শিরোনাম:
●   ইসরায়েল ও ইরান দুইপক্ষই সমানভাবেই যুদ্ধ বন্ধ চেয়েছিলো: ট্রাম্প ●   নিবন্ধন ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরে পেল জামায়াত ●   কাশ্মীরে হামলায় জড়িতরা সবাই পাকিস্তানি: ভারত ●   ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ●   ন্যাটো সম্মেলনে, নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে জার্মান সেনাবাহিনী ●   ইরানে ‘সরকার উৎখাতে’ আগ্রহ নেই: ট্রাম্প ●   ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর হয়েছে, কেউ লঙ্ঘন করবেন না: ট্রাম্প ●   কাতার ও ইরাকে আমেরিকান ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ●   ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি চাইছে ইসরায়েল : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ●   জার্মান নাগরিকত্ব পেতে তুর্কিদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি!
ঢাকা, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

BBC24 News
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | শিরোনাম | সাবলিড » ন্যাটো সম্মেলনে, নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে জার্মান সেনাবাহিনী
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | শিরোনাম | সাবলিড » ন্যাটো সম্মেলনে, নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে জার্মান সেনাবাহিনী
৫৮ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ন্যাটো সম্মেলনে, নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে জার্মান সেনাবাহিনী

---বিবিসি২৪নিউজ,ইইউ প্রতিনিধি: নেদারল্যান্ডসের হেগ-এ সম্মেলনে উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য স্থির করতে চলেছে সামরিক জোট ন্যাটো৷ প্রতিরক্ষার বাজেট বাড়ানো, আরো সেনা মোতায়েনসহ অনেক উদ্যোগ৷ জার্মান সেনাবাহিনী, বুন্ডেসভেয়ারের জন্য তা কী অর্থ বহন করছে?

যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডা এবং ইউরোপের ৩০টি দেশের সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গ্যানাইজেশন বা ন্যাটো সম্মেলনে বসেছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে৷ সম্মেলন শুরুর আগেই একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল৷ ন্যাটোর উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যগুলো জার্মানির ওপর বড় মাত্রায় চাপ সৃষ্টি করবে৷

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস ঘোষণা করেছেন, জার্মান সেনাবাহিনী বুন্ডেসভেয়ারকে ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনীতে রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় সব অর্থ বরাদ্দ করা হবে৷

তবে ন্যাটোর নতুন লক্ষ্য অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী৷ ৩২টি সদস্য রাষ্ট্রকে তাদের মোট জিডিপির পাঁচ শতাংশ প্রতিরক্ষায় ব্যয় করতে হবে৷ আগে এই হার ছিল দুই শতাংশ৷ জার্মানি এখন এ পরিমাণ ব্যয় করছে৷

প্রথম এই পাঁচ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ তিনি ইউরোপীয় মিত্রদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তারা যদি খুব কম ব্যয় চালিয়ে যায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা প্রত্যাহার করে নেবে৷ ২০২৪ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই ন্যাটোর মোট প্রতিরক্ষা ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশ মিটিয়েছে৷

অনেক ইউরোপীয় দেশ ট্রাম্পের দাবির বিরোধিতা করেছে এবং বলেছে যে পাঁচ শতাংশ হার খুব বেশি৷ ২০২৪ সালে অনেক দেশ এখনো দুই শতাংশ লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ করতে পারেনি৷ তবে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে ঘোষণা করেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে পুরো জোটই দুই শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে৷

এটাই কেবল প্রথম ধাপ৷ রোববার জার্মানিসহ ন্যাটো দেশগুলো ২০৩৫ সালের মধ্যে পাঁচ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে সম্মত হয়েছে৷

রুটে এর আগে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ন্যাটোর মূল প্রতিরক্ষা ব্যয় সাড়ে তিন শতাংশ করা হবে এবং অতিরিক্ত দেড় শতাংশ সাইবার নিরাপত্তা ও সামরিক অবকাঠামোর জন্য বরাদ্দ হবে৷

প্রতিরক্ষার জন্য বাজেটের অর্ধেক?

