শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

BBC24 News
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম | সাবলিড » করোনা ভাইরাস : চীন থেকে দেশে ফিরল ১৭৮৩ যাত্রী
প্রথম পাতা » শিরোনাম | সাবলিড » করোনা ভাইরাস : চীন থেকে দেশে ফিরল ১৭৮৩ যাত্রী
৯৪৫ বার পঠিত
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

করোনা ভাইরাস : চীন থেকে দেশে ফিরল ১৭৮৩ যাত্রী

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বব্যাপী নতুন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদের অধিকাংশই চীনের নাগরিক এবং সেখানে এ রোগটিতে এ পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দেশটির বেশ কয়েকটি প্রদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আর এই করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশও উদ্বিগ্ন। করোনাভাইরাস আতঙ্কে দেশে ফিরতে শুরু করছে বাংলাদেশি নাগরিকরা।এদিকে, চীন থেকে আসা বাংলাদেশিদের বিমানবন্দরে স্ক্যানিং মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত (শনিবার রাত) চীন থেকে ১৭৮৩ জন বাংলাদেশি এসেছেন। তবে আগতের টেলিফোন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে দু’জনকে সেম্পল নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে বলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
রবিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এসব তথ্য দেন।

করোনাভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন নয় জানিয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই, বরং আমরা প্রস্তুত।

চীন থেকে রোগটি আসার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু চীনের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, সুতরাং সেখান থেকে রোগটি বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সেটা মাথায় নিয়েই আমরা আরও আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি, এই সপ্তাহ থেকে সেটা আরও ইনটেনসিভ করার চেষ্টা করছি। করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা একটা কন্ট্রোল রুম খুলেছি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শক্রমে আমরা কাজ করছি। আমরা এই ভাইরাস মোকাবেলা করব।

তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রথমত চীন থেকে আগত প্রত্যেক যাত্রীর টেলিফোন নাম্বারসহ তালিকা নিয়ে পরবর্তীকালে তাদের প্রত্যেককেই আমাদের কল সেন্টারের মাধ্যমে কল করে তাদের কাছ থেকে আমরা নিয়মিত ভিত্তিতে হিস্ট্রি জানবো। কারণ, এই মুহূর্তে জ্বর না থাকলেও পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে যদি কারও যদি কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে আমরা আমাদের পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসব।

দেশে কতজন যাত্রী চীন থেকে দেশে এসেছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে সংক্রমক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. তানিয়া তাহমিনা বলেন, গতকাল (শনিবার) রাত পর্যন্ত ১৭৮৩ জন যাত্রী চীন থেকে এসেছে। এয়ারপোর্টে দুটি স্ক্যানার দিয়ে তাদের প্রত্যেককেই স্ক্রিনিং করা হয়েছে। তিনটি স্ক্যানারের মধ্যে দুটি স্ক্যানার ভালো আছে। স্ক্যানারগুলো যাত্রীর কাছে থেকে ধরলে যদি তার জ্বর-সর্দি থেকে থাকে, তাহলে খুবই দ্রুত শনাক্ত করতে পারে। আজকে (রবিবার) সকালের প্রোগ্রামে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সেখানে আরও দুটি স্ক্যানার দেয়া হবে। প্রতিদিন কতজন যাত্রীকে স্ক্যানিং করা হচ্ছে, তার মধ্যে কেউ অসুস্থ আছে কিনা, এগুলো আমরা দেখাবো।

এ পর্যন্ত কতজনকে পরীক্ষা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাব সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমাদের কাছে ফোনকল এসেছে ৯ জনের। ৯ জনকেই আমরা টেলিফোন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে ২ জনকে সেম্পল নিয়ে পরীক্ষা করেছি। এ ছাড়া বাকিদের কারও মধ্যে প্রাসপেক্টিভ কেস আমরা পাইনি, তাই পরীক্ষার প্রয়োজন হয়নি।

পরীক্ষাকৃত দু’জনকে সন্দেহভাজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে ধরা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে ধরা ঠিক হবে না। কারণ, তারা চীন থেকে আসলেও আক্রান্ত এলাকা থেকে আসেননি। আমরা অতি সতর্ক হয়েই তাদের পরীক্ষা করেছি।

ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউএসইডিসিকে নিয়ে আমরা একটি টিম তৈরি করেছি। তারা প্রতিদিন এটা রিভিউ করবে যে, গতকালের অবস্থা অনুযায়ী আমাদের পরবর্তী করণীয় কি আছে, এর প্রেক্ষিতে আমরা আজকেও (রোববার) বসেছিলাম। সেখান থেকে আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি যে, এই মুহূর্তে স্থলবন্দরগুলোকে সতর্ক রাখব। কিন্তু যেভাবে চীন থেকে আগত ফ্লাইটগুলোকে মনিটরিং করেছিলাম, সেটা এখনও অব্যাহত রাখব। এ ক্ষেত্রে আমরা চীনকেই অধিকতর গুরুত্বের মধ্যে রাখছি। তার কারণ হল, অন্য দেশে যতগুলো এ রোগী পাওয়া যায়, কিছু সাসপেক্টেড (সন্দেহভাজন) পেশেন্ট আর কিছু আক্রান্ত।

তিনি বলেন, যদি কারও মধ্যে এই রোগ চিহ্নত হয়, তাহলে তাদের জন্য প্রাথমিকভাবে কুর্মিটোলা হাসপাতালকে আমরা প্রস্তুত রেখেছি। দ্বিতীয়ত আমরা ইনফেকশন ডিজিজ হসপিটালকে প্রস্তুত করার প্রক্রিয়ায় আছি, বিকালে আমরা এটা নিয়ে আরেকটা মিটিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়েজীদ খুরশীদ রিয়াজ, যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের মেডিসিনের অধ্যাপক এডওয়ার্ড টি রায়ান, আইসিডিডিআরবির সংক্রামক রোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক অ্যালেন রস প্রমুখ।

যে সব দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সন্দেহ করা হচ্ছে বা নিশ্চিত হওয়া গেছে সে সব দেশের নাম ও সংখ্যা আজ (রবিবার) পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য দেয়া হলো-

১. চীন-১৩০০ জন

২. ফ্রান্স-৩ জন

৩. জাপান- ৩ জন

৪. অস্ট্রেলিয়া-১ জন

৫. মালয়েশিয়া- ১ জন

৬. নেপাল- ১ জন

৭. সিঙ্গাপুর- ৩ জন

৮. দক্ষিণ কোরিয়া- ২ জন

৯. তাইওয়ান- ৩ জন

১০. থাইল্যান্ড- ২ জন

১১. ইউএসএ- ২ জন

১২. ভিয়েতনাম- ২ জন

১৩. ভারত- ১১ জন



আর্কাইভ

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের বিষয়ে নজর রাখছে: পুতিন
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত নিয়ে যা বলল চীন
ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার
বেঁচে নেই প্রেসিডেন্ট ইব্রাহি রাইসি: ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ইরানের প্রেসিডেন্ট
বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে জাতিসংঘ
ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে
জীবন বাঁচাতে কোন আশ্রয়ের জায়গা নেই, রাফাহ ছেড়েছেন ৮ লাখ ফিলিস্তিনি: জাতিসংঘ
বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশের বাবর আলী