শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

BBC24 News
বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি শিকার সাধারণ মানুষ?
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি শিকার সাধারণ মানুষ?
১৪০৮ বার পঠিত
বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি শিকার সাধারণ মানুষ?

---বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক,ঢাকা:বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নড়েচড়ে বসছে সরকার। দেশে দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগে গত এক সপ্তাহে ১০টি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পর এখন সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল-ক্লিনিককে কঠোর নজরদারির আওতায় আনার কথা বলা হচ্ছে।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ: আব্দুল মান্নান বলেছেন, সব হাসপাতাল, ক্লিনিক, ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয় তদারকির জন্য জেলায় জেলায় সিভিল সার্জনকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

জেকেজি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ প্রতারণার নানা অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে সরকার যে সব ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাতে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা কি সম্ভব - এই নিয়ে এখন তুমুল আলোচনা চলছে।

জেকেজি হেলথ-কেয়ার এবং রিজেন্ট হাসপাতালের কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপটে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের লাইসেন্স না থাকার অভিযোগও সামনে এসেছে।

এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকায় এক সপ্তাহে ১০টি বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে বেশিরভাগেরই লাইসেন্স নবায়ন না করা এবং নানা অনিয়মের তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছে।

স্বাস্থ্যখাতের পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মুখে সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসায় প্রতারণা ঠেকাতে সারাদেশে নজরদারির ব্যবস্থা করার কথা বলা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ: আব্দুল মান্নান বলেছেন, দেশের গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে নজরদারির আওতায় আনার জন্য তিনি মঙ্গলবার সিভিল সার্জনদের চিঠি দিয়েছেন।

“শুধুমাত্র ঢাকা কেন্দ্রিক নয়, সারাদেশেই উপজেলা পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক বা অবৈধভাবে স্বাস্থ্যখাতে অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। এই প্রত্যেকটি জায়গার আমরা খোঁজখবর নেবো এবং নজরদারিতে আনবো।”

তিনি আরও বলেছেন, “আজই আমি চিঠি দিয়েছি সকল সিভিল সার্জনকে। তারা গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত হাসপাতাল ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স আছে কিনা বা চিকিৎসা অতিরিক্ত অর্থ নেয়া হচ্ছে কিনা, এবং কোন অনিয়ম আছে কিনা, এসব দেখবো।”

সরকারি হিসাব অনুযায়ী সারাদেশে ১৫ হাজারের মতো বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ৪,১৬৪টির লাইসেন্স আছে এবং এই লাইসেন্সধারীদেরও মাত্র ২০০০ হাসপাতাল ও ক্লিনিক লাইসেন্স নবায়ন করেছে।

দুর্নীতি বিরোধী বেসরকারি সংস্থা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড: ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, লাইসেন্স ছাড়াই হাসপাতাল ক্লিনিক চালানোসহ স্বাস্থ্যখাতে কেনাকাটা এবং চিকিৎসায় অনিয়ম একটা প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা পেয়েছে। এখন দৃশ্যমান কিছু ঘটনায় সরাসরি জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু পেছনের রুই-কাতলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দীর্ঘ মেয়াদে কোন ফল হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

“এ ধরণের দুর্নীতি এক হাতে হয় না। এটা ‘উইন-উইন গেম’। এখানে সাধারণত তিনটা পক্ষ থাকে। ঠিকাদারি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারক চক্র আছে। তাদের সুরক্ষা দেয় প্রশাসনের একাংশ, যারা কাগজপত্র প্রক্রিয়াজাত করে। তার সাথে যুক্ত হয় আরও উচ্চতর প্রভাবশালী মহল। এর বিভিন্ন দৃষ্টান্ত প্রকাশ পাচ্ছে। সেখানে রুই-কাতলাদের না ধরে নীচের দিকের ব্যবস্থা নিয়ে ইতিবাচক কিছু হবে না।”

করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রথমদিকে চিকিৎসা না পাওয়া এবং এখন অনিয়ম দুর্নীতির নানা অভিযোগ ওঠায় হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যখাত নিয়ে মানুষের মাঝে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারের মন্ত্রীদেরও অনেকে এখন তা স্বীকার করেন।
করোনা রোগী

বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, যেহেতু অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের ক্ষেত্রে পেছনের শক্তিকে চিহ্নিত করার পদক্ষেপ এখনও দৃশ্যমান নয়। সেজন্য অনিয়মে সরাসরি জড়িত বা প্রকাশ্যে থাকা কিছু লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা যে নেয়া হচ্ছে, তা লোক দেখানো কিনা- এমন সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড: শাহনাজ হুদা বলছেন, “যেটা বার বার বলা হচ্ছে যে মন্ত্রণালয়ের একটা সিণ্ডিকেট আছে। যেটা সবাই বলছে। অবশ্যই তাদের উচ্চপর্যায়ের অনেকের সাথে কানেকশন আছে। এবং এটা যদি আমরা না ধরতে পারি, তাহলে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরবে না।”

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবং সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী আ.ফ. ম. রুহুল হক বলেছেন, “মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এখন অনিয়ম দুর্নীতির পেছনের শক্তিকে চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তা না হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের এমনিতেই অনাস্থা আছে, সেটা আরও বাড়বে।”

তিনি আরও বলেছেন, “এখনকার অভিযোগগুলোর সাথে পেছনের শক্তিকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব যারা তদন্ত করছে তাদের। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন প্রতিদিন এগুলোর ফলো-আপ করছেন। সুতরাং তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।”

এদিকে, দুদকের সচিব দিলওয়ার বখত বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে দুদক যে অনুসন্ধান করছে, তাতে আদালতে প্রমাণ-যোগ্য তথ্য যা পাবে, তার ওপর ভিত্তি করে দুদক এগুবে।



আর্কাইভ

ইতিহাসের সর্বোচ্চ সোনার অলংকার দাম রেকর্ড
সৌদিতে প্রথমবারের মতো র‌্যাম্পে হাঁটলেন নারী মডেলরা
বাংলাদেশের সঙ্গে টানাপড়েন মিটমাট করতে আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের
সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দম্পতির
দেশে আরও ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট
১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না: যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
চীন- রাশিয়ার সম্পর্ক ‘নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছেছে
মোদির জয়ের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে