শিরোনাম:
●   অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ●   নিউইয়র্ক সিটির মেয়রপ্রার্থীকে গ্রেফতারের হুমকি দিলেন ট্রাম্প ●   জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪.৮ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান ●   হরমুজ প্রণালি নিয়নন্ত্রে ইরান মাইন পাতে, এসব প্রস্তুতি দেখে উদ্বেগে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র ●   আদালত অবমাননার শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড ●   আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি : ট্রাম্প ●   থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত ●   জনবল সংকটে প্রশাসন, সরকারি ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ শূন্য ●   ইউএসএআইডির সহায়তা বাতিল, ২০৩০ সালের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকিতে ১ কোটি শিশু ●   বাংলাদেশে স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকা, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা, চীনের ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন
প্রথম পাতা » এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা, চীনের ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন
১২৪৩ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা, চীনের ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন

---বিবিসি২৪নিউজ,অমিত ঘোষ,দিল্লি থেকে: ভারতীয় কূটনীতিক মহল থেকে জানানো হয়েছে, পূর্ব লাদাখের বিতর্কিত অঞ্চল থেকে এখনও সেনা সরিয়ে নেয়নি চীন। দিল্লি থেকে লে-র বিমান রওনা হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হিমালয় পর্বতমালা। লাদাখ সীমান্ত থেকে যত সেনা সরাবার কথা ছিল, তা সরায়নি চীন। ভারতও লাদাখ অঞ্চল থেকে সেনা সরায়নি। প্যাংগং সহ বেশ কিছু অঞ্চল নিয়ে বিতর্ক এখনও অব্যাহত।অভিযোগ, গালওয়ান অঞ্চল থেকে সৈন্য সরিয়ে নিলেও লাদাখের অন্যান্য বিতর্কিত অঞ্চলে এখনও প্রায় ৪০ হাজার সৈন্য মোতায়েন রেখেছে চীন। ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, তারাও আপাতত লাদাখ থেকে সৈন্য সরাচ্ছে না। ফলে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা সম্পূর্ণ প্রশমিত হয়ে গিয়েছে, এমনটা এখনই বলা যাচ্ছে না।

মে মাসের শেষ পূর্ব লাদাখে প্যাংগং লেক অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রথম উত্তেজনা শুরু হয়। এই হ্রদের এক তৃতীয়ংশ ভারতের দখলে, দুই তৃতীয়াংশ চীনের। ভারতের দাবি হ্রদের ফিঙ্গার পয়েন্ট এক থেকে আট পর্যন্ত তাদের অঞ্চল। চীনের দাবি ফিঙ্গার পয়েন্ট চার পর্যন্ত তাদের দখলে। এর আগেও এই অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ হয়েছে। মে মাসের শেষ পর্বে এই অঞ্চলে দুই দেশের সৈন্য হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। তবে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয় ১৫ জুন রাতে। ওই দিন গালওয়ান অঞ্চলে পেট্রল পয়েন্ট ১৪ তে দুই দেশের সেনার মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। মৃত্যু হয় ২০ জন ভারতীয় সেনার। তারপর থেকেই দুই দেশ প্রকৃত সীমান্ত রেখা বরাবর সেনা বাড়াতে শুরু করে।

তবে একই সঙ্গে সেনা এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনাও শুরু হয়। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দুই দেশ একটি রফাসূত্রে পৌঁছয়। ঠিক হয়, সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখতে দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেবে। গালওয়ান অঞ্চলে সে প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে প্যাংগং, ডেপসং এবং গোগরা হট স্প্রিং নিয়ে। কারণ এই তিনটি অঞ্চলের ভূখণ্ড নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ ঐতিহাসিক। ফলে ওই অঞ্চলে কোন দেশ কতটা সেনা পিছিয়ে নেবে, তা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে যথেষ্ট প্রশ্ন ছিল। আরও একটি প্রশ্ন একই সঙ্গে উত্থাপন করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সৈন্য সরিয়ে নিলেও, এখনই কি দুই দেশ বিতর্কিত অঞ্চল থেকে সেনা সরাবে?

---গালওয়ানে ভারত-চীন সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। তারপর চীনের উদ্দেশে তেমন কড়া বার্তা দেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই রক্তাক্ত সংঘাতের আড়াই সপ্তাহ পরেও সেনা সরেনি। সেনা পর্যায়ে আলোচনায় দ্রুত কোনও ফল হচ্ছে না। এই অবস্থায় লাদাখে দাঁড়িয়ে চীনকে কড়া বার্তা দিতে চেয়েছেন মোদী।

সাম্প্রতিক রিপোর্টে সেই প্রশ্নেরই উত্তর মিলেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে কয়েক কিলোমিটার পিছিয়ে গেলেও চীন সৈন্য সংখ্যা কমায়নি। বিতর্কিত এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার পিপলস লিবারেশন আর্মির জওয়ান মোতায়েন আছে। তারই সঙ্গে লং ডিস্ট্যান্স ক্ষেপনাস্ত্র, বিমানধ্বংসকারী মিসাইলও মজুত করা আছে। ভারতও লাদাখ থেকে সৈন্য সরিয়ে নেয়নি। চীনের প্রায় সমপরিমাণ সেনা ভারতও মজুত রেখেছে। লে সামরিক বিমান ঘাঁটিতে যুদ্ধ বিমান রাখা আছে। আট মিনিটের মধ্যে যা প্রকৃত সীমান্ত রেখায় পৌঁছে যেতে পারে।

সূত্র জানাচ্ছে, প্যাংগং, ডেপসং এবং গোগরা হট স্প্রিং নিয়ে দুই দেশই কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছতে পারেনি। ফলে সীমান্ত উত্তেজনা কমানো যাচ্ছে না। প্যাংগংয়ে ফিঙ্গার পয়েন্ট পাঁচে চীনা সেনা এখনও রয়েছে।

তা হলে কি ফের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধ না হলেও উত্তেজনা কমার সম্ভাবনা এখনই নেই। দুই দেশ যতদিন এলাকায় সেনা মোতায়েন রাখবে, তত দিন এমন আবহাওয়া বজায় থাকবে। আপাতত কোনও দেশই সেনা সরাবে বলে মনে করা হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি সামান্য উত্তেজনা হলেই তা বড় সংঘাতের চেহারা নেবে বলে মনে করছেন তাঁরা।



আর্কাইভ

নিউইয়র্ক সিটির মেয়রপ্রার্থীকে গ্রেফতারের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪.৮ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান
হরমুজ প্রণালি নিয়নন্ত্রে ইরান মাইন পাতে, এসব প্রস্তুতি দেখে উদ্বেগে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র
জনবল সংকটে প্রশাসন, সরকারি ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ শূন্য
ইউএসএআইডির সহায়তা বাতিল, ২০৩০ সালের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকিতে ১ কোটি শিশু
তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপ, রেড অ্যালার্ট জারি
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ১৬৯০ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন
ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ডিসি-ইউএনওদের নেতৃত্বে বাতিল
৩৭৮ যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির তালিকা প্রায় চূড়ান্ত