শিরোনাম:
●   মা খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে তারেক রহমান ●   বাংলাদেশের সব মানুষ নিরাপদ থাকবে, বার্তা তারেক রহমানের, বললেন ‘পরিকল্পনা আছে’ ●   পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর ●   বাংলাদেশে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ●   বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ভারতের পাল্টা তলব ●   মেয়েকে নিয়ে কিম জং উন-এর বিলাসবহুল রিসোর্ট উদ্বোধন ●   দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ, ভেতরে ঢোকার চেষ্টা ●   ইসলামিক দল জমিয়তকে যে ৪ আসন দিল বিএনপি ●   জটিল সংকটে ঢাকা–দিল্লি সম্পর্ক ●   ভারতের হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি তলব
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২
BBC24 News
শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » রোহিঙ্গা শরণার্থী ফেরত অনিশ্চিতার পথে?
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » রোহিঙ্গা শরণার্থী ফেরত অনিশ্চিতার পথে?
৭৯৩ বার পঠিত
শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রোহিঙ্গা শরণার্থী ফেরত অনিশ্চিতার পথে?

---বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদক,ঢাকাঃ মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফেরত পাঠানোর দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ থমকে গেছে।

বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং চীনের মধ্যে ৪ঠা ফেব্রুয়ারির নির্ধারিত ত্রিপক্ষীয় একটি বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে।রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়ার পর তিন বছরেও তাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি।

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এখন মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অবস্থান বোঝার জন্য অপেক্ষায় থাকার কথা বলছেন।

অং সান সু চি’ র সরকারের পর এখন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সরকারের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে অবস্থানের কোন পার্থক্য হবে কিনা, বাংলাদেশে অনেকে এখন এই প্রশ্ন তুলেছেন।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ‘হতাশা, সন্দেহ’
মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়ার প্রেক্ষাপটে কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়ায় শিবিরগুলোতে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মাঝে নতুন করে হতাশা দেখা দিয়েছে।

উখিয়ার কুতুপালং শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের একজন নেতা মোহাম্মদ নূর বলেছেন, অং সান সু চি’র সরকারের সময়ে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সাথে একটা আলোচনা চলছিল। এখন মিয়ানমারের সেনা সরকার এ ক্ষেত্রে কি অবস্থান নেবে- এ নিয়ে তাদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

“গণতান্ত্রিক সরকারের একটা পদ্ধতি এসেছিল। ওদের সাথে বাংলাদেশ সরকার সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আলোচনা চলছিল। এখন সামরিক সরকার গঠন করেছে। এই সামরিক সরকারের সাথে বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন দেশের যোগাযোগ বা আলোচনা হবে কিনা-তা এখন বোঝা যাচ্ছে না।”

“আর সেনাবাহিনীই নির্যাতন করে আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে কিভাবে আমরা সেই সেনাবাহিনীর ওপর আশা করতে পারি?” তিনি প্রশ্ন করেন।

মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতাদের অনেকে হতাশার কথা বলছেন।রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: সু চি সরকার বনাম সামরিক সরকার
কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে অং সান সু চি’র সরকার এবং এখন মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অবস্থানের কোন পার্থক্য হবে কিনা - সেই প্রশ্নে নানা আলোচনা চলছে।

ইয়াঙ্গুন থেকে একজন মানবাধিকার আইনজীবী রারেশ মাইকেল জিলজেন মনে করেন, দুই সরকারের অবস্থানে কিছুটা পার্থক্য হবে।

তিনি বলেছেন, আগের সরকারের সময়ে চুক্তি হলেও তা বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ ছিল না। এখন সেনা সরকার ঐ চুক্তি মানবে না বলে তিনি মনে করেন।

“একটি প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর হওয়া স্বত্ত্বেও আগের সরকারের অধীনেও কোন সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সেদিক থেকে তেমন একটা পরিবর্তন হবে না।”

মিয়ানমারের মানবাধিকার আইনজীবী মি: জিলজেন আরও বলেছেন, “নতুন সরকার আগের চুক্তিগুলোর কোনটি মানবে বলে আমি আশা করি না। আর তারা শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কোন সহযোগিতা করবে বলেও আমি মনে করি না, কারণ সেটি তাদের রাজনীতির পুরোপুরি বিপরীত একটি কাজ হবে।”

মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের কিছুদিন আগেই গত ১৯শে জানুয়ারী দেশটির সাথে বাংলাদেশ এবং চীনের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে।

এক বছরের বেশি সময় পর এই বৈঠকে আবার আলোচনার দিন ঠিক করা হয়েছিল ৪ঠা ফেব্রুয়ারি। তবে নির্ধারিত এই বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক সৈয়দা রোযানা রশীদ বলেছেন, আগের সরকারের সাথে সেনা সরকারের অবস্থানের কিছু পার্থক্য হবেই। সেজন্য রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে নতুনভাবে কৌশল নিতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

“দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এখন একটা ছেদ হবেই। এখন নতুন করে ভাবনার বিষয় আছে অবশ্যই। একেবারে নতুনভাবে ভাবতে হবে। কারণ বাংলাদেশ আগে একভাবে ভাবছিল। সেখানে গণতান্ত্রিক সরকার এবং তার সাথে আর্মি থাকলেও আমরা ভাবছিলাম যে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে, যেখানে সু চি হয়তো তার নীতি পরিবর্তন করবেন - সেটা আন্তর্জাতিক চাপে হোক বা তার নিজের কারণেই হোক।”

“সেখানে পুরো জিনিসটা উল্টে গেলো এখন। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমরা আগে আর্মির অবস্থান দেখেছি। সেজন্য আমাদের আসলে অন্য ভাষায় কথা বলতে হবে। অন্যভাবে চাপ দিতে হবে,” - বলছিলেন মিস রশীদ।

পুরনো আলোচনাই আবার শুরু করবে বাংলাদেশ
তবে এখন যে আলোচনা থমকে গেছে, বাংলাদেশ সরকার সেই আলোচনাই আবার শুরু করতে চায়।

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছিল ২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসে। প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক সেই চুক্তিকে মূল ভিত্তি হিসাবে তুলে ধরছে বাংলাদেশ সরকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রোহিঙ্গা, বাংলাদেশ
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দুই দেশের সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সেই চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারেই বাংলাদেশ চেষ্টা করবে।

“আমরাতো সরকার বা সরকারের এগ্রিমেন্ট (চুক্তি) হয়েছে। কোন ব্যক্তি বিশেষে এগ্রিমেন্ট হয়নি। সুতরাং দ্য প্রসেস শুড কন্টিনিউ। আর আমাদের ইতিহাস আছে, আগে যখন মিয়ানমারে সামরিক সরকার ছিল, সেটা ৭৮ সাল বা ৯২ সাল বলেন, সামরিক সরকারের সময়ই প্রত্যাবাসনটা হয়েছে। সো হোয়াই নট দিজ টাইম?”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলছেন, “তারা রিপ্যাট্রিয়েশন যদি করে, তাহলে তাদের জন্য একটা সুযোগ যে তারা অন্যদের সাথে আছে। সো দে শুড টেক দ্যাট অ্যাডভান্টেজ। আমরা বলেছি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলমান থাকবে-আমরা সেটা আশা করি।”

দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তিন বছরেও আং সান সূ চি’র সরকার তা বাস্তবায়নে কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেয়নি।

‘কালক্ষেপণই উদ্দেশ্য ছিল মিয়ানমারের’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এবং চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষে ভূমিকা পালনকারীদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। তিনি বলেছেন, চুক্তি করলেও মিয়ানমারের চেষ্টা ছিল কালক্ষেপণ করা।

“ফিরে যাওয়ার প্রশ্নে আমি আশাবাদী হতে চাই। কিন্তু আশাবাদী হওয়ার মতো কোন কারণ এ মুহুর্তে দেখছি না। কারণ আমার মনে হয় যে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের ইনটেনশন কখনও পরিস্কার ছিল না। ইভেন আমরা যখন খুবই সিরিয়াস ছিলাম, তখন তারা কিন্তু সিরিয়াস ছিল না।”

রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে অং সান সু চি’র সরকারের সাথে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অবস্থানের কোন পার্থক্য হবে না বলে মনে করেন মিয়ানমারের একজন মানবাধিকার কর্মী উয়ে লোয়।

তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে গঠিত কোফি আনান কমিশনে একজন উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমারের পরারাষ্ট্রনীতি একই থাকতে পারে।

“তাদের পররাষ্ট্রনীতি মোটামুটি একইরকম থাকবে। তারা একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে, যিনি কিনা ২০১০ সালের দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনিই এখন পুরো পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করবেন। আমি মনে করি, মিয়ানমারের উচিত হবে মিয়ানমার বাংলাদেশ সরকারের সাথে যে চুক্তিতে পৌছেছে এবং বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং জাতিসংঘের সংস্থার সাথে যে চুক্তি হয়েছে - তা সম্মান করা।”

প্রত্যাবাসনে সেনাবাহিনীই সবসময় ‘মূল ভূমিকায়’?
অং সান সু চি ক্ষমতায় থাকাকালে সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে পালিয়ে আসেন। সেজন্য সেনাবাহিনীকে মূল অভিযুক্ত করা হলেও মিজ সু চি রোহিঙ্গাদের পক্ষে শক্ত কোন অবস্থান নেননি।

সাবেক একজন কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলেছেন, মিয়ানমারের আগের সরকারের নেতৃত্বে মিজ সু চি থাকলেও প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের সাথে আলোচনার ক্ষেত্রে দেশটির সেনাবাহিনীই মূল ভূমিকায় ছিল এবং সেজন্য এখন অবস্থানে পার্থক্য হওয়ার সম্ভবনা কম বলে তার ধারণা।

সাবেক একজন কূটনীতিক হুমায়ুন কবির
“হয়তো প্রক্রিয়ার দিক থেকে আমরা কিছুটা বিলম্বিত অবস্থার মধ্যে পড়তে পারি। কিন্তু গত তিন বছর ধরে যে কার্যক্রম হয়েছে, মিয়ানমার সরকার একেবারেই সেগুলো থেকে সরে যাবে তা মনে করছি না। কারণ সরকারের সামনে সু চি থাকলেও সামরিক বাহিনীই এই বিষয়টাতে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল।”

“এখন তারাইতো ক্ষমতায় এসেছে সু চিকে সরিয়ে দিয়ে। কাজেই রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে যেটুকুই নাড়াচাড়া বা অগ্রগতি হচ্ছিল, তা থেকে তারা সরে যাবে বলে আমার মনে হয় না। তবে এখন তাদের বাস্তব পরিস্থিতির কারণে একটা বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা আমি করছি।”

কিন্তু মিয়ানমারে এখনও ছয় লাখের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ধারণা।

রাখাইনের রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক
এদিকে, বাংলাদেশের কক্সবাজারে টেকনাফ এবং উখিয়ায় ৩৪টি শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছেন।

শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করেন একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার শিউলী শর্মা।

বিভিন্ন শিবিরে রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে মিজ শর্মা ধারণা পেয়েছেন যে, মিয়ানমারে এখনও যে রোহিঙ্গারা আছেন, তাদের আবার সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয় কিনা - শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এমন আশঙ্কা কাজ করছে।

“এখন মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদের নির্যাতন চালিয়ে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেয়া হতে পারে-এমন আশঙ্কা এখন সবার মাঝে। ফলে তাদের (রোহিঙ্গাদের) মধ্যে হতাশা বেড়েছে, টেনশন বেড়েছে।

চীনের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ
বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিলেও মিয়ানমারের সাথে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে।

সেই প্রেক্ষাপটে নতুন করে রোহিঙ্গা যাতে না আসে এবং এখানে থাকা শরণার্থীদেরও যেন ফেরত পাঠানো যায়, সেজন্য এখন চীনের সহায়তা নেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের গুরুত্ব দেয়া উচিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৈয়দা রোযানা রশীদ বলেছেন, “এখানে চীন একটা ফ্যাক্টর। এখানে দ্বিপাক্ষিক যে প্রক্রিয়াটা চলছে, সেখানে চীন আরও বেশি করে ইনভল্ভ করতে হবে। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যতটা চাপ প্রয়োগ করা সম্ভব হয়, সেই জায়গায় যেতে হবে।”

