শিরোনাম:
●   দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী আহত, অবস্থা আশঙ্কাজনক ●   বাংলাদেশে মাতৃ মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণের সাফল্যের প্রশংসা করেন : জাতিসংঘ ●   সরকার ও জনগণের সমন্বয়ে সমস্যা সমাধান হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী ●   বাংলাদেশের সঙ্গে সামনে তাকাতে চাই, পেছনে নয়: ডোনাল্ড লু ●   অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরলেন নাবিকরা ●   বিশ্বে উদ্ধাস্তুর সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি ●   মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করে না আ. লীগ: কাদের ●   ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ●   দেশে বজ্রপাত নিরোধযন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স ●   বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও হজ ভিসার সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

BBC24 News
রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » আমেরিকার কঠোর নজরদারীতে- চীনারা
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » আমেরিকার কঠোর নজরদারীতে- চীনারা
৮৬৬ বার পঠিত
রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আমেরিকার কঠোর নজরদারীতে- চীনারা

---বিবিসি২৪নিউজ, খান শওকত, যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ চীন-মার্কিন ক্রমবর্ধমান বৈরিতার পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় পড়তে যাওয়া লাখ লাখ চীনা ছাত্র-ছাত্রকে।

আমেরিকার বিমানবন্দরগুলোতে এখন চীন থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের সন্দেহভাজন প্রযুক্তি পাচারকারী হিসাবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে দেশে ফেরার সময় তাদের ওপর শ্যেন দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।

চীনা সরকারি বৃত্তি নিয়ে গবেষণা করতে আসা ১৫ জন শিক্ষার্থীর সাথে চুক্তি গত সপ্তাহে মাঝপথে বাতিল করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়, যে ঘটনা নজিরবিহীন।

ওয়াশিংটনে চীনা সার্ভিসের সংবাদদাতা ঝাও ইন ফেংয়ের কাছে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন চীনা ছাত্র কিথ ঝাং (ছদ্মনাম), যিনি সম্প্রতি পড়া শেষ করে দেশে ফিরে গেছেন।

বোস্টনের লোগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ঝাং। তাকে হঠাৎ বোর্ডিং ডেস্কে তলব করা হলে তিনি ভেবেছিলেন রুটিন নিরাপত্তার জন্যেই ডাকা হচ্ছে তাকে। কিন্তু গিয়ে দেখলেন দুজন সশস্ত্র সীমান্ত এজেন্ট পুলিশ তার জন্য অপেক্ষা করছে। দেখে ভয় পেয়ে যান তিনি।

“তারা আমাকে এমনভাবে জেরা শুরু করলো যেন আমি যেন আমি প্রযুক্তি চুরি করতেই আমেরিকাতে পড়তে এসেছিলাম।“

ছাব্বিশ বছর-বয়স্ক পিএইচডি ছাত্র ঝাং যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে এক বছরের জন্য একটি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করতে এসেছিলেন। দেশে ফেরার আগে দু’ঘণ্টা ধরে তাকে যেভাবে জেরার মুখোমুখি হতে হয় তা স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি।

মার্কিন পুলিশ বের করার চেষ্টা করছিল তার সাথে চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা।

শুধু ঝাং নয়, যুক্তরাষ্ট্রে যে প্রায় চার লাখের মত চীনা শিক্ষার্থী বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন, তাদের অস্বস্তি দিনকে দিন বাড়ছে।

দুই দেশের মধ্যে শত্রুতার পারদ যত চড়ছে, তারা মনে করছেন তাদের প্রত্যেককেই এখন সন্দেহভাজন চর হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এ অবস্থা তৈরি হল কেন?

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর পরিচালক ক্রিস্টোফার রে সম্প্রতি এক সেমিনারে বলেছেন, তারা এখন প্রতি ১০ ঘণ্টায় এমন অন্তত একটি সম্ভাব্য গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা খুঁজে পাচ্ছেন যার সাথে চীনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডেভিড স্টিলওয়েল। তিনি বলেন, যারা সত্যিকার লেখাপড়া করতে আসেন তাদের জন্য আমেরিকার ‘দরজা এখনো খোলা।‘

জুলাইতে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে চীনা কনসুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দেয়ার সময় মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ঐ কনসুলেটটি একটি ‘গুপ্তচরবৃত্তির সেন্টারে’ পরিণত হয়েছে।

ঝাউ ইন ফেং বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে চীনা নাগরিকদের ওপর হালে নজরদারী বহুগুণে বেড়ে গেছে, এবং বিশেষ নজরে পড়েছেন চীন থেকে পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীরা।

বহু চীনা শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত ব্যবহারের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে গিয়ে গোয়েন্দারা পরীক্ষা করে দেখছেন। অনেক সময় সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে তা ফেরত দেওয়া হচ্ছেনা।

‘ইচ্ছাকৃত হয়রানি’

তার সাথে যে আচরণ করা হয়েছে, যেসব প্রশ্ন তাকে করা হয়েছে, কিথ ঝাং তাকে ‘ইচ্ছাকৃত হয়রানি’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

