শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
BBC24 News
বুধবার, ৩ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা-গলা কাটা ফি !
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা-গলা কাটা ফি !
১২৭৬ বার পঠিত
বুধবার, ৩ জুন ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা-গলা কাটা ফি !

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা:বাংলাদেশে সরকার বেসরকারি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসার কথা ঘোষণা করলেও ফ্রি তো নয়ই,উল্টো ‘গলা কাটা ফি’ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ সর্বশেষ ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের দু’টি ঘটনায় বিষয়টি আলোচনায় এসেছে৷

তবে করোনা ডেডিকেটেড দুইটি হাসাপাতাল জানিয়েছে, সরকার শুরুতে চুক্তি করলেও এখন আর চুক্তি নাই৷ তাই তারা চিকিৎসা খরচ নিতে বাধ্য হচ্ছে৷ আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কথা, ‘করোনা যেহেতু দীর্ঘায়িত হচ্ছে তাই বেশি দিন বেসরকারি হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা সম্ভব নয়৷’

বেসরকারি চাকরিজীবী সাইফুর রহমান করোনা পজেটিভ নিয়ে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হন ২৩ মে৷ চিকিৎসার পর ৩১ মে তিনি করেনা পজেটিভ হন৷ এরপরদিন তাকে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা বিল দেয়া হয়৷ তিনি তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হাসপাতালেই রাখা হয়৷ ২ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ওই বিল থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়৷

তিনি জানান, ‘‘আমরা জানতাম ওই হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা সরকার ফ্রি করে দিয়েছে৷ সেটা জেনেই ভর্তি হয়েছি৷ ভর্তির সময়ও আমাকে বলা হয়নি যে চিকিৎসার জন্য টাকা লাগবে৷

হাসপাতালে থাকার সময় আমার দুইবার ব্লাড টেস্ট হয়েছে এবং দুইটি এক্সরে করা হয়েছে৷ ওষুধ যা দরকার নিজেই কিনে দিয়েছি৷ আর চিকিৎসার সময় আমাকে কেবিনে রাখা হয়৷ আমার আগে আরো ৫ জন ছাড়া পেয়েছেন তাদের কাছ থেকেও একই রকম বিল নেয়া হয়েছে৷ তারা দিতে বাধ্য হয়েছেন৷’’

ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা নেয়া আরেকজন কোভিড রোগী মো. হুমায়ূন কবিরের বিল করা হয়েছিল দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা৷ ৩ জুন সকালে বিল কমিয়ে ২০ হাজার ৭০০ টাকা করা হয়৷ ফকিরাপুলের ওই ব্যবসায়ী জানান, তিনি ১৭ মে ভর্তি হন৷ তিন দিন পর তিনি করোনা পজেটিভ হন৷ ওই তিন দিনের জন্য আলাদা ৭৫ হাজার টাকা বিল নিয়ে তাকে করোনা বেডে নেয়া হয়৷ তিনি জানান, ‘‘করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে আমাকে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা বিল দেয়া হয়৷ ফ্রি বলে বিল কেন? জানতে চাইলে জানানো হয় যে তাদের হাসপাতাল আবার প্রাইভেট হয়ে গেছে৷ বিল পরিশোধ না করতে পেরে রাতে আমি হাসপাতালেই থাকি৷ আজ (বুধবার) সকালে আমাকে আবার আগেরটা বাদ দিয়ে ২০ হাজার ৭০০ টাকার বিল দেয়া হয়৷ আর বলা হয় সরকারে চাপের কারণে বিল কমানো হয়েছে৷ দুই দিনের প্রাইভেট হাসপাতালের বিল রাখা হচ্ছে৷’’

সাইফুর রহমানকেও বুধবার বিকেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেকে নিয়ে এক লাখ ১৫ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দিয়েছে৷ তারও শেষ পর্যন্ত দুই দিনের বিল রাখা হয়েছে৷

এনিয়ে হাসপাতালটির পরিচালক ডা. এহতেশামুল হক জানান, ‘‘সরকারের সাথে আমাদের চুক্তি ছিলো ১৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত৷ এই সময়ে আমরা ভাগাভাগি করে খরচ চিকিৎসা খরচ দিয়েছি৷ ৩১ মের পর আর চুক্তি নেই৷ যারা বিল করেন তারা ভুল করে তাই পুরো সময়ের প্রাইভেট বিলই করেছিল৷ কিন্তু পরে নজরে আসার পর আমরা দুই দিনের বিল রেখে বাকিটা বাদ দিয়ে দিয়েছি৷ আমরা এখনো কোভিড হাসাপতাল হিসেবেই কাজ করবো৷ তবে প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায়৷’’ এই হাসাপতালটি এখন পর্যন্ত ৩০০ করোনা রোগীর চিকিৎসা দিয়েছে৷

এদিকে আরেকটি প্রাইভেট ডেডিকেটেড কোভিড হাসাতাল রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহেদ জানান, তারাও এখন প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা দিচ্ছেন৷ সরকার এখন আর সহায়তা দিচ্ছে না৷ সরকারে সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গেছে৷ তাই রোগীদের কাছ থেকে তারা চিকিৎসা খরচ নিচ্ছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এনিয়ে সরকারের নীতিমালা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন৷ মানুষ জানে কোভিডের চিকিৎসা ফ্রি কিন্তু বাস্তবে তা নয়৷ সরকার কতটুকু খরচ এখন বহন করবে তা জানালে আমরাও কতটুকু ছাড় দিতে পারব সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারি৷’’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং কোভিড -১৯ বিষয়ক মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘‘আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছে৷ তবে আমরা এখনো তাদের আবেদন গ্রহণ করিনি৷ আর রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ ভাগাভাগি করে দেয়া হতো৷ ‘‘এখন আমাদের সর্বশেষ নির্দেশনা হচ্ছে দেশে কোভিড, নন কোভিড সব উপযুক্ত হাসপাতালই (৫০ বেড বা তার বেশি) করোনার চিকিৎসা করবে৷ সরকারি হাসপাতালে তো ফ্রি চিকিৎসা দেয়া হয়৷ আর বেসরকারি হাসপাতালগুলো যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসা খরচ নেবে৷ আসলে আমরা কখনোই বেসরকারি হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসার কথা ওরকম বলিনি৷ সরকার ও বেসরকারি হাসপাতাল এতদিন খরচ ভাগাভাগি করে বহন করত৷ করোনা তো দীর্ঘায়িত হচ্ছে৷ তাই বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষে ফ্রি চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়৷’’

অন্যদিকে করোনা চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড না এমন বেসরকারি হাসাপতাল ইচ্ছেমত চিকিৎসা খরচ আদায় করছে বলে অভযোগ আছে৷ টেস্ট এবং আইসোলেশন সেন্টারের নামে তারা করোনার চিকিৎসা দিচ্ছে৷ চিকিৎসা খরচের ব্যাপারে কোনো নীতিমালা দেয়া হয়নি৷



আর্কাইভ

জীবন বাঁচাতে কোন আশ্রয়ের জায়গা নেই, রাফাহ ছেড়েছেন ৮ লাখ ফিলিস্তিনি: জাতিসংঘ
বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশের বাবর আলী
গাজায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি
ইতিহাসের সর্বোচ্চ সোনার অলংকার দাম রেকর্ড
সৌদিতে প্রথমবারের মতো র‌্যাম্পে হাঁটলেন নারী মডেলরা
বাংলাদেশের সঙ্গে টানাপড়েন মিটমাট করতে আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের
সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দম্পতির
দেশে আরও ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট
১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য