শিরোনাম:
●   আসন্ন নির্বাচন থেকে সরে গেলেন মাহফুজ আলম ●   কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধনে হামলা, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-সংঘর্ষ ●   খালেদা জিয়ার ৩টি আসনে বিকল্প প্রার্থী প্রস্তুত রেখেছে বিএনপি ●   বাংলাদেশে ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী ●   ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচন করবেন তারেক রহমান ●   বাংলাদেশে ১৪ ভারতীয়কে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ ●   ভোটার হলেন তারেক, ভোটার হতে নিবন্ধন করলেন জাইমা রহমান ●   ইরানে আরও হামলার পক্ষে নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না ●   থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই ●   ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান
ঢাকা, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২
BBC24 News
শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » লিবিয়ায় যে কারনে হত্যা করা হলো ২৬ জন বাংলাদেশিকে?
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » লিবিয়ায় যে কারনে হত্যা করা হলো ২৬ জন বাংলাদেশিকে?
৪০৮৬ বার পঠিত
শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

লিবিয়ায় যে কারনে হত্যা করা হলো ২৬ জন বাংলাদেশিকে?

---বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর মিজদায় আটক করে রাখা হয়েছিল,লিবিয়ায় নিহত হওয়া ২৬ জন বাংলাদেশিকে। মানব পাচারকারী চক্রের কাছ থেকে অপহৃত হওয়ার পর অপহরণকারীদের হাতে খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস।

যদিও লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার জানিয়েছে, লিবিয়ার একজন মানব পাচারকারীকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ২৬ জন বাংলাদেশি সহ ৩০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে হত্যা করেছে ঐ পাচারকারীর পরিবারের সদস্যরা। বাংলাদেশি বাদে মারা যাওয়া অন্য ৪ জন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত।

হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া একজন আহত বাংলাদেশি নাগরিকের বয়ানের ভিত্তিতে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম জানান, মারা যাওয়া ২৬ জন সহ মোট ৩৮ জন বাংলাদেশি ও কিছু সুদানি নাগরিক প্রায় ১৫ দিন ধরে ঐ অপহরণকারী চক্রের হাতে আটক ছিলেন।

আশরাফুল ইসলাম জানান, সেখানেই ২৮শে মে সকালে বন্দীদের ওপর গুলি চালায় অপহরণকারীরা। কীভাবে অপহরণকারীদের কবলে পড়লেন তারা?

মূলত ইতালিতে অভিবাসনের উদ্দেশ্যে ঐ ৩৮ জন বাংলাদেশি লিবিয়ায় গিয়েছিলেন বলে জানান আশরাফুল ইসলাম।

“করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জটিলতা শুরু হওয়ার আগে ডিসেম্বর মাসে তারা ভারত ও দুবাই হয়ে বেনগাজি বিমানবন্দরে পৌঁছান।”

এরপর গত কয়েক মাস তাদেরকে লিবিয়ার ভেতরে গোপনে রাখা হয়েছিল।

উপকূলীয় অঞ্চল যুওয়ারা হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসীদের নিয়ে ইতালির দিকে যাত্রা করার পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের।
“বছরের এই সময়টায় সাগর অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকায় এটিকেই সাগর পাড়ি দেয়ার আদর্শ সময় বলে মনে করা হয়। কিন্তু প্রচলিত ও ব্যবহৃত পথে না গিয়ে মরুভূমির মধ্যে দিয়ে বেশ বিপদসংকুল একটি পথে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল,” বলেন আশরাফুল ইসলাম।

তিনি বলেন যুদ্ধকবলিত লিবিয়ায় একাধিক সরকার থাকায় ত্রিপলি হয়ে যুওয়ারা যাওয়ার প্রচলিত পথে নানা রকম তল্লাশি হয়। সেই পথ এড়িয়ে কম ব্যবহৃত মরুভূমির মধ্যকার রাস্তা দিয়ে অভিবাসীদের নিয়ে যুওয়ারা যাচ্ছিলেন পাচারকারীরা।

“কিন্তু ঐ মরুভূমির পথ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণাধীন, যারা সরকারহীনতার সুযোগ নিয়ে অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে অনেকদিন ধরে। সন্ত্রাসী ও অপহরণকারীদের একাধিক গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের ঘটনাও ঘটে থাকে।”

বেনগাজি থেকে মরুভূমির রাস্তায় যুওয়ারা যাওয়ার পথে তারা অপহরণকারীদের কবলে পড়েন।
কেন হত্যা করা হলো অভিবাসন প্রত্যাশীদের?