তিনি মনে করেন, মিয়ানমারের সেনা শাসকদের ওপর পশ্চিমা দেশগুলো এখন গণতন্ত্রের জন্য যে চাপ দিচ্ছে, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাতে রোহিঙ্গা ইস্যুকে যুক্ত করার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা চালাতে হবে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত সিলগালা করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পরিস্থিতি সামলাতে চীনের সাহায্য নেয়া হচ্ছে।

“রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আমরা সবার কাছে অ্যাপ্রোচ করেছি। আমরা মিয়ানমারের কাছে অ্যাপ্রোচ করেছি। সব রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আদালতেও আমরা গেছি। এবং চীন এ ব্যাপারে কিছু অগ্রসর হয়ে এসেছে। জাপানও এগিয়ে এসেছিল। তবে চীন অনেকে অগ্রসর হয়েছে।”

মি. মোমেন বলেন, “আমরা চীনকে আস্থার মধ্যে রেখেছি। আমাদের পশ্চিমা অনেক বন্ধু রাষ্ট্রের একটা উৎকণ্ঠা যে এখন বোধায় আরও রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে আসতে পারে। আমরা বর্ডার সিকিউর করে রেখেছি। আগে যারা এসেছিল। আমাদের জনগণই তাদের গ্রহণ করেছিল। এখন আমাদের জনগণ আর তাদের গ্রহণ করার মুড়ে নাই। এখন এই ধরনের দুর্ঘটনা হলে অন্যরা নিয়ে যাক। আমরা নিতে রাজি নই।”

মিয়ানমারের পরিস্থিতির কারণে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করা সহসাই সম্ভব নয়-সেটা নিশ্চিত বলা যায়।

এখন মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের আলোচনা শুরু করার ক্ষেত্রে চীনের ওপরই নির্ভর করতে হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।



এ পাতার আরও খবর

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর
বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ভারতের পাল্টা তলব বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ভারতের পাল্টা তলব
ভারতের হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি তলব ভারতের হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি তলব
দিল্লিতে হাইকমিশনে হামলা নিয়ে ভারতের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের দিল্লিতে হাইকমিশনে হামলা নিয়ে ভারতের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
পাকিস্তান মক্কা ও মদিনার রক্ষক হওয়ার সম্মান পেয়েছে : ফিল্ড মার্শাল মুনির পাকিস্তান মক্কা ও মদিনার রক্ষক হওয়ার সম্মান পেয়েছে : ফিল্ড মার্শাল মুনির
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, বিভ্রান্তিকর প্রচারণা : মুখপাত্র দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, বিভ্রান্তিকর প্রচারণা : মুখপাত্র
মাস্কের সম্পদমূল্য ৭০০ বিলিয়ন ছাড়াল, ইতিহাসে এই প্রথম মাস্কের সম্পদমূল্য ৭০০ বিলিয়ন ছাড়াল, ইতিহাসে এই প্রথম
বাংলাদেশে নতুন মা‌র্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বাংলাদেশে নতুন মা‌র্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন
সরকারের উচিত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: ভলকার তুর্ক সরকারের উচিত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: ভলকার তুর্ক
বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিয়ে দূতাবাসগুলোকে আশ্বস্ত করল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিয়ে দূতাবাসগুলোকে আশ্বস্ত করল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আর্কাইভ

মা খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে তারেক রহমান
বাংলাদেশে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী
মেয়েকে নিয়ে কিম জং উন-এর বিলাসবহুল রিসোর্ট উদ্বোধন
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ, ভেতরে ঢোকার চেষ্টা
ইসলামিক দল জমিয়তকে যে ৪ আসন দিল বিএনপি
জটিল সংকটে ঢাকা–দিল্লি সম্পর্ক
ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন
চট্টগ্রামের ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ
দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে হুমকি
সুদানে নিহত ৬ শান্তিরক্ষী সেনার জানাজা সম্পন্ন