শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

BBC24 News
বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ পরেই- ইরান ও পরমাণু চুক্তির বিষয়ে অবস্থান ঘোষণা
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ পরেই- ইরান ও পরমাণু চুক্তির বিষয়ে অবস্থান ঘোষণা
১৬৩৫ বার পঠিত
বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ পরেই- ইরান ও পরমাণু চুক্তির বিষয়ে অবস্থান ঘোষণা

---বিবিসি২৪নিউজ, খান শওকত, যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ যুক্তরাষ্ট্রে নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে বাইডেনের উপদেষ্টা ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা ইরানসহ আরো কয়েকটি বিষয়ে নীতি নির্ধারণের বিষয়ে সিনেটে বৈঠক করেছেন।

যেকোনো মূল্যে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র অর্জন করা থেকে বিরত রাখার কথা উল্লেখ করে বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেছেন, ‘পরমাণু সমঝোতার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম সীমিত করতে আমরা সক্ষম হয়েছিলাম কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ফের ইরানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’ এদিকে, মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হিসেবে জো বাইডেনের ঘোষিত প্রার্থী অভরিল হায়েন্স বলেছেন, ‘ইরান যদি পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসে তাহলে আমরাও এ চুক্তিতে ফিরে আসব। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ কেননা ইরানের সঙ্গে দূরত্ব অনেক বেড়ে গেছে।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘পরমাণু সমঝোতায় ওয়াশিংটনকে ফিরিয়ে আনতে হলে অবশ্যই চুক্তিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির প্রভাব কমিয়ে আনার বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর ইরান ও পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে মার্কিন নীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হলেও বাস্তবতা হচ্ছে বাইডেন ও তার উপদেষ্টারাও ইরানের ব্যাপারে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিরই অনুসরণ করছেন। তাদের কেউ কেউ এও দাবি করেছেন যে ইরান পরমাণু বোমা তৈরির খুব কাছাকাছি অবস্থানে চলে গেছে। একইসঙ্গে তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের নীতিতে পরিবর্তন আনার বিষয়েও আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

স্মরণ করা যেতে পারে ট্রাম্প প্রশাসনও ২০১৮ সালে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর একই দাবি তুলেছিলেন এবং এ লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য তিনি কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালান। কোনো দেশের বিরুদ্ধে এটি ছিল দীর্ঘ ইতিহাসে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা। ট্রাম্প ইরানের ব্যাপারে তার সাফল্যের দাবি করলেও বাস্তবতা হচ্ছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর দেয়া ১২টি প্রস্তাবের একটিও ইরান মানেনি এবং যুক্তরাষ্ট্র কোনো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি। মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক পল পিলার বলেছেন, ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু কোরে এবং সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞা দিয়েও কোনো কিছুই অর্জন করতে পারেননি বরং সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ট্রাম্পের ব্যর্থতার বড় কারণ হচ্ছে ইরানের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। ইউরোপও তাদের প্রতিশ্রুতি পালন না করায় ইরান পাঁচটি ধাপে পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়ন কাজ স্থগিত রাখে। সর্বশেষ দেশটির পার্লামেন্ট ২০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণসহ আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

যাইহোক, জো বাইডেনের উপদেষ্টারা কিছুদিন আগেও দ্রুত পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার কথা বলতেন কিন্তু এখন তারা ‘কিন্তু’ ‘যদি’র কথা বলছেন এবং নানান রকম শর্ত দিচ্ছেন। অর্থাৎ পরমাণু সমঝোতায় ভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলতে চাইছেন যার সঙ্গে পরমাণুর কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু ইরানের কর্মকর্তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তারা আমেরিকার বাড়তি কোনো দাবি মেনে নেবেন না।



আর্কাইভ

ইতিহাসের সর্বোচ্চ সোনার অলংকার দাম রেকর্ড
সৌদিতে প্রথমবারের মতো র‌্যাম্পে হাঁটলেন নারী মডেলরা
বাংলাদেশের সঙ্গে টানাপড়েন মিটমাট করতে আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের
সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দম্পতির
দেশে আরও ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট
১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না: যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
চীন- রাশিয়ার সম্পর্ক ‘নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছেছে
মোদির জয়ের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে