শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » দিল্লিতে মোদি-পুতিন বৈঠক, ভারত-রাশিয়া কি চুক্তি হয়েছে?
দিল্লিতে মোদি-পুতিন বৈঠক, ভারত-রাশিয়া কি চুক্তি হয়েছে?
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লালগালিচা, ২১ তোপের সালামি, মোদির আলিঙ্গন আর রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রীয় ভোজ—ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফর ছিল উচ্চমাত্রার প্রতীকী। ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমের কূটনৈতিক একঘরে করার চেষ্টার মধ্যে এই সংবর্ধনা পুতিনের জন্য বড় বার্তা। কিন্তু বাস্তবে দুই দেশ কী পেলো?
জাঁকজমক থাকলেও বড় চুক্তি কম
রুশ সংবাদমাধ্যম এই সংবর্ধনাকে উচ্চ প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে। তবে চুক্তির তালিকা অবশ্য ততটা দীর্ঘ নয়। তবু দুই দেশ তাদের ‘বিশেষ ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারত্ব’ বজায় রাখার মতো কয়েকটি সমঝোতা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, রাশিয়া-ভারত অর্থনৈতিক সহযোগিতা কর্মসূচি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও সাপ্লাই চেইনসংক্রান্ত সমঝোতা, পাশাপাশি রাশিয়ার কালুগা অঞ্চলে একটি যৌথ ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানা নির্মাণের ঘোষণা।
তেল ও প্রতিরক্ষায় বড় ঘোষণা নেই
পুতিন বলেছেন, ভারতকে ‘নিরবচ্ছিন্ন’ জ্বালানি সরবরাহ করতে প্রস্তুত মস্কো। কিন্তু নতুন পরিমাণ বা শর্ত ঘোষণা হয়নি। ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্কের চাপে ভারত রুশ তেল আমদানি কমিয়েছে। এখন বল ভারতের কোর্টে।
প্রতিরক্ষায়ও কোনও বড় চুক্তি হয়নি। এসইউ-৫৭ যুদ্ধবিমান কেনা কিংবা অতিরিক্ত এস-৪০০ নিয়ে কোনও ঘোষণা আসেনি। এস-৪০০-এর বাকি ইউনিটের ডেলিভারি দেরি হচ্ছে, তাও প্রকাশ্যে তোলা হয়নি।
পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, মোদি-পুতিনের রুদ্ধদ্বার মুখোমুখি বৈঠকই ছিল সফরের মূল পর্ব। এখানেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুর স্পর্শকাতর আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বাণিজ্য ছিল কেন্দ্রবিন্দু
দিল্লি বিমানবন্দরে মোদির আলিঙ্গনে পুতিনকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে যে উষ্ণতা দেখানো হয়, তা ভারতের রাশিয়ার প্রতি দীর্ঘমেয়াদি আস্থার প্রকাশই বটে। তবে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন বড় কোনও চুক্তিতে রূপ নেয়নি।
নেতাদের বিবৃতিতে যা সবচেয়ে স্পষ্ট তা হলো, এই সফরের কেন্দ্রে ছিল বাণিজ্য। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কে চাপে থাকা ভারত দুই দেশই বিকল্প বাজার খুঁজছে।
দু’দেশের বর্তমান বাণিজ্য ৬৮.৭২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের ৮.১ বিলিয়ন ডলার থেকে দ্রুত বেড়েছে। আর তা ঘটেছে মূলত রুশ ডিসকাউন্টেড তেল কেনার কারণে। রাশিয়া চাইছে এই প্রবাহ বজায় থাকুক। পুতিনের ‘নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ’ মন্তব্য মূলত দিল্লির সিদ্ধান্তগ্রহণে এক ধরনের ইঙ্গিত।
মোদির বক্তব্যেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর জোর ছিল। দুই দেশ ১০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা ধরে পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক কাঠামোতে সই করেছে। এছাড়া জাহাজ নির্মাণ, নাবিক প্রশিক্ষণ, নতুন শিপিং লেন, অসামরিক পারমাণবিক জ্বালানি, ভিসামুক্ত ভ্রমণ, গুরুত্বপূর্ণ খনিজসহ বহু সমঝোতা হয়েছে।
মোদি উল্লেখ করেছেন ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন (ইএইইউ)-এর সঙ্গে সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতির বিষয়টি। এটি হলে রাশিয়া-ভারতসহ সদস্য দেশগুলো নতুন বাজারে প্রবেশাধিকার পাবে।
প্রতিরক্ষা সম্পর্ক অব্যাহতই থাকবে
বড় কোনও চুক্তি না হলেও ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রাশিয়ার প্রভাব অটুট। এসআই-৫৭ ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে ভারত প্রকাশ্যে কিছু বলেনি। বরং ভারতের দাবির কেন্দ্রবিন্দু ছিল চলমান প্রতিরক্ষা প্রকল্পের সময়মতো সরবরাহ। বিশেষত এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বাকি ইউনিট, যার ডেলিভারি দেরিতে চলছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রুশ প্রতিরক্ষা শিল্পের ওপর চাপ থাকায় দ্রুত সরবরাহের নিশ্চয়তা দেওয়া মস্কোর জন্য কঠিন হতে পারে।
প্রতীকী জয় পুতিনের, বাণিজ্যিক লক্ষ্য ভারতের
পুতিন পেলেন পশ্চিমের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ছবি। মোদি পেলেন বিকল্প বাজার খোঁজার সুযোগ এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। কিন্তু বড় দুটির প্রশ্নের জবাব মেলেনি। ভারতের রুশ তেল কেনা অব্যাহত রাখা আর ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি। সেগুলো নিশ্চয়ই বৃহস্পতিবার রাতের ‘অনানুষ্ঠানিক নৈশভোজে’ আলোচিত হয়েছে, যাকে ক্রেমলিন বলছে সফরের ‘মূল অংশ’।




যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভর্তি স্থগিত
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ছে আর ৩০টির দেশ
ফিফা শান্তি পুরস্কার জিতলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
পুতিনের ‘উড়ন্ত ক্রেমলিন’ যেন এক রাজপ্রাসাদ, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ভরপুর
কেন-স্মার্টফোন-ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না পুতিন
পদত্যাগ করে ভেনেজুয়েলা ছাড়তে চেয়েছিলেন মাদুরো, রাজি হননি ট্রাম্প-রয়টার্স
তুরস্কের মানববিহীন যুদ্ধবিমান,সফল ভাবে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে সক্ষম
ভারতের বড় শহরগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণ
ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা বন্ধের নির্দেশ ট্রাম্পের 