
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » কাশ্মীরে হামলায় জড়িতরা সবাই পাকিস্তানি: ভারত
কাশ্মীরে হামলায় জড়িতরা সবাই পাকিস্তানি: ভারত
বিবিসি২৪নিউজ,অমিত ঘোষ দিল্লি থেকে: কাশ্মীরের পেহেলগাম শহরে পর্যটকদের ওপর হামলায় জড়িত তিন জঙ্গিই পাকিস্তানি নাগরিক এবং নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য বলে দাবি করেছেন ভারতীয় তদন্তকারীরা।
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) হামলাকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে দুই জন স্থানীয় মানুষকে গ্রেপ্তারের পর এই দাবি করেছে।
পুলিশ এর আগে তিন সন্দেহভাজন জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ করেছিল এবং এদের দুইজন পাকিস্তানি আর একজন কাশ্মীরি বলে জানিয়েছিল।
তবে রোববার এক বিবৃতিতে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) বলেছে, হামলাকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা গত ২২ এপ্রিলে পেহেলগামে হামলার আগে তিন সশস্ত্র ‘সন্ত্রাসীকে’একটি ঝুপড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
হামলাকারীরা পাকিস্তানের নাগরিক বলে যে দাবি করা হয়েছে, সে বিষয়ে পাকিস্তান সরকার এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। তারা আগেই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিল।
কাশ্মীরের ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক। এরপর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে ওঠে, দুই দেশের মধ্যে পুরোপুরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরজুড়ে তল্লাশি চালায়, হাজারের বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তবে হামলাকারীদের কাউকে এখনও ধরা যায়নি।
এনআইএ বলছে, গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি ‘জেনেশুনেই’ তিন জঙ্গিকে আশ্রয় দিয়েছিল। তারা আরও জানিয়েছে, তদন্ত এখনও চলছে। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম, বয়স বা কখন তাদেরকে ধরা হয়েছে—এসব বিস্তারিত এনআইএ প্রকাশ করেনি।
লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে জড়িত কম পরিচিত গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’প্রথমে পেহেলগামে হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে তা প্রত্যাখ্যান করে।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিল করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়।
এরপর ভারত ৭ মে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইসলামাবাদ পাল্টা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ভারতের দিকে।
চার দিন ধরে চলা এ সংঘাত ১০ মে শেষ হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে।