শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
BBC24 News
শনিবার, ২০ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » চীনা পণ্য বয়কটের ডাক-ভারতের ?
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » চীনা পণ্য বয়কটের ডাক-ভারতের ?
১২০২ বার পঠিত
শনিবার, ২০ জুন ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চীনা পণ্য বয়কটের ডাক-ভারতের ?

---বিবিসি২৪নিউজ,অমিত ঘোষ ভারত প্রতিনিধি : করোনাভাইরাস চীন থেকেই সারা পৃথিবীতে ছড়িয়েছে, এরকম একটা ধারণা তৈরি হওয়ার পর থেকেই নানা দেশের সঙ্গেই ভারতেও জোরালো হচ্ছিল চীনা পণ্য বয়কটের আওয়াজ।চীনের আলপিন থেকে হাতি - সবই পাওয়া যায়।

হাতি না পাওয়া গেলেও ই-কমার্স সাইটগুলোতে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি কিংবা মুসলমানদের বাহারি জায়নামাজ থেকে শুরু করে খেলনা, মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ - কী না পাওয়া যায় সেখানে।

আর ওই পণ্যসম্ভারের একটা বড় অংশই চীনের উৎপাদন।

শুধু যে খেলনা বা মোবাইল নয়, গাড়ি থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বয়লার বা পরমাণু বিদ্যুতের রিঅ্যাক্টর - সব ক্ষেত্রেই চীনের পণ্য। কিন্তু ভারতে চীনা পণ্য বয়কট করার দাবী জোরালোভাবে উঠছে।

আর গত মাসে লাদাখে সীমান্ত সংঘাত এবং চীনা ফৌজের ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর থেকে তা আরও গতি পেয়েছে। কিন্তু সোমবার রাতে চীনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত হওয়ার পর কলকাতাসহ ভারতের নানা শহরেই চলছে চীন-বিরোধী বিক্ষোভ আর সঙ্গে চীনা পণ্য বয়কটের দাবী।

ভারতের বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী সংগঠন এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারাও এবার চীনা পণ্য বিক্রি বন্ধ করবে।খুচরো পণ্যের ব্যবসা করেন, এমন ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ব্যাপার মন্ডলে’র সাধারণ সম্পাদক ভিপিন বনসাল বলছিলেন,”ভারতীয় সৈনিকদের মৃত্যুতে সারা দেশেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে। আমরাও ভারতেরই নাগরিক। তাই এই পরিস্থিতিতে আমরা কেউই চীন থেকে পণ্য আমদানি করে সেদেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করতে রাজী নই।”

তিনি জানাচ্ছিলেন, চীন থেকে বছরে ৭৪০০ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করে খুচরো ব্যবসায়ীরা।”ভারতীয়দের কাছ থেকে এই অর্থ নিয়েই চীন আমাদের সৈন্যদের মারছে সীমান্তে, আমাদের জমি দখল করে নিচ্ছে। এটা হতে দেওয়া যায় না। আপাতত চীনা পণ্য যা মজুত আছে, সেগুলো বিক্রি করে দেওয়া হবে - কিন্তু নতুন করে কোনও অর্ডার দেওয়া হবে না। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে,” বলছিলেন মি. বনসাল।

---পশ্চিমবঙ্গের খুচরো ব্যবসায়ীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেডার্স এসোসিয়েশনও চীনা পণ্য না বিক্রি করার একই রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে তারা বলছেন, অতি প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি এখনই বন্ধ করা হয়ত যাবে না।

সংগঠনটির সভাপতি সুশীল পোদ্দার জানালেন, “যেগুলো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, আর যেগুলো দেশেই তৈরী করা যাবে, সেগুলো ছাড়া বাকি কোনও চীনা পণ্য বিক্রি করব না আমরা। সবকিছু তো আমরা একবারে বন্ধ করতে পারব না। তবে দেশে তৈরী হতে পারে, এমন জিনিষ আমরা চীন থেকে আর আনব না। আর শুধু আমরা বিক্রি বন্ধ করলে তো হবে না। ইকমার্স যেসব সাইট আছে, তাদেরও বন্ধ করতে হবে। আমরা এই অনুরোধ জানিয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছি।”

এই খুচরো ব্যবসায়ীরা ভোগ্যপণ্য, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য, প্রসাধন সামগ্রী, মোবাইল, খেলনা, টি ভি, ফ্রিজ - এধরনের পণ্য নিয়ে ব্যবসা করেন।

কিন্তু ভারতীয় রেল আর রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলও বলছে চীনের কয়েকটি নির্দিষ্ট সংস্থার বরাত তারা হয় বাতিল করছে, বা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে।



আর্কাইভ

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নাটকীয় উন্নতি হয়েছে: জয়শঙ্কর
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় নিহত ৫
ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক ‘স্বাভাবিক’ করতে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা চুক্তি সম্পন্ন: ব্লিংকেন
বাংলাদেশে ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রাত ৮টার পর বন্ধের নির্দেশনা
বাংলাদেশে স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ভারতে কোনো স্বৈরাচার নেই: মোদি
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে অস্ট্রিয়া