
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এক্সক্লুসিভ | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু » বাংলাদেশে সংকটের জন্য ভারতকে দোষারোপ করা যায় না: মুখপাত্র রণধীর
বাংলাদেশে সংকটের জন্য ভারতকে দোষারোপ করা যায় না: মুখপাত্র রণধীর
বিবিসি২৪নিউজ,দিল্লি প্রতিনিধি : দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ’ দায়ী বলে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল আজ বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ওই মন্তব্য সরকারের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা বলে ভারত মনে করে।
সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ২৫ মে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণে দেশ বড় সংকটের মধ্যে রয়েছে। এ জন্য পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার বলে প্রধান উপদেষ্টা মনে করছেন।’প্রধান উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে মান্নার দেওয়া ওই বক্তব্য সম্পর্কে ভারতের মনোভাব কী জানতে চাওয়া হলে মুখপাত্র জয়সোয়াল বলেন, বাংলাদেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মোকাবিলা করার দায়িত্ব বর্তমান সরকারের। সে জন্য বাইরের কাউকে দোষারোপ করা যায় না।
রণধীর জয়সোয়াল বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রশাসনের দায় পুরোটাই সরকারের। বাইরের কাউকে দোষারোপ কিংবা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দাঁড় করলে সমস্যার সমাধান করা যায় না। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, সমস্যা ও তার মোকাবিলা থেকে মানুষের নজর সরাতে সরকার এ বলছে।বাংলাদেশের বিভিন্ন দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দাবি করেছে। সরকার বলেছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর ও আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে ভোট হবে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়সোয়াল বলেন, সরকারের উচিত দ্রুত সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দিয়ে জনগণের ইচ্ছা ও রায়ের মর্যাদা দেওয়া।
আরেক প্রশ্নের জবাবে জয়সোয়াল বলেন, ভারত চায় বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে, যা ওই দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও স্বার্থ রক্ষা করবে।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মানবিক করিডর তৈরির বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। তবে জয়সোয়াল এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি। এ বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সে দেশের সব ঘটনাবলির ওপর ভারতের দৃষ্টি রয়েছে।