অপহরণের পর মিজদাতেই প্রায় ১৫ দিন অপহরণকারীদের জিম্মায় ছিলেন অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশি ও সুদানি নাগরিকরা।

“অপহরণকারীদের সাথে আটক হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তিপণ নিয়ে দর কষাকষি চলছিল। আটককৃতদের অনেকেই পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলেও কাঙ্ক্ষিত মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হয় তারা”, জানান আশরাফুল ইসলাম।

মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আাটককৃতদের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে অপহরণকারীরা।

“এক পর্যায়ে বাংলাদেশিদের সাথে থাকা সুদানি নাগরিকরা অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে মেরে ফেলেন। এরপর অপহরণকারীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে ৩৮ জন বাংলাদেশির সবাই গুলিবিদ্ধ হয়। মারা যায় ২৬ জন।”

“গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় কয়েকজন ভিতরেই পড়ে ছিল, দুই-একজন আহত অবস্থায় বের হয়ে আসে। তাদের দেখে স্থানীয় লোকজন সেনাবাহিনীকে খবর দেয় এবং সেনাবাহিনী তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।”

আশরাফুল ইসলাম জানান আহত বাংলাদেশিদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে লিবিয়ার একটি সংবাদ মাধ্যম আল-ওয়াসাত খবর প্রকাশ করেছে যে মোহাম্মদ আব্দুল রহমান, যিনি একজন মানব পাচারকারী হিসেবে পরিচিত, অজানা কারণে শুরু হওয়া এক ‘বিদ্রোহে’ মারা যান। এরপর তার পরিবারের সদস্যরা ঐ ভবনটি ঘেরাও করে এবং মরদেহ ফিরে পাওয়ার জন্য আলোচনা শুরু করে।

এক পর্যায়ে ঐ ভবনে উপস্থিত ১০০ জন অভিবাসী আত্মসমর্পণ করেন, কিন্তু ৪০ জন ভবন ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান।

এরপর ঐ ভবনে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও রকেট দিয়ে হামলা করার পর ভবনের ভেতরে থাকা ব্যক্তিরা নিহত হন।

তবে অন্য কোন সূত্র থেকে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ৪২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন কর্নেল গাদ্দাফি, ২০১১ সালে তার অপসারণের পর থেকেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে লিবিয়ায়। লিবিয়ার পরিস্থিতি কেন অস্থিতিশীল?

২০১১ সালে পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হওয়ার পর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন নৈরাজ্য এবং অরাজকতা।

লিবিয়ায় নানা মত ও পথের অসংখ্য সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনী তৎপর।

দেশের পূর্বে এবং পশ্চিমে রয়েছে দুটো ভিন্ন রাজনৈতিক শাসন কেন্দ্র।

কিছু মিলিশিয়া দল পূর্বের রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুগত, কিছু আবার সমর্থন করে পশ্চিমের অর্থাৎ ত্রিপলি নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনকে।

লিবিয়াতে এখন যার হাতে যত বেশি অস্ত্র , তার শক্তি এবং প্রভাবও তত বেশি। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন লিবিয়া এখন অস্ত্রের বাজারে পরিণত হয়েছে।

আর অস্ত্রের সহজলভ্যতার কারণে পুরো দেশেই বিভিন্ন পন্থী ছোট ছোট মিলিশিয়া গ্রুপ তৈরি হয়েছে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, “এখানে অপহরণকারী চক্র খুবই শক্তিশালী। তারা এখানে সেনাবাহিনীর সাথেও কখনো কখনো মুখোমুখি যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং মাঝেমধ্যে সেনাবাহিনীও পিছু হটতে বাধ্য হয়।”

“এই মিলিশিয়ারা এখানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপরে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। এখানকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সামনে অসহায়।”

আশরাফুল ইসলাম বলেন লিবিয়ায় একক সরকার ব্যবস্থা না থাকায় মিলিশিয়া বাহিনীগুলো মানব পাচার ও অপহরণের মত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে। আর দেশটির আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট শক্তিশালী না হওয়ায় মিলিশিয়াদের তৎপরতার বিরুদ্ধে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে না তারা।



এ পাতার আরও খবর

ইরানে আরও হামলার পক্ষে নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না ইরানে আরও হামলার পক্ষে নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই
বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ভারতের পাল্টা তলব বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ভারতের পাল্টা তলব
মেয়েকে নিয়ে কিম জং উন-এর বিলাসবহুল রিসোর্ট উদ্বোধন মেয়েকে নিয়ে কিম জং উন-এর বিলাসবহুল রিসোর্ট উদ্বোধন
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ, ভেতরে ঢোকার চেষ্টা দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ, ভেতরে ঢোকার চেষ্টা
পাকিস্তান মক্কা ও মদিনার রক্ষক হওয়ার সম্মান পেয়েছে : ফিল্ড মার্শাল মুনির পাকিস্তান মক্কা ও মদিনার রক্ষক হওয়ার সম্মান পেয়েছে : ফিল্ড মার্শাল মুনির
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, বিভ্রান্তিকর প্রচারণা : মুখপাত্র দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, বিভ্রান্তিকর প্রচারণা : মুখপাত্র
দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে হুমকি দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে হুমকি
মাস্কের সম্পদমূল্য ৭০০ বিলিয়ন ছাড়াল, ইতিহাসে এই প্রথম মাস্কের সম্পদমূল্য ৭০০ বিলিয়ন ছাড়াল, ইতিহাসে এই প্রথম
বাংলাদেশে নতুন মা‌র্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বাংলাদেশে নতুন মা‌র্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

আর্কাইভ

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধনে হামলা, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-সংঘর্ষ
বাংলাদেশে ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী
ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচন করবেন তারেক রহমান
বাংলাদেশে ১৪ ভারতীয়কে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
ভোটার হলেন তারেক, ভোটার হতে নিবন্ধন করলেন জাইমা রহমান
ইরানে আরও হামলার পক্ষে নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই
ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান
১৯ বছর পর বাবার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান
মা খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে তারেক রহমান