
বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » জাতীয় | পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রশাসন | প্রিয়দেশ | শিরোনাম » গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সদরদপ্তর
গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সদরদপ্তর
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: গুমের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর। সেনাবাহিনীতে থাকা সদস্যদের মধ্যে যারা বিভিন্ন সংস্থায় ডেপুটেশনে কর্মরত, তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টর কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
গুমের সঙ্গে সেনাসদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল জানান, সেনাবাহিনীর সদস্যদের ডেপুটেশনে পাঠালে তারা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকেন না। অভিযোগ উঠেছে, কয়েকজন সদস্য গুমের সঙ্গে জড়িত। তদন্তে যদি বিষয়টি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
ভুক্তভোগী পরিবারদের উদ্দেশে শফিকুল বলেন, ‘যদি কেউ নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা চান, তাহলে আমরা যথাযথভাবে সহযোগিতা করব।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল শফিকুল জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা পেলে সেনাবাহিনী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
থানাগুলোতে অস্ত্র লুটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ নির্বাচনের আগেই উদ্ধার হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, ‘সেনাবাহিনী এরই মধ্যে ৪০০ জনেরও বেশি কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। অলিগলিতে সেনাবাহিনী সব সময় থাকতে পারে না, তবে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এ সময় গত দুই সপ্তাহে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ও অভিযান সম্পর্কে বর্ণনা দেন এই সেনা কর্মকর্তা।
কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহে সেনাবাহিনী ২৬টি অবৈধ অস্ত্র ও ১০০ রাউন্ড গুলির খোঁজ পেয়েছে। আর গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৯ হাজার ৬৯২টি অস্ত্র।
একই সময়ে সেনাবাহিনী বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫৬২ জনসহ মোট ১৫ হাজার ৬৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।