“আমি যদি সত্যিই কোনো ডেটা বা প্রযুক্তি চুরি করতাম তাহলে ক্লাউডের মাধ্যমে অনলাইনে পাচার করে দিতাম। আমার ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন জব্দ করে নিয়ে যাওয়া হয়রানি ছাড়া আর কি হতে পারে?“

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের আইনের অপব্যবহার করে “মনগড়া সব অভিযোগে চীনা ছাত্রদের জেরা করছে, গ্রেপ্তার করছে।“

তবে চীনা গবেষকদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির সাম্প্রতিক কিছু অভিযোগের তদন্তে সন্দেহের পেছনে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।

অগাস্ট মাসে, ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪ বছরের চীনা ভিজিটিং গবেষক হাই ঝাও উকে শিকাগোর বিমানবন্দরে ফ্লাইটে ওঠার আগে গ্রেপ্তার করা হয়।

মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, বিমানবন্দরে রুটিন নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় ঐ চীনা গবেষকের ল্যাপটপে কিছু ‘সফটওয়ার কোড‘ পাওয়া যায় যেটা রাখার বৈধতা তার ছিলনা। তার বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়েছে, ঐ সফটওয়ার কোড গোপন সামরিক বিষয়ক।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি তারা বেশ ক’জন চীনা গবেষককে আটক করেছেন যাদের সাথে চীনা সেনাবাহিনীর সম্পর্ক রয়েছে কিন্তু সেই পরিচয় তারা ভিসার আবেদনপত্রে চেপে গেছেন।

গত মাসে এমন একজন অভিযুক্ত চীনা গবেষক গ্রেপ্তার এড়াতে সানফ্রানসিসকোতে চীনা কনসুলেটে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরেক ঘটনায়, একজন চীনা গবেষকের বিরুদ্ধে কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ নষ্ট করার অভিযোগে ওঠে। তদন্ত চলার সময় প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডেভিড স্টিলওয়েল বিবিসিকে বলেন, যারা সত্যিকার লেখাপড়া করতে আসেন তাদের জন্য আমেরিকার ‘দরজা এখনো খোলা।‘ “কিন্তু আপনি যদি ছাত্রের ছদ্মবেশে আসেন তাহলে তো আমাদেরকে নিজেদের রক্ষা করতেই হবে।“

ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের অধ্যাপক শিনা গেইটেনস বিবিসিকে বলেন, অ্যাকাডেমিক চ্যানেলের মাধ্যমে চীনে ‘প্রযুক্তি চুরি’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি মহলে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, “যেহেতু এসব তদন্ত চলছে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে, সুতরাং প্রতিটি অভিযোগের বিস্তারিত আমরা হয়তো কখনই জানতে পারবো না। ফলে কিছু ঘটনা যা মানুষকে জানানো হয়েছে সেগুলোর ভিত্তিতে বলা কঠিন আসলেই চীনা শিক্ষার্থীরা জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি কতটা হুমকি তৈরি করেছে।“

গবেষক হাই উর মত, ঝাংকেও শেষ মূহুর্তে বিমানে উঠতে দেওয়া, কিন্তু তার আগে তাকে প্রচণ্ড মানসিক চাপে ভুগতে হয়েছে। দু’জন পুলিশ সদস্য তাকে বার বার বলতে থাকে যে তিনি মিথ্যা কথা বলছেন। “মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ছিলাম আমি।“

তারপরও সে সময় তিনি চীনা দূতাবাস, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় বা কোনো আইনজীবীর সাথে কথা বলতে চাননি।

“আমি জানতাম এসব অধিকার আমার রয়েছে, কিন্তু আমি ফ্লাইট মিস করতে চাইনি।“ তিনি বলেন, তার প্রধান লক্ষ্য ছিল দেশে স্ত্রীর সাথে দেখা হওয়া। মাত্র এক বছর আগে তার বিয়ে হয়েছে, কিন্তু বিদেশে পড়াশোনার জন্য স্ত্রীর সাথে দেখা হয়েছে সামান্যই।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা খুবই কমে গেছে। ফলে চাপের মধ্যে পড়লেও, হাজার হাজার চীনা ছাত্র-ছাত্রী দেশে ফিরতে পারছেন না।

যেমন, দেশে ফিরতে ঝাংকে কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়েছে। পরে অ্যামস্টারডাম হয়ে সাংহাইতে একটি ওয়ান-ওয়ে টিকেটের জন্য তাকে ৫,০০০ ডলার গুনতে হয়েছে।

প্রধান টার্গেট বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী

সাধারণ নিয়মে, কারো ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষার জন্য মার্কিন নিরাপত্তা কর্মীদের আদালত থেকে সমন আনতে হয়, কিন্তু বিমানবন্দর ব্যতিক্রম।

সীমান্ত রক্ষীদের মনে ‘যথেষ্ট সন্দেহের’ উদ্রেক হলেই তারা যে কোনো যাত্রীর ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা করতে পারে।

হংকং-ভিত্তিক দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে আমেরিকার বিমানবন্দরগুলোতে ১,১০০রও বেশি চীনা নাগরিকের ইলেকট্রনিক ডিভাইস (ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ঘড়ি) নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন ডেমারস অবশ্য দাবি করেন, বিমানবন্দরে যে নজরদারী করা হচ্ছে তা ‘র‌্যানডম‘ নয়, বরং আগে থেকে নজরে রাখা চীনাদেরই টার্গেট করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, চীনে কোন স্কুলে সে পড়তো, কী নিয়ে তার লেখাপড়া - এমন কিছু বিষয়ের ভিত্তিতে কাউকে কাউকে বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা তল্লাশির মুখোমুখি করা হচ্ছে। উচ্চতর বিজ্ঞান বিষয়ে যারা গবেষণার জন্য আসেন এবং যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে চীনা সেনাবাহিনী এবং চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির যোগাযোগ রয়েছে তারাই এ ধরণের বাড়তি নজরদারীতে পড়ছেন।

উ এবং ঝাং দুজনেই চীনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চায়না স্কলারশিপ কাউন্সিলের (সিএসসি) বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা করতে এসেছিলেন।

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, সিএসসি প্রায় ৬৫,০০০ চীনা শিক্ষার্থীকে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য বৃত্তি দিয়েছে। এই সংখ্যা বিদেশে মোট চীনা শিক্ষার্থীর সাত শতাংশ। অবশ্য চীনে পড়তে যায় এমন হাজার হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীকেও সিএসসি বৃত্তি দেও ইন ফেং বলছেন, চীনে উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সিংহভাগই সরকারি। যদিও সব গবেষকই চীনা কম্যুনিস্ট পারটির (সিসিপি) সদস্য নয়, কিন্তু গবেষণার ওপর দলের প্রভাব রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গোপনে প্রকাশ্যে এবং ছদ্মবেশে সিসিপির প্রতিনিধি কাজ করে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চার্টারে সিসিপির প্রতি আনুগত্যের কথা প্রকাশ্যে লেখা রয়েছে।

বিমানবন্দরে ঝাং মার্কিন সীমান্ত এজেন্টদের বার বার বলেন, মনোবিজ্ঞান নিয়ে তার গবেষণার সাথে চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু যেহেতু তিনি সরকারি বৃত্তি নিয়ে পড়তে এসেছিলেন, তার ব্যাখ্যা মার্কিন এজেন্টরা কানে নিচ্ছিলেন না।

“বিশ্বের সব দেশের সরকারই বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তহবিল জোগায়। আমেরিকার সরকারও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানে তহবিল দেয়, তাদের মাথায় যদি এটা ঢুকে বসে থাকে যে সরকারি তহবিল মানেই প্রতিটি গবেষণায় চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির প্রভাব রয়েছে, তাহলে কোনোভাবেই আমি তাদের বোঝাতে পারবো না।“

চায়না স্কলারশিপ কাউন্সিল (সিএসসি)-র বৃত্তি নিয়ে কেউ পড়তে গেলেই এখন আমেরিকাতে তাদের গভীর সন্দেহের মুখে পড়েতে হচ্ছে।

গত ৩১শে অগাস্ট, ইউনিভার্সিটি অব নর্থ টেক্সাস সিএসসির তহবিলে পড়েতে আসা ১৫ জন চীনা গবেষকের সাথে তাদের চুক্তি মাঝপথে বাতিল করে দিয়েছে। তার অর্থ, এই ১৫ জনের ভিসা বাতিল হয়ে গেছে। এই প্রথম আমেরিকাতে সিএসসি বৃত্তি নিয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হলো।

ভবিষ্যৎ আরো খারাপ

অধ্যাপক গ্রেইটেনস মনে করেন, নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, আমেরিকাতে সরকারি বৃত্তি নিয়ে বিশেষ করে বিজ্ঞান বিষয়ে পড়তে বা গবেষণা করতে আসা চীনা শিক্ষার্থীদের ওপর নজারদারী বাড়তেই থাকবে।

“ট্রাম্প এবং বাইডেন দু’জনেই অবৈধভাবে চীনে মার্কিন প্রযুক্তি চুরির হুমকিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন।“

তার যে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং চীন-মার্কিন সম্পর্ক যেভাবে দিনদিন তলানিতে গিয়ে ঠেকছে তা ভেবে ঝাং ইতিমধ্যেই আমেরিকা থেকে চীনা ছাত্র-ছাত্রীদের দেশে ফিরে আসতে বলছেন।

“নতুন এক শীতল যুদ্ধ শুরু হয়েছে,“ তিনি বলেন, “এর থেকে মুক্তি নেই, কে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন তার জন্য এই পরিস্থিতি বদলাবে না।“



আর্কাইভ

দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী আহত, অবস্থা আশঙ্কাজনক
সরকার ও জনগণের সমন্বয়ে সমস্যা সমাধান হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে সামনে তাকাতে চাই, পেছনে নয়: ডোনাল্ড লু
অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরলেন নাবিকরা
বিশ্বে উদ্ধাস্তুর সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি
মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করে না আ. লীগ: কাদের
ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু
দেশে বজ্রপাত নিরোধযন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে
ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ অধ্যাপক গ্রেফতার