এটি জার্মানির জন্য বিশাল ব্যয়৷ বছরে প্রায় ২২ হাজার ৫শ’ কোটি ইউরো (২৫৮ বিলিয়ন ডলার)৷ গত বছর ফেডারেল বাজেট ছিল ৪৭ হাজার ৬শ’ কোটি ইউরো৷

চ্যান্সেলর ম্যার্ৎস বলেছেন, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিই শীর্ষ অগ্রাধিকার৷

অবশ্য তার জোট সরকারের সব অংশ এ বিষয়ে একমত নয়৷ মধ্যবামপন্থি এসপিডি লিখেছে, ‘জিডিপির একটি নির্দিষ্ট শতাংশ নির্ধারণ করা অবৈজ্ঞানিক,’ এবং এর কোনো কৌশল বা নীতিগত যৌক্তিকতা নেই৷ বিরোধীদলের একাংশও কঠোর সমালোচনা করেছে৷

রাশিয়ার হুমকির প্রেক্ষিতে, দীর্ঘদিন অবহেলিত বুন্ডেসভেয়ারের জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা৷

ডয়চে ভেলেকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক আইলিন মাটলে বলেন, ‘‘এটা আমেরিকাকে খুশি করা কিংবা অস্ত্র শিল্পকে মুনাফা করানোর বিষয় নয়৷ এটা জার্মানির জাতীয় স্বার্থের প্রশ্ন৷”

তিনি স্বীকার করেন, বাজেটের ৫% ব্যয় অনেক বেশি৷

বুন্ডেসভেয়ারের জন্য এর মানে কী?

অর্থের পাশাপাশি সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে সামরিক সক্ষমতাও৷ ইউরোপে আরো সেনা প্রয়োজন৷ একদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন প্রয়োজন এবং অন্যদিকে, ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনা হ্রাসের আশঙ্কা৷

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস জানিয়েছেন, ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার অতিরিক্ত সেনা প্রয়োজন৷ পরিকল্পনার আওতায় ৫-৭টি নতুন ব্রিগেড গঠনের কথা আছে৷ প্রতিটি ব্রিগেডে থাকবে পাঁচ হাজার সেনা, ট্যাংক, আর্টিলারি এবং প্রয়োজনীয় রসদ৷

সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগ?

বর্তমানে সেনাবাহিনীতে এক লাখ ৮২ হাজার সেনা রয়েছে৷ নতুন সেনা নিয়োগ চলছে৷

বিগত বছরগুলোতে অবশ্য সংখ্যা কমেছে৷ ২০১১ সালে স্থগিত হওয়া বাধ্যতামূলক সেনা পরিষেবা ফের চালুর বিষয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা নেই৷ কোয়ালিশন চুক্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ চালু থাকবে৷

তবে সিডিইউ ও সিএসইউর মধ্যে বাধ্যতামূলক নিয়োগ ফের চালুর দাবি জোরালো হচ্ছে৷

চ্যান্সেলর ম্যার্ৎস এখনো এতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না৷ পিস্টোরিয়াসও একমত৷ তিনি বলেন, ‘‘এখন বাধ্যতামূলক নিয়োগ কার্যকর নয়৷ কারণ, পর্যাপ্ত ব্যারাক ও প্রশিক্ষণ সুবিধা নেই৷ আগে সেগুলো গড়ে তুলতে হবে৷”

মার্কিন সেনা প্রত্যাহার

স্বেচ্ছাসেবক ভিত্তিক মডেল দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ম্যাটলে তা নিয়ে সন্দিহান৷

তিনি বলেন, ‘‘এটি দ্রুত বাতিল হয়ে যাবে৷”

বিশেষ করে যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে জার্মানির ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি৷

ন্যাটো সম্মেলনের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে৷

ম্যাটলের মতে, ‘‘ইউরোপ, বিশেষ করে জার্মানি, তখন নিজেদের ঘাটতি পূরণের প্রশ্নে কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হবে৷”

তবে তার ধারণা, আগামী কয়েক বছরে জার্মানির পক্ষে সেনা সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাড়ানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ৷



আর্কাইভ

নিবন্ধন ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরে পেল জামায়াত
কাশ্মীরে হামলায় জড়িতরা সবাই পাকিস্তানি: ভারত
ন্যাটো সম্মেলনে, নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে জার্মান সেনাবাহিনী
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর হয়েছে, কেউ লঙ্ঘন করবেন না: ট্রাম্প
কাতার ও ইরাকে আমেরিকান ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি চাইছে ইসরায়েল : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
জার্মান নাগরিকত্ব পেতে তুর্কিদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি!
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন পাকিস্তান
সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে: রিপোর্ট
ইরানকে সবধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত রাশিয়া: পুতিন