রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » আইন-আদালত | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারে সম্পৃক্ত দুর্বৃত্তদের তথ্য জানতে চেয়েছেন- হাইকোর্ট
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারে সম্পৃক্ত দুর্বৃত্তদের তথ্য জানতে চেয়েছেন- হাইকোর্ট
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকাঃ বাংলাদেশ থেকে যারা অর্থ পাচার করছে, তারা দেশ ও জাতির শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। দেশের বাইরে অর্থ পাচারে সম্পৃক্ত দুর্বৃত্তদের নাম, ঠিকানা, অর্থের পরিমাণ ও পাচারের অর্থে বাড়ি তৈরির তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবসহ বিবাদীদের ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের অর্থ পাচার নিয়ে সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্য গণমাধ্যমে আসে। গণমাধ্যমে আসা এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে অর্থ পাচারে সম্পৃক্ত দুর্বৃত্ত ও এজেন্টদের দেশ থেকে অর্থ পাচার থেকে বিরত রাখতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
শুনানিকালে আদালত বলেছেন, যারা অর্থ পাচার করছে, তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তারা দেশ ও জাতির সঙ্গে বেইমানি করছে বলেও মনে করেন আদালত।
আদালত বলেন, ওই ব্যক্তিরা কীভাবে অর্থ পাচার করল, কীভাবে ওই টাকায় বাইরে বাড়ি তৈরি করল, তা অবশ্যই জানা দরকার। তা না হলে এই অপরাধ কমবে না।
আদালত বলেন, দেশে থাকবে, দেশে পড়াশোনা করবে, অথচ দেশকে ঠকিয়ে দেশের টাকা বাইরে নিয়ে যাবে, এটা হতে পারে না। একজন মানুষের দেশপ্রেম থাকলে এটি কখনোই হতে পারে না।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ছিলেন।
সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, ব্যাংকার ও অন্যান্য ব্যক্তি, যারা বিদ্যমান আইন লঙ্ঘন করে বিদেশে অর্থ পাচারে সম্পৃক্ত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্রসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, এনবিআর চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির জন্য বিষয়টি কার্যতালিকায় আসবে বলেছেন আদালত।
১৮ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রাজনীতিবিদেরা নয়, বিদেশে বেশি অর্থ পাচার করেন সরকারি চাকুরেরা।
গোপনে কানাডার টরন্টোতে অবস্থিত বাংলাদেশিদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু আমার কাছে যে তথ্য এসেছে, সেটিতে আমি অবাক হয়েছি। সরকারি কর্মচারীর বাড়িঘর সেখানে বেশি আছে এবং তাঁদের ছেলেমেয়েরা সেখানে থাকে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার কাছে ২৮টি কেস এসেছে এবং এর মধ্যে রাজনীতিবিদ হলেন ৪ জন।’




যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি সোমা সাঈদ
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সাবজেলে রাখা হবে: আইনজীবী
বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নতুন করে দমন–পীড়ন: এইচআরডব্লিউ
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৫ ডিজির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মানবতাবিরোধী অপরাধ: অভিযোগপত্র দাখিল হলেই নির্বাচনের অযোগ্য, চাকরিও থাকবে না
লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান চান প্রধান বিচারপতি
শপথ নিলেন হাইকোর্টের নতুন অতিরিক্ত ২৫ বিচারপতি
ভারতে নতুন বিল: ৩০ দিন কারাবাসে পদ হারাবেন প্রধানমন্ত্রীও
নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই: আসিফ নজরুল 