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন পেলে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন–গভির। একই ধরনের হুমকি দেন অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মরিচও। তবে কট্টরপন্থীদের বিরোধিতার পরও সরকারের মন্ত্রীদের বেশির ভাগই চুক্তির পক্ষে রয়েছেন বলেই নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে দেখা গেছে।

চুক্তি নিয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার ভোট গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে হামাস চুক্তির কয়েকটি শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তা এক দিন পেছানো হয়।

তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের বেশি নিহত হন। জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয় আড়াই শ জনের বেশি মানুষকে। তাঁদের মধ্যে অনেককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গাজায় হামাসের কাছে এখনো ৯৮ জন জিম্মি জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় রয়েছেন।

---হামাসের ওই হামলার দিন থেকেই গাজায় নির্বিচার আকাশ, স্থল ও জলপথে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গাজা কর্তৃপক্ষের হিসাবে, এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ২৩ লাখ মানুষ।

গাজায় যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে, তা তিন ধাপে কার্যকর করা হবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপ হবে ছয় সপ্তাহের। এ সময় ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী থাকা ১৯ বছরের কম বয়সী নারী ও শিশুদের মুক্তি দেওয়া হবে। এ সময় গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর একটি অংশকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

এরপর শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপ। সেখানে ইসরায়েলের বাকি জীবিত জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। এর বিপরীতে আরও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া হবে। আর তৃতীয় ধাপে ইসরায়েলের কাছে মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে এবং গাজা পুনর্গঠন শুরু হবে।



আর্কাইভ

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ: অন্তর্বর্তী সরকার আইনি দলিল ও জনগণের ইচ্ছা দিয়ে সমর্থিত
ট্রাম্প যেভাবে বলেছেন, জবাবটা সেভাবেই দিতে চাই: ইসরায়েল
যুক্তরাষ্ট্রের আরও সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা
বিশ্বে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৪তম
প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপির পরামর্শ: জরুরি নির্বাচন দেন, চলমান সংস্কার শেষে নির্বাচন
মোদি- ম্যাক্রোঁর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনিদের গুলি করে মারছে ইসরাইল
গাজা সংকট নিয়ে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের উদ্যোগে মিসরে জরুরি আরব সম্মেলন
ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশিরা ৩৯ দেশে ভ্রমণ করতে পারবে
শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করতে কানাডা সরকারকে অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার