
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | প্রশাসন | শিরোনাম | সাবলিড » ভারতের ২৬টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে পাকিস্তান
ভারতের ২৬টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে পাকিস্তান
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাবসহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিস্তৃত অঞ্চলে পাকিস্তান ২৬টি স্থানে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। বারামুলা থেকে ভূজ পর্যন্ত বিস্তৃত এই হামলায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী।
শুক্রবার রাতে পাকিস্তান এই হামলা চালায় বলে জানিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী। খবর জিও নিউজের।
ভারত দাবি করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তান প্রায় ৪০০টি তুর্কি নির্মিত ‘সোনগার’ ড্রোন দিয়ে ৩৬টি স্থানে হামলা চালায় এবং ভারি কামান ব্যবহার করে গোলাবর্ষণ করে, যার ফলে কিছু সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। এর পরপরই নতুন করে ড্রোন হামলার তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে।
হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল জম্মু, সাম্বা, পাঠানকোট, উধমপুর, নাগরোটা, বারামুলা, শ্রীনগর, আওয়ান্তিপোরা, অমৃতসর, ফিরোজপুর, ফাজিলকা, জয়সলমের, লালগড় যতন, বর্মের, ভূজ, কুয়ার বেট ও লক্ষী নালা। কাশ্মীর ও রাজস্থানের পোখরান অঞ্চলেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শ্রীনগর বিমানবন্দর ও আওয়ান্তিপোরা বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং সব ড্রোন হুমকি মোকাবিলায় অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম ব্যবহার করছে। এলওসি’র কাছে পাকিস্তানী বাহিনীর একাধিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আকাশে একাধিক ড্রোন ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে এবং বিস্ফোরণ ও অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান ছোড়ার শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে। নিরাপত্তার জন্য অনেক জেলায় ব্ল্যাকআউট জারি করা হয় এবং সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়।
ফিরোজপুরের খাই ফেমে কে গ্রামে একটি বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রী বলেন, পাকিস্তান বেসামরিক বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং উপাসনালয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক নিয়মের লঙ্ঘন।
উইং কমান্ডার বিয়োমিকা সিং জানান, ভারত পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের চারটি এয়ার ডিফেন্স ঘাঁটিতে সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালায়, যার মধ্যে একটি রাডার ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
তিনি জানান, টাংধার, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার, রাজৌরি, অখনুর এবং উধমপুরে হামলায় আমাদের সেনাদের কিছু ক্ষতি হয়েছে, তবে পাকিস্তান আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে।
কলোনেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, ‘সীমান্তের কাছাকাছি বেসামরিক বিমান ব্যবহারের মাধ্যমে পাকিস্তান ঝুঁকিপূর্ণ ও দায়িত্বহীন আচরণ করেছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানালেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের নিরাপত্তা বজায় রাখতে সংযম দেখিয়েছে।’
গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিশোধে পালটা হামলা চালিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।